নতুন স্বাধীনতার প্রাপ্তি ও শঙ্কা

Daily Inqilab ড. মুহাম্মদ ঈসা শাহেদী

২৬ মার্চ ২০২৫, ০১:৩০ এএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০১:৩০ এএম

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলনে দেশের রাজনীতিতে প্রচ- ভূমিকম্প ঘটে গেছে গত জুলাই-আগস্টে ২০২৪। বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররাও ভাবতে পারেনি, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ধরে জাতির বুকের উপর চেপে বসা স্বৈরাচারের জগদ্দল পাথর চোখের পলকে সরে যাবে, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ‘বাড়া ভাত পাতে রেখে’ পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন। এই অকল্পনীয় অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে এখন বিভিন্ন মহলের দাবি উচ্চারিত হচ্ছে।

সত্য কথা হল, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দলন-দমনের হাত থেকে বিএনপি বা জামায়াতের কেউ রেহাই পায়নি। কিন্তু শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে তারা বারবার ব্যর্থ হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনে তাদের সমর্থন ছিল সত্য; কিন্তু কেউ প্রকাশ্যে সমর্থন জানানোর সাহস পর্যন্ত করেনি।
আমরা দেখছিলাম, ছাত্রদের সমর্থনে প্রথমে মাঠে নামে বামপন্থীরা, সংস্কৃতিসেবীরা। ইসলামী দলগুলোর মাঝে কেবল চরমোনাইর পীরের ইসলামী আন্দোলন মাঠে নেমে প্রতিবাদমুখর হয়। সরকারি দলন-দমনে ছাত্র আন্দোলন স্থবির হয়ে পড়লে মাদানী নগর মাদরাসার ছাত্ররা জানবাজি রেখে রাস্তায় নামে, ফলে আন্দোলন নতুন প্রাণ পায়। এই আন্দোলনের বৈশিষ্ট্য ছিল, স্কুল কলেজের ছাত্রদের পাশাপাশি মাদরাসার ছাত্ররাও মাঠে নামে। যা এবারের আন্দোলনের ব্যতিক্রমী চরিত্র বলতে হবে। এমতাবস্থায় হাসিনা সরকারের কবল থেকে নতুন বাংলাদেশ ছিনিয়ে আনার কৃতিত্ব ছাত্র সমাজের।

আসলে ছাত্র সমাজও নয়, শেখ হাসিনাকে বিদায় করতে পারবে, এমন বিশ্বাস তাদেরও ছিল না। শেখ হাসিনার পতনের জন্য যদি কৃতিত্ব দিতে হয় তা খোদ শেখ হাসিনাকেই দিতে হবে। তার গোয়ার্তুমি, আলোচনায় রাজি না হওয়া, আন্দোলনরত ছাত্রদের রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যা দেওয়ার মতো ঘটনাগুলো আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে। অতএব, হাসিনার পতনের জন্য এককভাবে কাউকে কৃতিত্ব দিতে হলে দিতে হবে তাকে, আরো পরিষ্কার ভাষায় তার বিষাক্ত লিকলিকে জিহ্বাকে। আসলে আল্লাহর ফায়সালা আসলে বুদ্ধিমানের চোখও অন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিনের অপকর্মের অভিশাপে সেদিন শেখ হাসিনাও অন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
আধিপত্যবাদী ভারতের বশংবদ শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে এখন আমরা স্বাধীনভাবে নিঃস্বাস নিতে পারছি। রমজানের দু একদিন আগে সন্ত্রাস বিরোধী বা মাদকদ্রব্য বিরোধী অভিযানের নামে পুরো রমজানে নিরীহ মানুষকে ধরপাকড় ও আতঙ্কের মধ্যে রাখা হতো আওয়ামী আমলে। রমজানে আল্লাহর রহমত নাজিল হয়, সর্বত্র শান্তি আর শান্তি বিরাজ করে মুসলিম সমাজের এই বিশ্বাসের উপর আঘাত করাই ছিল এসব অভিযানের মূল লক্ষ্য। গুলশানের হলি আর্টিজেনে হামলার ঘটনাটি ঘটানো হয়েছিল শবে কদরের রাতে। সম্ভবত দেড় দুই দশকের মধ্যে এবারেই রমজানে পুলিশের উপদ্রব আর গ্রেফতার বাণিজ্য নেই। এবারেই প্রথম ইফতারে, তারাবিতে ও সাহরিতে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘœ ঘটেনি। বিগত বছরগুলোতে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেও রমজান এলে দ্রব্যমূল্যে আগুন লেগে যেত। বলা হতো, ভারত থেকে পিঁয়াজ না এলে রান্নাবান্না শিকায় উঠবে। কিন্তু বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি বলছে, দ্রব্যমূল্য সহনীয় মাত্রায় রয়েছে। কোনো দেশে বিপ্লব বা অভ্যুত্থান ঘটলে অর্থনীতি ওলট পালট হয়ে যায়। দেশীয় মুদ্রার মূল্যমান তলানি ছুঁয়ে যায়। কিন্তু এবারের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে তেমন বিপর্যয় আসেনি। ডলারের মোকাবিলায় টাকার দামে বড় রকমের হেরফের হয়নি।

