উৎকৃষ্ট-নিকৃষ্ট কবিতা
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৫ এএম | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৫ এএম

একসময় গদ্য ছিলো না, সবকিছু লেখা হতো পদ্যে। চিকিৎসাশাস্ত্র, ইতিহাস প্রভৃতিও ছন্দে-অন্ত্যমিলে লেখা হতো। তখনও কবিতা ছিলো এবং কবিতাকে আলাদা করে চেনা যেতো বিষয়বস্তু, উচ্চারণ, বর্ণনাশৈলী, ভাষা-অলংকার প্রভৃতি দেখে। গদ্য আবিষ্কার হওয়ার পর সবার শরীর থেকে ছন্দ ও অন্ত্যমিল ঝরে যেতে থাকে, কেবল তা রয়ে যায় কবিতার অবয়বে। এখন এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, ছন্দ ও অন্ত্যমিল কেবল কবিতার জন্য এবং অন্ত্যমিল থাকুক বা না থাকুক, অন্তত ছন্দ না থাকলে তাকে কবিতা জ্ঞান করা যায় না। ব্যতিক্রম থাকলেও, প্রাচীনকাল থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সব কবিতাই ছন্দে রচিত।
কবিতা তাজমহলের মতো, যেন তেন ইটের স্তূপ এটা নয়; এ প্রাসাদ মূল্যবান মার্বেল দিয়ে, নানা কারুকাজ দিয়ে, সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম নকশা দিয়ে মোহনীয় করে তোলা। যেমন আছে এর বাহ্যিক রূপসৌন্দর্য্য, তেমনি এর অন্দরমহলে উত্তাল রূপের তরঙ্গ। যদি একে বলা হয় রূপবতী নারী, তাহলে এর ছন্দ-অলংকার হলো এর দেহমঞ্জরী আর বিষয়বস্তু এর প্রেমলীলা। যিনি কবি, তিনি একজন স্রষ্টা; যদি কবিতাকে ভাস্কর্য বলি, তাহলে কবি এর ভাস্কর; যদি একে মোনালিসা বলি, তাহলে কবি এর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি; যদি একে ফুলের বাগান বলি, কবি এর বনমালী। কবিতা দেখার জিনিস, কবিতা শোনার জিনিস, তারও চেয়ে বেশি, এটি অনুভবের ও উপভোগের জিনিস।
কিন্তু কবিতা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। পারস্যের এক কবি বলেছেন, পৃথিবীর সকলেই কবি, তবে কেউ লেখে আর কেউ লেখে না। একথা অস্বীকার করার জো নেই যে, ছন্দ-অলংকার জানুক বা না জানুক, পৃথিবীর বিপুল সংখ্যক মানুষ কবিতা লেখে। এসব লেখাকেও কবিতা বলা হয়। এসব আসলে কথার কথা। যেমন বলা হয়, প্রায়-মানুষই গান গাইতে পারে এবং তারাও এক ধরনের শিল্পী; কিন্তু শিল্পী বলে তারা গণ্য হয় না কারণ শিল্পী বলতে বুঝায় এমন কাউকে, যার গায়কী অভিনব, তাল লয় প্রভৃতি সম্বন্ধে যিনি ভালো জ্ঞান রাখেন। অনুরূপভাবে, অন্ত্যমিল সমৃদ্ধ দু-চরণ লেখা হলেই তাকে কবিতা বলা যায় না, কবিতা আরো একটু ভারী অর্থ বহন করে। কবিতা কেবল ছন্দ ও অন্ত্যমিলের খেলাও নয়, এটা সবসময়ই এক ধরনের গভীর বার্তা বহন করে, যা মানবচিত্তকে আন্দোলিত করে। অনেক লোকজ কবিতা আছে, যার কোনো লেখক খুঁজে পাওয়া যায় না, কিন্তু অমর পঙক্তি হিসেবে টিকে আছে বহাল তবিয়তে। দুটো উদাহরণ দেই:
১. অল্প শোকে কাতর
অধিক শোকে পাথর।
২. দিয়ে ধন
বোঝে মন
কেড়ে নিতে
কতক্ষণ!
এসব পঙক্তিমালার মধ্যে কবিতার ছন্দ ও অন্ত্যমিলের যেমন নিখুঁত ব্যবহার লক্ষণীয়, তেমনি রয়েছে জীবনস্পর্শী গভীরতর বার্তা। এসব পঙক্তিরও নিশ্চয়ই কোনো কবি ছিলো; কবি হারিয়ে গেছে কিন্তু তাঁর পঙক্তিমালা রয়ে গেছে।
