নাডিন গর্ডিমার : এক অসামান্য যোদ্ধার নাম
৩০ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭ এএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭ এএম

নাডিন গর্ডিমার (২০ নভেম্বর, ১৯২৩-১৩ জুলাই, ২০১৪) দক্ষিণ আফ্রিকার প্রখ্যাত লেখিকা, রাজনৈতিক কর্মী ও ১৯৯১ সালে সাহিত্যে নোবেল প্রাইজ বিজয়ী প্রথম আফ্রিকান মহিলা ঔপন্যাসিক। নোবেল প্রাইজ কমিটি তাঁকে অভিহিত করে এমন এক লেখিকা হিসেবে, ‘যিনি তাঁর মহাকাব্যিক লেখনির মাধ্যমে আলফ্রেড নোবেলের জগতে মানবতার জন্য সহায়ক হয়েছেন।’ গর্ডিমারের সাহিত্য মূলত নৈতিকতা ও জাতিগত বিষয়সমূহ নিয়েই রচিত, বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণ-বৈষম্যই তাঁর সাহিত্যের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। তখনকার শ্বেত-শাসনামলে তাঁর বার্গারস ডটার এবং জুলিস পিপল-এর মতো বিখ্যাত উপন্যাসগুলো নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। তিনি ছিলেন বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী।
মহিয়ষী এ লেখিকা ১৯২৩ সালের ২০ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার সোনার খনির ছোট্ট শহর স্প্রিংস-এ জন্মগ্রহণ করেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় তাঁরা ছিলেন বহিরাগত। তাঁর মায়ের জন্ম ইংল্যাণ্ডে , পিতার লাটভিয়ায়। জন্মসূত্রে তাঁরা ছিলেন ইহুদি। কিন্তু তিনি লালিত পালিত হন একটি প্রগতিশীল পরিবেশে। ১৯৩০-এর দক্ষিণ আফ্রিকায় সাদা-কালোর ভেদাভেদ ছিলো ভয়াবহ। কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানরা, বিশেষ করে যারা শহরের সোনার খনিগুলোতে কাজ করতো, ছিলো প্রচণ্ড বৈষম্যের শিকার। তাদেরকে কোনো নাগরিক অধিকারই দেওয়া হতো না। তাঁর মা ন্যান দক্ষিণ আফ্রিকার এ ধরনের প্রথার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান এবং শহরের স্বর্ণখনির কৃষ্ণাঙ্গ শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য একটি ডে-কেয়ার সেন্টার তৈরি করেন। সমাজের এ হেন নিষ্ঠুর বাস্তবতা নাডিন গর্ডিমারের কচিমনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। মা ন্যানের মতোই তিনিও বর্ণবৈষম্য-বিরোধী হয়ে ওঠেন, যা পরবতীকালে তাঁর সমস্ত ছোটগল্প ও উপন্যাসের মূল চারিত্র্য রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়।
ছোটকাল থেকেই নাডিন গর্ডিমার লেখালেখি শুরু করেন। নৃত্যের প্রতিও তাঁর প্রচণ্ড ঝোঁক ছিলো। ফলে তাঁর মা তাঁকে নৃত্যের ক্লাসে ভর্তি করে দেন। কিন্তু তাঁর আকস্মিক অসুস্থতা তাঁর মাকে ভয় পাইয়ে দেয় এবং তিনি তাঁকে নৃত্যের ক্লাস থেকেই শুধু নয়, পুরোপুরি স্কুল থেকেই প্রত্যাহার করে নেন। এরপর থেকে শুরু হয় গর্ডিমারের ঘরে বসে শিক্ষা জীবন। এরকম নিঃসঙ্গ জীবনের মাঝখানে, বন্ধুবিহীন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাধ্যবাধকতাবিহীন, গর্ডিমার নিজেকে ডুবিয়ে দেন মুক্ত-স্বাধীন বইপড়ার জগতে। তিনি ছোটগল্প লেখা শুরু করেন এবং তাঁর প্রথম ছোটগল্প প্রকাশিত হয় একটি লোকাল পত্রিকার শিশুসাহিত্য বিভাগে। তাঁর বয়স যখন ১৫, তখন তাঁর প্রথম গল্প প্রকাশিত হয় বড়দের জন্য।
স্বল্প কিছু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বদৌলতে গর্ডিমার ইউরোপিয়ান কথাসাহিত্যের কয়েকজন দিকপালের উপর গভীর জ্ঞান অর্জন করেন, বিশেষ করে প্রুস্ত, আন্তন চেখভ ও দস্তয়িভস্কি প্রমুখ কথাসাহিত্যিকের উপর ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করেন, যা তাঁর সাহিত্যভাবনাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। স্বল্প সময়ের জন্য তিনি উয়িটওয়াটারস্র্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন, যেখানে প্রথমবারের মতো তিনি শিক্ষিত কৃষ্ণ-আফ্রিকান তরুণদের দেখা পান। তিনি অনেক কৃষ্ণাঙ্গ শিল্পী ও লেখকদের সম্পর্কে এখানে এসে জানতে পারেন, যারা জোহানেসবার্গের সোফিয়াটাউনে এসে পরস্পর মিলিত হতেন।