এসব সাফল্যের পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সরকার এখনো জনজীবনে পুরোপুরি স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারেনি। এর প্রধান কারণ, প্রশাসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধিত না হওয়া বা সংস্কারের পথে রাজনৈতিক দলসমূহের বাধা। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সামনে আছে দুটি বিষয়। সংস্কার ও নির্বাচন। সংস্কার আগে, না নির্বাচন আগে এ নিয়ে বিতর্কের আলামতও লক্ষণীয়। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে যারা এতগুলো নিরীহ মানুষকে হত্যা করে পালিয়ে গেল, যারা ব্যাংক বীমা আর্থিক খাতগুলোতে লুটপাটের তা-ব চালালো তাদের বিচার তো হতে হবে আগে। নচেৎ অবস্থা চাঁদাবাজির চেহারা পাল্টানোর মতোই থেকে যাবে। আগে এক ব্যানারে চাঁদাবাজি চলত, সিন্ডিকেট করে লুটপাটের মহোৎসব হতো এখন ব্যানার পাল্টিয়ে পুরোনোদের সাথে আঁতাত ও ভাগ-বাটোয়ারার ভিত্তিতে আরো বেশি মাত্রায় চাঁদাবাজি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

আমাদের আশংকা অন্য জায়গায়। ইসলামের নামে প্রচলিত দলগুলো নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে। তাদের সুর পাল্টে গেছে। মফস্বলে কর্মী সমর্থকদের মাঝে বললেও জাতীয় ফোরামগুলোতে তারা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সোচ্চার নন। ‘আল্লাহর আইন চাই, সৎলোকের শাসন চাই’ শ্লোগান আর শোনা যায় না। খেলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থার কথা যারা বলতেন, তাদের মুখেও কল্যাণ রাষ্ট্রের বন্দনা। আগে গণতন্ত্রের শ্লোগান দেয়া হতো, এখন শুনি কল্যাণরাষ্ট্র। কল্যাণরাষ্ট্রের কবজ গলায় ঝুলিয়ে তারা পশ্চিমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে চান কিনা সন্দেহ দানা বাঁধছে।

এই রমজানে আছিয়া নামের একটি শিশু ধর্ষকদের আদিম লালসার খোরাক হয়ে প্রাণ দিল। তার জন্য সবাই শোক প্রকাশ করল, কিন্তু এই সত্যটি উচ্চারণ করতে শোনা গেল না যে, সমাজে ব্যভিচার প্রতিরোধের জন্য আল্লাহ যে বিধান দিয়েছেন, সেই শরীয়া আইন চালু না থাকার কারণে সমাজে আছিয়ারা বারবার ধর্ষিত হচ্ছে, কাজেই দেশে শরীয়া আইনের কঠোর বিধান চালু করতে হবে।

শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। ব্যারাক থেকে আসলেও তিনি গণমানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছিলেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদ জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে এতো জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু আসল কথাটি তারা ঘুণাক্ষরেও উচ্চারণ করেন না। ৭২-এর সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম ছিল না। শহীদ জিয়া সংবিধানের শুরুতে বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম এবং তার সঠিক অনুবাদ সংযোজন করেছিলেন। সংবিধানের চার মূলনীতির একটি ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। তিনি ধর্মনিরপেক্ষতা মূলনীতি বিলোপ করে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস সকল কিছুর মূল’ মূলনীতি স্থাপন করেছিলেন। তদুপরি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে গ্যারান্টিযুক্ত করার জন্য একটি স্বতন্ত্র জাতিসত্তা নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যার মূল কথা ছিল, দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের চিন্তা চেতনা ও মূল্যবোধভিত্তিক বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। শহীদ জিয়ার এই আদর্শ বিস্মৃত হয়ে কোনো কোনো বিএনপি নেতা এখন এমন ভাষায় কথা বলছেন, যার মধ্যে আওয়ামী চিন্তা ও চেতনার প্রতিধ্বনি শোনা যায়।

সংবিধানে গণতন্ত্রের মূলনীতি বহাল আছে, এরপরও সংস্কার প্রক্রিয়ায় বহুত্ববাদ নামে এমন একটি মূলনীতি সংযোজনের কথা বলা হচ্ছে, যা ইসলামের একত্ববাদের বিপরীত, শিরক। পশ্চিমা দুনিয়ায় পরকিয়া, সমকামিতা ও বহুগামিতাকে বৈধতা দেয়ার জন্য বহুত্ববাদ পরিভাষা ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের একত্ববাদী সমাজে শিরকি ও জাহেলি ভাবাদর্শ সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার এ ধরনের প্রচেষ্টার আমরা কঠোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

সম্প্রতি নারী দিবসে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে যে অনুষ্ঠানটি হলো, সে দৃশ্য আমাদের আশংকা যথার্থ বলে প্রমাণ দেয়। নারী দিবসে এমন এক মহিলাকে অদম্য নারী পুরস্কার দেয়া হলো, যার সম্পর্কে রূপান্তরকামী হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাতে আমাদের শংকিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জনপ্রিয়তাকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে পশ্চিমা এলজিবিটির পঁচা অভিশপ্ত সংস্কৃতির প্রচলন বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে চালু করার পাঁয়তারা চলছে। ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অফিস খোলার তৎপরতার কথা শোনা যাচ্ছে, যা আমাদের আশংকাকে আরো বেশি তীব্র করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ ভারতের সেভেন সিস্টারকে পূর্ব তিমুর বানানোর একটি চক্রান্তের কথা ওরা অনেকটা প্রকাশ্যেই বলছে।

ফিলিস্তিনের ইতিহাস যারা পড়েছেন, গাজায় বর্তমান ইসরাইলি নির্মমতা-নিষ্ঠুরতার উপর যারা নজর রাখছেন তারা রমজানে কেবল আনুষ্ঠানিক ইবাদত বন্দেগিতে নিমগ্নতা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারেন না। চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। এমন কি নিজের দল ও দলীয় নেতাদের গতিপ্রকৃতি নিরীক্ষণ করতে হবে। সত্যের পথে অবিচল থাকতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মুসলিম ও ইসলামী পরিচয়ে এই ভূখ-ে জীবনযাপন করতে পারে, এই ভূখ- যাতে আরাকান না হয় তার জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে। শত্রুমিত্র চেনার বিবেক আল্লাহ দিয়েছেন। সেই বিবেককে কাজে লাগাতে হবে। আল্লাহর সাহায্যের মনোবলে ঋদ্ধ হয়ে যার যা আছে তা নিয়ে প্রস্ততি গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: ইসলামী চিন্তাবিদ ও গবেষক।


বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

জাগ্রত ভয় মনের মাঝে
আর কেউ বেঁচে নেই
সময়
মার্চের পদাবলি
অপসৃয়মাণ রেলগাড়ি
আরও
X

আরও পড়ুন

ঈদ মিছিলে মূর্তি ঈদের মূল স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: হেফাজত

ঈদ মিছিলে মূর্তি ঈদের মূল স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: হেফাজত

ফার্নান্দেসের রিয়ালে যাওয়ার ব্যাপারে যা বললেন তার কোচ

ফার্নান্দেসের রিয়ালে যাওয়ার ব্যাপারে যা বললেন তার কোচ

রোনালদোকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন এমবাপে: আনচেলত্তি

রোনালদোকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন এমবাপে: আনচেলত্তি

উইন্ডিজের নেতৃত্ব ছাড়লেন ব্র্যাথওয়েট

উইন্ডিজের নেতৃত্ব ছাড়লেন ব্র্যাথওয়েট

ঈদের আনন্দ ৫ আগস্ট শুরু হয়েছে : শিবির সভাপতি

ঈদের আনন্দ ৫ আগস্ট শুরু হয়েছে : শিবির সভাপতি

আমাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়েছিল: জামায়াত আমির

আমাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়েছিল: জামায়াত আমির

বাকিটা জীবন বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াবাসীর পাশে থাকতে চাই : ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন

বাকিটা জীবন বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াবাসীর পাশে থাকতে চাই : ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন

পশ্চিমবঙ্গ-গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ২১

পশ্চিমবঙ্গ-গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ২১

আমাদের চেতনার প্রাণপুরুষ আল্লামা ফুলতলী (র.)

আমাদের চেতনার প্রাণপুরুষ আল্লামা ফুলতলী (র.)

লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে শিশু গুলিবিদ্ধ

লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে শিশু গুলিবিদ্ধ

রামুতে গুলিতে নিহতের ঘটনায় ২ টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার আটক ২

রামুতে গুলিতে নিহতের ঘটনায় ২ টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার আটক ২

সিলেটে ৬ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে এক গৃহবধুর আত্মহত্যা

সিলেটে ৬ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে এক গৃহবধুর আত্মহত্যা

ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে মোরেলগঞ্জের পথে প্রান্তরে বিএনপি নেতা কাজী শিপন

ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে মোরেলগঞ্জের পথে প্রান্তরে বিএনপি নেতা কাজী শিপন

ঈদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকে মুখরিত

ঈদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকে মুখরিত

কুমিল্লায় বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা বাসের, নিহত ৩

কুমিল্লায় বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা বাসের, নিহত ৩

দাউদকান্দিতে এক যুবকের লাশ উদ্ধার

দাউদকান্দিতে এক যুবকের লাশ উদ্ধার

ঈদের পাঞ্জাবি নিয়ে বিপাকে বাবর, ডিজাইনারকে ছাঁটাই করতে বললেন ভক্তরা

ঈদের পাঞ্জাবি নিয়ে বিপাকে বাবর, ডিজাইনারকে ছাঁটাই করতে বললেন ভক্তরা

লন্ডনে ঈদের জামাতে প্রকাশ্যে হাছান মাহমুদ

লন্ডনে ঈদের জামাতে প্রকাশ্যে হাছান মাহমুদ

সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল যোগী আদিত্যনাথের

সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল যোগী আদিত্যনাথের

মির্জাপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিরোধপূর্ণ দুই ঈদগাহসহ আড়াই শতাধিক মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের জামাত

মির্জাপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিরোধপূর্ণ দুই ঈদগাহসহ আড়াই শতাধিক মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের জামাত