সাধারণভাবে যেসব লেখাকে কবিতা হিসেবে ধরে নেওয়া হয়, তাদের সব কবিতাই আবার কবিতা নয়। কবিতা যেহেতু একটি শিল্প, কবিতা হতে গেলে তাকে অবশ্যই শিল্পের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ হতে হবে। শিল্পের মাপকাঠিতে উত্তীর্ণ কবিতারও শ্রেণিভেদ আছে: ইংরেজিতে যাকে বলে গুড, বেটার, বেস্ট। কিন্তু সাধারণভাবে প্রচলিত ও গ্রহণযোগ্য অনেক কবিতা আছে, যেগুলোকে মানুষ কবিতা বলে স্বীকৃতি দেয় কিন্তু তার মধ্যে আদৌ কবিতার কোনো রূপ-রস নেই। গ্রিকরা অবশ্য গীতিকবিতাকে নিকৃষ্ট কবিতা বলে জ্ঞান করতো কারণ এ ধরনের কবিতায় আত্মকথন থাকে। কিন্তু গীতিকবিতাও যে উৎকৃষ্ট কবিতা হতে পারে, তা দেখিয়ে গেছেন জন কিটস, উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ, পি বি শেলি, আলফ্রেড টেনিসন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ কবিরা। গীতিকবিতায় আত্মকথন থাকলেও তা প্রতীকী হয়ে সব মানুষের কথা হয়ে উঠতে পারে; তখন তার আবেদন হয়ে ওঠে সার্বজনীন। আধুনিককালে নিকৃষ্ট কবিতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে কেবল রাজনৈতিক কবিতা। রাজনৈতিক কবিরা রাষ্টীয় কিংবা দলীয় সুবিধা ভোগ করায় তাঁদের দাপট হয়ে থাকে ভয়াবহ। তাঁরাই সবচেয়ে বড় কবি হিসেবে জাহির করতে থাকেন এবং সাধারণ পাঠকরা তাতে বিভ্রান্ত হয়ে তাঁদের কবিতাকেই ভালো কবিতা মনে করতে থাকেন।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে রাজনৈতিক কবিদের দাপট বেশ লক্ষণীয়। এরা মূলত সাহিত্যের জঞ্জাল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করায় সময়ে সময়ে এই কবিরা রাজকবি হয়ে হাজির হন জনগণের সামনে; পাঠ্যপুস্তকে তাঁদের কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়, প্রতিষ্ঠিত কবি হিসেবে তাঁরা পরিচিত হয়ে ওঠেন গোটা জাতির কাছে। সুফিয়া কামাল, সৈয়দ শামসুল হক, নির্মলেন্দু গুণের মতো দুর্বল কবিরাও এদেশে প্রচ- দাপট দেখিয়ে গেছেন কবি হিসেবে। আসসাল সানী, আনজির লিটনের মতো অকবিরাও কবিদের মাথার উপর কাঁঠাল ভেঙে কোয়া খেয়েছেন। এক সরকার বদল হয়ে আরেক সরকার ক্ষমতায় এলে সানী মার্কা উদ্ভট কবিরা আবার দাপট দেখাতে শুরু করেন। পাঠক বিশ্বাস করতে থাকেন মিছিলের কবি, শ্লোগানের কবিরাই প্রকৃত কবি। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, এদের সবাই হলেন নিকৃষ্ট কবিতার জনক।
ভিক্টোরিয়ান যুগের শ্রেষ্ঠ কবি আলফ্রেড টেনিসন। যেমন তাঁর কবিতার ছন্দ, তেমনি অন্ত্যমিল। রবীন্দ্রনাথ যে ছোট ছোট পঙক্তির অন্ত্যমিল সমৃদ্ধ কবিতা দিয়ে চমকে দিয়েছিলেন বাংলা কবিতাপাঠককে, তা এই টেনিসন থেকে ধার করা। একটু উদাহরণ দেওয়া যাক। টেনিসন তাঁর ‘দ্য লেডি অব শ্যালোট’ কবিতায় বলেন
ঙহ বরঃযবৎ ংরফব ঃযব ৎরাবৎ ষরব
খড়হম ভরবষফং ড়ভ নধৎষবু ধহফ ড়ভ ৎুব,
ঞযধঃ পষড়ঃযব ঃযব ড়িৎষফ ধহফ সববঃ ঃযব ংশু;
অহফ ঃযৎড়’ ঃযব ভরবষফ ঃযব ৎড়ধফ ৎঁহং নু
ঞড় সধহু-ঃড়বিৎ’ফ ঈধসবষড়ঃ;
ঞযব ুবষষড়-িষবধাবফ ধিঃবৎষরষু
ঞযব মৎববহ-ংযবধঃযবফ ফধভভড়ফরষষু
ঞৎবসনষব রহ ঃযব ধিঃবৎ পযরষষু
জড়ঁহফ ধনড়ঁঃ ঝযধষড়ঃঃ.
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘সোনার তরী’ কাব্যগ্রন্থ সাজিয়ে তোলেন এ ধারার ছোট ছোট মধুর অন্ত্যমিলসমৃদ্ধ পঙক্তিমালা দিয়ে। তাঁর বিখ্যাত ‘পুরস্কার’ কবিতা থেকে কয়েকটি পঙক্তি তুলে ধরা হলো এখানেÑ
গাঁথিছ ছন্দ দীর্ঘ হ্রস্ব--
মাথা ও মু-, ছাই ও ভস্ম;
মিলিবে কি তাহে হস্তী অশ্ব,
না মিলে শস্যকণা॥
অন্ন জোটে না, কথা জোটে মেলা,
নিশিদিন ধরে এ কী ছেলেখেলা!
ভারতীরে ছাড়ি ধরো এইবেলা
লক্ষ্মীর উপাসনা॥
ওগো ফেলে দাও পুঁথি ও লেখনী,
যা করিতে হয় করহ এখনি।
এত শিখিয়াছ, এটুকু শেখ নি
