ঈদুল ফিতরের পুরস্কার
৩০ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭ এএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৭ এএম

ঈদ শব্দের অর্থ খুশি, আনন্দ, অনুষ্ঠান, উৎসব ইত্যাদি। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় ঈদ অর্থ প্রত্যাবর্তন বা ফিরে আসা। ঈদ প্রতি বছর মুসলিম উম্মাহর ঘরে নতুন আঙ্গিকে ফিরে আসে এবং আনন্দে উদ্বেলিত করে তোলে তাই এটিকে ঈদ বলা হয়। ঈদ মুসলমানদের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব এবং বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহর জাতীয় অনুষ্ঠান। মুসলিমগণ প্রতি বছর এ উৎসব পালনের মাধ্যমে ধর্মীয় চেতনায় নতুনভাবে উজ্জীবিত হয়। বছরে দুটি ঈদ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। একটি হচ্ছে ঈদুল ফিতর, অন্যটি হচ্ছে ঈদুল আজহা। এ দুই দিনে মুসলমানরা আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে মহান আল্লাহর নির্দেশ পালন করে এবং সকল অশান্তি, অসাম্য ও বিভেদ ভুলে গিয়ে ধনী-গরীব এক কাতারে শামিল হয়ে জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করে উৎসবে মুখরিত করে তোলে গোটা পৃথিবীকে। তাই এ দুটি অনুষ্ঠান মুসলিম উম্মাহর জন্য সর্বোচ্চ খুশি বা আনন্দের অনুষ্ঠান।
ঈদের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: ঈদের বিধান ইসলামের প্রথম দিকে ছিল না। মহানবী (সা.)-এর মক্কার ১৩ বছরের জীবনে রোজা ও ঈদের বিধান প্রচলন ছিল না। মক্কার কাফেরদের অত্যাচারে দীর্ঘ ১৩ বছর অতিবাহিত করার পর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নবী করিম (সা.) এর ওপর হিজরতের নির্দেশ আসে। সে অনুযায়ী মহানবী (সা.) ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মহান আল্লাহর নির্দেশে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন। হিজরতের সময় হযরত আবু বকর (রা.) নবী করিম (সা.) এর সাথে ছিলেন। মদিনায় মহানবী (সা.) এর আগমনের পূর্বে দুটি উৎসব চালু ছিল। উৎসব দুটির নাম হচ্ছে- ‘নওরোজ’ ও ‘মেহেরজান’। এ দুটি উৎসবের বাইরে আর কোনো উৎসবের প্রচলন সেখানে ছিল না। মদিনাবাসীরা নববর্ষ উপলক্ষে নওরোজ উৎসব পালন করত, আর বসন্তকাল উপলক্ষে মেহেরজান অনুষ্ঠান পালন করত। তারা সেখানে বেপরোয়া আনন্দ-ফুর্তি ও খেল-তামাশা করত। যার মধ্যে অশ্লীলতা, মদপান, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা ও বেহায়াপনার অঢেল সংমিশ্রণ ছিল। এ উৎসবে নারী-পুরুষের অনৈতিক কর্মকান্ডকে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত করা হত।
হিজরতের পর মহানবী (সা.)-এর আহ্বানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মদিনাবাসী ইসলাম কবুল করে কুরআনের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়। ইসলাম গ্রহণের সুবাদে তখন তাদের জন্য ‘নওরোজ’ ও ‘মেহেরজান’ অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তারা মহানবী (সা.)-এর কাছে এমন উৎসব কামনা করেন, যেখানে শরীয়ত সম্মত পন্থায় বৈধভাবে আনন্দ অনুষ্ঠান বা উৎসব করা যায়। ইতোমধ্যে মধ্যে দুটি বছরও অতিক্রান্ত হয়ে যায়। এক সময় রমজান মাসের রোজা ফরজ ছিল না। আল্লাহ তায়ালা ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে রমজানের রোজা ফরজ করেন। এ সময় আল্লাহ তাআলা জাহেলি যুগের দুটি উৎসবের পরিবর্তে মুসলমানদের জন্য দুটি উৎসব প্রবর্তনের ঘোষণা দেন। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘মহান আল্লাহতায়ালা তোমাদের জন্য এ দুটির পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দুটি দিন দান করেছেন। এদের মধ্যে একটি হলো ঈদুল ফিতর অন্যটি হলো ঈদুল আজহা।’ [সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৬ এবং মুসনাদে আহমাদ: ১৩৬৪৭ নম্বর হাদিস]
এ দুই উৎসবে মুসলিমগণ পারস্পরিক ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ব, সহানুভূতি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের উজ্জ্বল ও অনুপম দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করে। সকল ভেদাভেদ, অনৈক্য ও গ্লানি ভুলে যায়। আল্লাহ তাবারক তায়ালা উম্মতে মুহাম্মাদীকে এমন দুটি আনন্দময় ও বরকতময় উৎসব উপহার দিয়েছেন- যা অতীতের কোনো উম্মতকে দেননি। ঈদুল ফিতর এ দুটি উৎসবের মধ্যে অন্যতম। ঈদুল ফিতর সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে। একটি রোজা ভেঙে ইফতারের আনন্দ। যেটি ঈদুল ফিতরের সাথে সম্পৃক্ত। অন্যটি হলো আখিরাতে আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের আনন্দ।’ [সহীহ আল বুখারী: ১৯০১, সহীহ মুসলিম ও তিরমিজি: ৬৮২ নম্বর হাদিস]।
ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য: ঈদুল ফিতরের তাৎপর্য বর্ণনা করে শেষ করা যায় না। আরবি ভাষায় ফিতর শব্দের অর্থ রোজা বা উপবাস ভঙ্গ করা। ঈদুল ফিতর যেহেতু রোজার সাথে সম্পৃক্ত তাই ঈদুল ফিতর অর্থ রোজা বা উপবাস ভঙ্গের আনন্দ। যদি কোনো মানুষ সারাদিন ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকার পর দিন শেষে খাবার খাওয়ার সুযোগ পায়, তখন তার আনন্দের সীমা থাকে না। যেহেতু দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর রোজাদার দিনের বেলায় আহার গ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে তখন সে বিভিন্নভাবে আনন্দ প্রকাশ করে। তাই এ আনন্দ প্রকাশের অনুষ্ঠানকে ঈদুল ফিতর বলা হয়। রমজান শেষে শাওয়ালের চাঁদ দেখে পরের দিন মুসলিম উম্মাহ ঈদগাহে অথবা মসজিদে সমবেত হয়ে বিপুল আনন্দের