গর্ডিমার কোনো ডিগ্রি ছাড়াই কলেজজীবন পরিত্যাগ করেন এবং ১৯৪৮ সালে জোহানেসবার্গে স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করেন। ওই বছরই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ন্যাশনাল পার্টি সোফিয়াটাউন থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের উচ্ছেদ করে শ্বেতাঙ্গদের আভিবাসিত করার অভিযান শুরু করে। গর্ডিমার মনের দিক থেকে কিছুতেই এটা মেনে নিতে পারেন না। এ সময় গর্ডিমার শ্রমিক নেতা বেটি ডু টোয়িট-এর সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তোলেন, যিনি তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা ও প্রতিক্রিয়াশীল শ্বেতাঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হওয়ার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেন।
গর্ডিমারের প্রথম গল্পগ্রন্থ ফেস টু ফেস প্রকাশিত হয় ১৯৪৯ সালে। এর পরপরই তাঁর আরও দুটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয় টাউন এন্ড কান্ট্রি লাভারস এবং দ্য সফট ভয়েস অব দ্য সার্পেন্ট (১৯৫২)। দেশের বাইরে তাঁর লেখা প্রথম পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে ১৯৫১ সালে, যখন তাঁর ছোটগল্প দ্য নিউ ইয়র্কার ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হতে শুরু করে। দ্য নিউ ইয়র্কার তাঁর প্রথম ছোটগল্প ছাপে ‘এ ওয়াচার অব দ্য ডেড’। গর্ডিমার, যিনি বিশ্বাস করতেন ছোটগল্প হলো আমাদের যুগের আক্ষরিক রূপ, একের পর এক গল্প প্রকাশ করে চলেন দ্য নিউ ইয়র্কার ও অন্যান্য বিখ্যাত সাহিত্য-জার্নালে। তাঁর প্রথম উপন্যাস দ্য লায়িং ডেইজ প্রকাশিত হয় ১৯৫৩ সালে। এটা তাঁর সবচেয়ে বেশি আত্মজৈবনিক উপন্যাস, যেখানে তিনি তাঁর নিজের শহর স্প্রিংস-এর একজন যুবতি মহিলার রাজনীতি-সচেতন হয়ে ওঠার কাহিনী বর্ণনা করেছেন।
তাঁর প্রথম বৈবাহিক জীবন মোটেও সুখের ছিলো না। ১৯৪৯ সালে তিনি গেরাল্ড গেভরন নামে একজন লোকাল ডেন্টিস্টকে বিবাহ করেন। তিন বছর পর তাঁরা বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। প্রথম বিবাহসূত্রে ওরিয়েন নামে তাঁর একটি কন্যার জন্ম হয়, ১৯৫০ সালে। ১৯৫৪ সালে তিনি রেইনহোল্ড কেসিয়ার নামে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত চিত্র-ব্যবসায়ীকে বিবাহ করেন, যিনি নাৎসি জার্মানী থেকে শরণার্থী হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসেন। এটা ছিলো একটা চমৎকার বৈবাহিক সম্পর্ক, যা ৪৭ বছর পর্যন্ত, রেইনহোল্ড কেসিয়ারের ২০০১ সালে মৃত্যু ঘটা পর্যন্ত, স্থায়ী হয়। গর্ডিমার ও কেসিয়ারের পুত্র হুগো জন্মগ্রহণ করে ১৯৫৫ সালে।
১৯৬০-এর দশকের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকান সরকার কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান এবং শ্বেত-সরকারের সমালোচক সমস্ত কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে। ১৯৬০ সালে বেটি ডু টোয়িট গ্রেফতার হন ও কারাবরণ করেন। এ সময়ে তৎকালীন সরকার কর্তৃক সংঘটিত কৃষ্ণাঙ্গ প্রতিবাদকারীদের রক্তাক্ত হত্যাযজ্ঞ গর্ডিমারের রক্তে-মাংসে সরকারবিরোধী দাবানল জ্বালিয়ে দেয়। তিনি ব্রায়াম ফিসকার ও জর্জ বিজোস নামক আইনবিদদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন, যাঁরা ১৯৬২ সালে নেলসন ম্যান্ডেলার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার বিচারকার্য চলাকালে ম্যান্ডেলার পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে যান।
.গর্ডিমারের সেরা উপন্যাসের একটি এ ওয়াল্ড অব স্ট্রেনজারস (১৯৫৮) দক্ষিণ আফ্রিকান সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। কিন্তু তাঁর সাহিত্যকর্ম বহির্বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে এবং ১৯৬১ সালে তিনি ডাব্লিউ এইচ স্মিত কমনওয়েলথ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। শ্বেতাঙ্গ সরকারের তীব্র বিরোধিতা সত্তেও গর্ডিমার সাহিত্যে বর্ণবৈষম্য বিরোধী চিন্তার সমাবেশ ঘটাতে থাকেন। তাঁর ১৯৬৩ সালের উপন্যাস অকেজন ফর লাভিং একজন কৃষ্ণাঙ্গের সাথে একজন শ্বেতাঙ্গ মহিলার প্রেম বিষয়ক চিত্র তুলে ধরে যখন কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ বিবাহ আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাঁর এ গেস্ট অব অনার (১৯৭১) উপন্যাস সমগ্র ইংরেজি-বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে এবং জেইমস টেইট ব্ল্যাক মেমোরিয়াল প্রাইজে ভূষিত হয়। ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত তাঁর দ্য কনজারভ্যাশানিস্ট উপন্যাসটি মাস্টানপিস হিসেবে পরিগণিত হয় এবং যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ সাহিত্য-সম্মাননা বুকার প্রাইজ অর্জন করে।