কিসে কড়ি আসে দুটো!’
দেখি সে মুরতি সর্বনাশিয়া
কবির পরান উঠিল ত্রাসিয়া,
পরিহাসছলে ঈষৎ হাসিয়া
কহে জুড়ি করপুট--॥
টেনিসন হতে এ ধারা আমদানি করে রবীন্দ্রনাথ বাংলা কবিতাকে সমৃদ্ধ করেছেন। সত্যি বলতে কী, গীতিকবিতার উৎকর্ষ সাধনে রবীন্দ্রনাথের ভূমিকা অনন্য।
উৎকৃষ্ট কবিতার তাহলে কী কী বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত? উৎকৃষ্ট কবিতাকে নিখুঁত ছন্দবদ্ধ হতে হবে; অন্ত্যমিল যদি থাকে, তাহলে তার নির্ভুল ব্যবহার থাকতে হবে; ‘নুন’-এর সাথে ‘গান’, ‘আসতে’-র সাথে ‘ডাকতে’---এরকম মিল নয়--’ নুন’-এর সাথে ‘খুন’, ‘আসতে’-র সাথে ‘হাসতে’Ñ এরকম; থাকতে হবে উপমা-উৎপ্রেক্ষা প্রভৃতি ভাষা-অলংকার, ভাষার আধুনিকতা, ম্যাসেজধর্মিতা, পরিত্যক্ত ছন্দ-প্যাটার্ন পরিহার করা উচিত (তবে পরিত্যক্ত ছন্দকে নতুন রূপে ব্যবহার করতে পারলে দোষণীয় নয়); শব্দ ও ভাষার আঁটসাঁট গাঁথুনি; অতিকথন পরিত্যজ্য; তুচ্ছ বিষয়কে প্রাধান্য না দেওয়া; সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্র জাতীয়তাবাদের প্রবেশ না ঘটা। টেনিসন বড় কবি বটে, কিন্তু শোভিনিজম বা উগ্র জাতীয়তাবাদের কারণে তাঁর কিছু কিছু কবিতা কাব্যিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলেছে। কবিতায় নানা বিশ্বাস ও মতবাদ থাকতে পারে; এমনকি কবিতা রাজনৈতিকও হতে পারে; কিন্তু তাকে অবশ্যই শিল্পোত্তীর্ণ হতে হবে। ল্যাঙোস্টন হিউজেজ, মায়া এঞ্জেলো প্রমুখ কৃষ্ণাঙ্গ কবি কৃষ্ণাঙ্গদেরকে নিয়ে কবিতা লিখে অমর হয়েছেন; পাবলো নেরুদা, নাজিম হিকমত, ফয়েজ আহমদ ফয়েজ, সুভাষ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ কবি কম্যুনিজম নিয়ে কবিতা লিখে বিখ্যাত; ওয়াল্ট হুয়িটম্যান গণতন্ত্রের কবি; জালালউদ্দীন রুমি, শেখ সাদী অধ্যাত্মবাদের কবি;ফররুখ আহমদ ইসলামী রেনেসাঁর কবি। ফলে দেখা যাচ্ছে, যে কোনো বিষয় নিয়েই কবিতা হতে পারে; কবিতা হওয়া না হওয়া নির্ভর করছে কেবল কবির উপর; বাঁশিতে কেমন সুর উঠবে তা বলতে পারে একমাত্র বাদকই।
বড় আশ্চর্যের কথা, সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’, মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীর ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ প্রভৃতি দুর্বল লেখাও এদেশে বিখ্যাত কবিতা হিসেবে প্রচারিত হয়েছে। ফলে তরুণ কবিরা হয়েছে বিভ্রান্ত। তাঁরাও ছন্দহীন, অলংকারহীন, নি¤œমানের গদ্যে লিখিত পঙক্তিমালাকেও কবিতা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার প্রয়াস পেয়েছে। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, এরশাদের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নি¤œমানের প্রচুর অকবিতা রচিত হয়েছে, যাকে কবিতা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার প্রয়াস লক্ষণীয়। কবিতা-সৃজনের সাধনায় যারা মগ্ন, তাঁদের কবিতা পরিষদ, কবিসংঘ, কবিতা কোম্পানি তৈরি করার অবকাশ কোথায়? অকবিরাই আওয়াজ করে নিজেদেরকে বড় কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। কবিকণ্ঠের আওয়াজ নয়, কবিতার আওয়াজই বলে দেবে কে কবি আর কে কবি নয়। আর তার জন্য চাই একাগ্রতা, একনিষ্ঠতা ও নিরলস নিমগ্নতা।
লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও অধ্যাপক
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