সাথে আমির-ফকির, ছোট-বড়, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, রাজা-বাদশাহ সকলে সম্মিলিতভাবে যে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করে, তাই ঈদুল ফিতরের নামাজ। রমজান মাসের রোজা সমাপ্তির পর আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতাস্বরূপ তাঁর মাহিমা ও শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করা প্রতিটি মুমিনের জন্য অপরিহার্য কাজ। আল্লাহর মহিমা বর্ণনা করা আল্লাহর হুকুম। আল্লাহতাআলা বলেন, ‘মহান আল্লাহর উদ্দেশ্য হচ্ছে- তোমরা যেন গুনে গুনে রমজানের সংখ্যাগুলো পূর্ণ করতে পার। আল্লাহ তোমাদের কুরআনের মাধ্যমে জীবন যাপনের যে পদ্ধতি শিখিয়েছেন, তার জন্য তোমরা আল্লাহর মাহিমা ও মাহাত্ম্য বর্ণনা কর, যেভাবে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। আর এভাবেই হয়তো তোমরা তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারবে।’ [সুরা বাকারা:১৮৫ আয়াত]। মুফাসসিরগণ বলেন, ঈদের দিন জোরে জোরে নি¤œলিখিত তাকবির পাঠ করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব। ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু। ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ [দারুল কুতুনি]।
ঈদের নামাজ কখন ও কোথায় পড়তে হয়: ঈদের নামাজ সূর্যাস্তের পর থেকে জোহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পড়া যায়। এ নামাজ জামায়াতের সাথে ঈদগাহে আদায় করা ওয়াজিব। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনে ঈদগাহে যেতেন।’ [সহীহ আল বুখারি]। তবে বিশেষ কারণে ঈদগাহে আদায় করতে না পারলে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করার বিধান রয়েছে। প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টির সময় ঈদগাহে নামাজ আদায় সম্ভব না হলে তখন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করা জায়েজ। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘একবার বৃষ্টি হওয়ায় মহানবী (সা.) সবাইকে নিয়ে মসজিদে ঈদের সালাত পড়েন।’ [আবু দাউদ শরীফ]। এ থেকে বুঝা যায়, প্রতিকুল আবহাওয়ার সময় ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করা সম্পূর্ণ জায়েজ।কেউ জামায়াতে ঈদের নামাজ আদায় করতে না পারলে একা একা পড়া অথবা কাজা আদায় করতে হয় না। কারণ ঈদের নামাজের কোনো কাজা নেই। তবে কেউ যদি ইমামের সাথে এক রাকাত পায়, তবে অন্য রাকাতটি নির্দিষ্ট তাকবির দিয়ে একা একা আদায় করার বিধান রয়েছে।
ঈদুল ফিতরের সুন্নতসমূহ: ঈদুল ফিতরের দিন ফজরের পর আর কোনো ইবাদত না করে ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা অপরিহার্য কর্তব্য। নামাজের আগে মেসওয়াক করা, গোসল করা, পবিত্র ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, চোখে সুরমা লাগানো, সামর্থ্য অনুযায়ী উত্তম খাবারের ব্যবস্থা করা, পরিবার-পরিজনসহ খাওয়া, প্রতিবেশী, এতিম, মিসকিন ও গরিব-দুঃখীদের সাধ্যমতো খাওয়ানোর চেষ্টা করা, ঈদগাহে যাওয়ার আগে মিষ্টান্ন খাওয়া, সাদাকাতুল ফিতর আদায় করা ইত্যাদি। যথাসময়ে ঈদগাহে গমন করা, ঈদগাহে যে পথে যাবে নামাজ শেষে অন্য পথে ফিরে আসা, যাওয়া-আসার পথে তাকবির দেয়া, যথাসম্ভব হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া, ঈদের খুতবা মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করা ইত্যাদি ঈদুল ফিতরের সুন্নাত। এ সুন্নাতসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
ঈদুল ফিতরের ক্ষমা ও পুরস্কার: ঈদুল ফিতর আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ পুরস্কার বা উপহার। ঈদগাহে উপস্থিত সব রোজাদারকে মহান আল্লাহ ঈদের দিন ক্ষমা করে দেন এবং তাদের সব মন্দ কাজকে ভালো কাজ দিয়ে পরিবর্তন করে দেন। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বড় পুরস্কার। মহানবী (সা.) বলেন, ‘ঈদুল ফিতরের দিন আল্লাহ ফেরেশতাদের সামনে রোজা পালনকারীদের নিয়ে গর্ববোধ করতে থাকেন। তিনি বলেন, হে আমার ফেরেশতাগণ! যে শ্রমিক পরিপূর্ণ কাজ করেছে তার পুরস্কার কী? তখন ফেরেশতারা বলেন, তার পুরস্কার পরিপূর্ণভাবে প্রদান করা আবশ্যক। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছে এবং তারা উচ্চ স্বরে তাকবির ধ্বনি দিয়ে ঈদগাহে উপস্থিত হয়েছে। আমার মর্যাদা, সম্মান ও গাম্ভীর্যের কসম! আমি তাদের ডাকে সাড়া দেব। তারপর আল্লাহ বলেন, আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম। মহানবী (সা.) বলেন, এজন্য তারা ক্ষমা প্রাপ্ত হয়ে ঘরে ফিরে আসে।’ [মিশকাত আল মাসাবি]। ক্ষমা একটি বিশাল পুরস্কার। আর এ পুরস্কারটাই রোজাদারদের জন্য আল্লাহ তায়ালা দিয়ে থাকেন। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘রোজা আমার জন্য এবং আমি নিজেই রোজার পুরস্কার দিয়ে থাকি।’
পরিশেষে বলা যায়, ঈদুল ফিতর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ এক অনুগ্রহ ও উপহার, যার মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করে দেন এবং বান্দা তার প্রতিপালকের সাথে সম্পর্ক মজবুত করার সুযোগ লাভ করে। ঈদ মুসলমানদের জন্য বয়ে আনে এক অনাবিল আনন্দ এবং সৃষ্টি করে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসার বন্ধন। পাশাপাশি ঈদের বরকতে আল্লাহ তাঁর বান্দাকে সম্মানের সাথে পুরস্কৃত করেন।
লেখক: শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট।
বিভাগ : বিশেষ সংখ্যা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