১৯৭০-এর দশকে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) ও দ্য ন্যাশনাল পার্টি সরকারের মধ্যে যখন সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু হয়, নাডিন গর্ডিমার তখন একের পর এক যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বক্তৃতা করার জন্য ভ্রমণ করেন। বহুবার তাঁকে দেশের বাইরে স্থায়ীভাবে বসবাসের অফার প্রদান করা হয় কিন্তু তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। বরং বারবার তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করে বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিজেকে ব্যাপৃত রাখেন। সরকার ১৯৭৯ সালে তাঁর বার্গারস ডটার উপন্যাসটি নিষিদ্ধ করে। তাঁর পরবর্তী উপন্যাস জুলিস পিপল (১৯৮১)-এ গর্ডিমার বর্ণ-বৈষম্য পরবর্তী এমন এক ভবিষ্যতের কল্পনা করেন, যেখানে সংঘর্ষপূর্ণ কৃষ্ণাঙ্গ বিপ্লব বহু শ্বেতাঙ্গকে আত্মগোপন করতে বাধ্য করে। উপন্যাসের শিরোনামটি নির্দেশ করে জুলি নামের একজন ভৃত্যকে, যে তার পূর্বেকার চাকরিদাতাদেরকে তাঁর নিজস্ব গ্রামে লুকিয়ে রাখে, যেখানে আস্তে আস্তে তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর সমাজিক মর্যাদা অর্জন করে। তাঁর এ উপন্যাসটিও নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ পাঠকরা তাঁর লেখার দিকে ঝুঁকে পড়ে। সমগ্র বিশ্বে তাঁর গ্রন্থগুলো বর্ণবৈষম্যজনিত অসংগতি ও অবিচারের দলিল হিসেবে বিবেচিত হতে থাকে। ১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, বর্ণবাদ প্রথা টিকে থাকা উচিত নয়।
১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বহু প্রতীক্ষিত ঐতিহাসিক পরিবর্তন সংঘটিত হতে শুরু করে। সরকার দি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসকে বৈধ বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি দেয় এবং তারা একটি বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দর কষাকষি শুরু করে। নেলসন ম্যান্ডেলাকে কারাগার থেকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। নেলসন ম্যা-েলা কারাগার থেকে বের হয়ে সর্বপ্রথম যে-সমস্ত মানুষের সাক্ষাৎ পাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠেন, তাঁদের একজন হলেন নাডিন গর্ডিমার। ১৯৯১ সালে নাডিন গর্ডিমারকে তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য নোবেল প্রাইজ প্রদান করা হয়। পুরস্কারের জন্য তাঁকে নির্বাচিত করে সুইডিশ একাডেমি তাঁর সাহিত্যের তীব্র তাৎক্ষণিকতার প্রশংসা করে ও তাঁর সাহিত্যকর্মকে ‘সবচেয়ে জটিল ব্যক্তিক ও সামাজিক সম্পর্ক’ বলে আভিহিত করে। বাস্তবিকই তাঁর সাহিত্য কেবল মানবতার কথাই বলে, যে-মানবতার স্বপ্ন দেখেছিলেন আলফ্রেড নোবেল, যখন তিনি এ পুরস্কার প্রবর্তন করেন।
গর্ডিমারের নোবেল প্রাইজ প্রাপ্তি কেবল তাঁর উপন্যাসের অর্জনকেই স্বীকৃতি দেয় না, ছোটগল্পে তিনি যে অসমান্য মাস্টারি অর্জন করেন, এটা ছিলে তারও স্বীকৃতি। ১৬টি গল্প-সংকলন প্রকাশিত হয় তাঁর জীবদ্দশায়, যার সর্বশেষটি হলো বিটোফেন ওয়াজ ওয়ান-সিক্সটিনথ ব্ল্যাক (২০০৭)। তাঁর ১৫তম ও সর্বশেষ উপন্যাস নো টাইম লাইক দ্য প্রেজেন্ট প্রকাশিত হয় ২০১২ সালে। এই মহিয়সী নারী মৃত্যুবরণ করেন ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই নব্বই বছর বয়েসে।
প্রায়ই তাঁকে অভিযুক্ত করা হয় তাঁর সাহিত্যে রাজনীতির সংশ্লিস্টতার কারণে। জাস্টিন কার্টরাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাডিন গর্ডিমার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তোমার চারপাশের প্রভাবকে তুমি স্বীকার করো আর নাই করো, তুমি তোমার সামাজিক বেষ্টনির মধ্যে আবদ্ধ এবং এভাবেই তুমি বেড়ে উঠছো। লেখক হওয়া মানেই হলো গণজীবনে প্রবেশ করা। লেখক হিসেবে আমি তো কেবল জীবনকেই আবিষ্কার করে গেছি।’ বাস্তবিকই গণবিচ্ছিন্ন সাহিত্য কখনও সাহিত্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না।
লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও অধ্যাপক
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ঈদ মিছিলে মূর্তি ঈদের মূল স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: হেফাজত

