‘কামারুজ্জামান তাঁর লেখনির মাধ্যমে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন’
০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম | আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম

সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, লেখক, গবেষক এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের অবদান এবং ত্যাগের কথা স্মরণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
৯ এপ্রিল বুধবার দেয়া ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, শহীদ মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি দৈনিক সংগ্রাম ও সাপ্তাহিক সোনার বাংলা পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতেন এবং একজন লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। তিনি অনেকগুলো মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ ও প্রবন্ধসমূহ যুগ যুগ ধরে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও দেশের জনগণকে অনুপ্রাণিত করবে।
তিনি বলেন, জেনারেল এরশাদ ও শেখ হাসিনার তৎকালীন স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে তিনি জামায়াতের রাজনৈতিক লিয়াজোঁ কমিটির একজন সদস্য হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে গিয়েছেন। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তা তাঁকে স্মরণীয় করে রাখবে।
জামায়াত আমীর বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারসহ কূটনীতিকদের সাথে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের নিকট তিনি জামায়াতের দাওয়াত পৌঁছে দিতেন। তিনি সত্য কথা বলতে কখনো দ্বিধাবোধ করতেন না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যেই জনগণের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন। ‘মুহাম্মদ কামারুজ্জামান’ এ নামটি বাংলাদেশের ছাত্র-যুবক সকলের অন্তরে গ্রোথিত হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, তৎকালীন সরকার তাঁকে মিথ্যা ও সাজানো রাজনৈতিক মামলায় দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করিয়ে ফাঁসির দণ্ড হাসিল করে। ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১০টা ৩০ মিনিটে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। তিনি তাঁর লেখনির মাধ্যমে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। তিনি যে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়ে গেছেন, তা এ দেশের মানুষের মনে আবেগ ও অনুভূতি সৃষ্টি করবে। আমি তার অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে স্মরণ করছি। মহান রব্বুল আলামীন তাঁকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন ও তাঁকে জান্নাতে উচ্চ মাাকাম দান করুন। তাঁর রেখে যাওয়া ইসলামী আন্দোলনের অসমাপ্ত কাজ আঞ্জাম দেয়ার জন্য এবং এ দেশে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শরীক হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
বিভাগ : রাজনীতি
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

দেশের বাজারে পানিরোধী স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭৫এক্স

প্রথম মা-বাবা হতে যাওয়া দম্পতির স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়

গিগাবাইটের জিফোর্স আরটিএক্স ৫০৬০ সিরিজ বাজারে

জিম্বাবুয়ে সিরিজ দেখাবে বিটিভি

হাঙ্গেরি ও ভারতের দাবাড়ুর সঙ্গে তাহসিনের ড্র

বিদ্রোহী ৮ ফুটবলারের সঙ্গে সহসাই চুক্তি বাফুফের

প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে কাতারে যাচ্ছেন চার নারী ক্রীড়াবিদ

কাজাখস্তানকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ

নতুন কমিটি হলেও সুখবর নেই কুস্তিতে

ভালো লড়াইয়ের আভাস উইলিয়ামসের

ভেঙে ফেললেন ফুটবল ট্রফি

তারবিহীন উড়ন্ত রোবট তৈরি

চুরি ৭ জরিমানা ৭০ হাজার ডলার

বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাঁচ মাসে ২১ হাজার ৩৬০ টন চাল আমদানি

হবিগঞ্জে ট্রাক পিকআপ সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৪

মধ্যরাতে কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলি

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাথে মধ্যাহ্নভোজে দুই উপদেষ্টা

বর্বর ইসরাইলীদের সকল পণ্য বিক্রি ও কেনা বন্ধ করুন : চট্টগ্রামে মাওলানা নূরী

এ বছর হজের খরচ অনেকাংশে কমিয়েছি : হবিগঞ্জে ধর্ম উপদেষ্টা

ফরিদপুরে প্রেমের ফাঁদে ভুয়া মেজর আটক!