ঈদ মিছিলে মূর্তি ঈদের মূল স্পিরিটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক: হেফাজত

ফার্নান্দেসের রিয়ালে যাওয়ার ব্যাপারে যা বললেন তার কোচ

রোনালদোকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন এমবাপে: আনচেলত্তি

উইন্ডিজের নেতৃত্ব ছাড়লেন ব্র্যাথওয়েট

ঈদের আনন্দ ৫ আগস্ট শুরু হয়েছে : শিবির সভাপতি

আমাকে যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখানো হয়েছিল: জামায়াত আমির

বাকিটা জীবন বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াবাসীর পাশে থাকতে চাই : ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন

পশ্চিমবঙ্গ-গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ২১

আমাদের চেতনার প্রাণপুরুষ আল্লামা ফুলতলী (র.)

লক্ষ্মীপুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে শিশু গুলিবিদ্ধ

রামুতে গুলিতে নিহতের ঘটনায় ২ টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র উদ্ধার আটক ২

সিলেটে ৬ তলা ভবন থেকে লাফ দিয়ে এক গৃহবধুর আত্মহত্যা
ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ে মোরেলগঞ্জের পথে প্রান্তরে বিএনপি নেতা কাজী শিপন

ঈদে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকে মুখরিত

কুমিল্লায় বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা বাসের, নিহত ৩

দাউদকান্দিতে এক যুবকের লাশ উদ্ধার

ঈদের পাঞ্জাবি নিয়ে বিপাকে বাবর, ডিজাইনারকে ছাঁটাই করতে বললেন ভক্তরা

লন্ডনে ঈদের জামাতে প্রকাশ্যে হাছান মাহমুদ

সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল যোগী আদিত্যনাথের

মির্জাপুরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিরোধপূর্ণ দুই ঈদগাহসহ আড়াই শতাধিক মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে ঈদের জামাত