ফার্নান্দেসের রিয়ালে যাওয়ার ব্যাপারে যা বললেন তার কোচ

রোনালদোকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন এমবাপে: আনচেলত্তি

উইন্ডিজের নেতৃত্ব ছাড়লেন ব্র্যাথওয়েট

ঈদের আনন্দ ৫ আগস্ট শুরু হয়েছে : শিবির সভাপতি

আমাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়েছিল: জামায়াত আমির

বাকিটা জীবন বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াবাসীর পাশে থাকতে চাই : ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন

পশ্চিমবঙ্গ-গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ২১

আমাদের চেতনার প্রাণপুরুষ আল্লামা ফুলতলী (র.)

লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে শিশু গুলিবিদ্ধ

রামুতে গুলিতে নিহতের ঘটনায় ২ টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার আটক ২

সিলেটে ৬ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে এক গৃহবধুর আত্মহত্যা
ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে মোরেলগঞ্জের পথে প্রান্তরে বিএনপি নেতা কাজী শিপন

ঈদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকে মুখরিত

কুমিল্লায় বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা বাসের, নিহত ৩

দাউদকান্দিতে এক যুবকের লাশ উদ্ধার

ঈদের পাঞ্জাবি নিয়ে বিপাকে বাবর, ডিজাইনারকে ছাঁটাই করতে বললেন ভক্তরা

লন্ডনে ঈদের জামাতে প্রকাশ্যে হাছান মাহমুদ

সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল যোগী আদিত্যনাথের

মির্জাপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিরোধপূর্ণ দুই ঈদগাহসহ আড়াই শতাধিক মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের জামাত