৮ গোলের অবিশ্বাস্য লড়াই শেষে ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

ঈদ মিছিলে মূর্তি ঈদের মূল স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: হেফাজত

ফার্নান্দেসের রিয়ালে যাওয়ার ব্যাপারে যা বললেন তার কোচ

রোনালদোকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন এমবাপে: আনচেলত্তি

উইন্ডিজের নেতৃত্ব ছাড়লেন ব্র্যাথওয়েট

ঈদের আনন্দ ৫ আগস্ট শুরু হয়েছে : শিবির সভাপতি

আমাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়েছিল: জামায়াত আমির

বাকিটা জীবন বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াবাসীর পাশে থাকতে চাই : ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন

পশ্চিমবঙ্গ-গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ২১

আমাদের চেতনার প্রাণপুরুষ আল্লামা ফুলতলী (র.)

লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে শিশু গুলিবিদ্ধ

রামুতে গুলিতে নিহতের ঘটনায় ২ টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার আটক ২

সিলেটে ৬ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে এক গৃহবধুর আত্মহত্যা
ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে মোরেলগঞ্জের পথে প্রান্তরে বিএনপি নেতা কাজী শিপন

ঈদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকে মুখরিত

কুমিল্লায় বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা বাসের, নিহত ৩

দাউদকান্দিতে এক যুবকের লাশ উদ্ধার

ঈদের পাঞ্জাবি নিয়ে বিপাকে বাবর, ডিজাইনারকে ছাঁটাই করতে বললেন ভক্তরা

লন্ডনে ঈদের জামাতে প্রকাশ্যে হাছান মাহমুদ

সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল যোগী আদিত্যনাথের