না ফেরার দেশে কিংবদন্তি ফুটবলার জাকারিয়া পিন্টু
১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
দিনক্ষণটা ঠিক মনে করতে পারছি না। তবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের তৎকালীন প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়াহিয়ার কক্ষে বসে এমনই এক হেমন্তের দুপুরে আড্ডার মধ্যমণি জাকারিয়া পিন্টু। কথাচ্ছলে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই অধিনায়ক বলছিলেন, ‘আমার তিনটি রেকর্ড কেউ কোনোদিন ভাঙতে পারবে না।’ উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থাকি ফুটবলের মাঠে অসংখ্য নকশি বুননের কারিগরের মুখের দিকে। কথার ফুলঝুরি ছোটানো আড্ডাতেও যিনি পটিয়শী। প্রশ্নের অপেক্ষায় না থেকে নিজেই বলতে থাকেন, ‘প্রথমত, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল একটিই, আর আমিই সেটির একমাত্র অধিনায়ক। দ্বিতীয়ত, আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে কোনো হলুদ বা লাল কার্ড নেই। আর তৃতীয়ত, ‘ডিফেন্ডার হয়েও রমজান মাসে রোজা রেখেই খেলেছি সবসময়।’
তার কথার সুরে ধরিয়ে দেই, ‘আপনি তো বিয়ের দিন ভাবীকে বাসর ঘরে রেখেও মাঠে নেমে গিয়েছিলেন?’ কিছুটা স্ফিত হাসি দিয়ে বললেন ‘তাহলে এটাও তো একটা রেকর্ড!’ এমন অসংখ্য রেকর্ড আর বর্ণিল জীবনের ইতি টেনে না ফেরার দেশে পারি জমিয়েছেন মোহামেডান অন্ত প্রাণ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল ও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের প্রথম অধিনায়ক, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় ক্রীড়া ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত কিংবদন্তি ফুটবলার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকারিয়া পিন্টু। গতকাল দুপুর পৌনে ১২টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকাল তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি ১ পুত্র ও ৩ কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী ও আত্মীয় স্বজন রেখে যান।
আগের দিন বিকালে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু। সন্ধ্যার দিকে জানা গিয়েছিল, তার অবস্থা গুরুতর। যে কারণে তাকে রাখা হয়েছিল হাসপাতালের সিসিইউতে। সেখান থেকে আর ফিরলেন না জাতীয় দলের প্রথম অধিনায়ক। জানা গেছে, সিসিইউতে থাকাকালীনই হার্ট স্ট্রোক করেন পিন্টু। এ কারণেই মূলত অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। যেখান থেকে আর তাকে ফেরানো যায়নি। জাকারিয়া পিন্টুর দীর্ঘদিনের সঙ্গী, সাবেক তারকা ফুটবল ও হকি খেলোয়াড় এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক প্রতাপ শঙ্কর হাজরা রোববার রাতে ইনকিলাবকে বলেছিলেন,‘পিন্টু ভাইয়ের অনেক পরীক্ষা-নীরিক্ষা চলছে। বিকালে অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকরা তাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করান। আমি ৪টার দিকে খবর পেয়ে এখানে ছুটে আসি এবং এখনো সিসিইউ রুমের সামনে অপেক্ষা করছি।’ তিনি আরও বলেছিলেন,‘পিন্টু ভাইয়ের সুস্থতা কামনায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। ৫/৬ দিন আগে ফোনে আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল পিন্টু ভাইয়ের। তখন তিনি বলেছিলেন-শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। হঠাৎ করে ডায়াবেটিস না কি হাই হয়ে গিয়েছিল।’
বল পায়ে মুক্তিযুদ্ধ! পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির স্থাপন করেছিলেন বাংলার একঝাঁক দামাল ছেলে। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে ফুটবল ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠন ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা। ঐতিহাসিক সেই দলের অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ২০২১ সালে দাবি জানালেন, ‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল’কে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের। ৫০ বছর আগের সেই স্মৃতির ঝাঁপি খুলে বিভিন্ন ম্যাচের গল্প শুনিয়ে তিনি বলেছিলেন,‘স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হোক।’ কিন্তু তা আর হয়নি। স্বাধীনতা পুরস্কার পায়নি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। সেই আক্ষেপ নিয়েই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন অধিনায়ক।
জাকারিয়া পিন্টুর তিন মেয়েই দেশের বাইরে থাকেন। বড় মেয়ে কলি থাকেন কানাডায়, দ্বিতীয় মেয়ে শিমু লন্ডনে এবং ছোট মেয়ে সোনিয়া থাকেন আমেরকিায়। একমাত্র ছেলে তানজির কাল বিকালে জানান, তার মেজো বোন শিমু লন্ডন থেকে ঢাকার পথে। তিনি এলেই পিন্টুর লাশ দাফন করা হবে। তবে এদিন বাদ আসর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে জাকারিয়া পিন্টুর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জানাজায় এসেছিলেন ফুটবলাঙ্গনের অনেকেই। প্রথম জানাজার পর হিমঘরে রাখা হয় সাবেক এই তারকা ফুটবলারের লাশ। আজ সকাল ১০টায় প্রাণহীন পিন্টু শেষবারের মতো আসবেন প্রিয় মোহামেডান ক্লাবে। এখানেই অনুষ্ঠিত হবে তার দ্বিতীয় জানাজা। জানাজা শেষে মোহামেডান ক্লাবে পিন্টুকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হবে। স্বাধীন বাংলা ফুটবলাররা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তাদের প্রয়াণে রাষ্ট্র সম্মাননা জানায়।
ঘরোয়া ক্লাব ফুটবলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে জাকারিয়া পিন্টু প্রথম খেলেন দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব ইস্ট এন্ড ক্লাবে। ১৯৫৭ সালে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হওয়ার আগের বছর ঢাকা আসেন তিনি। রাজধানীতে পা রেখে দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাব ইস্ট এন্ডের ট্রায়ালে অংশ নেন। ট্রায়ালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে সরাসরি মূল দলে খেলার সুযোগ পান পিন্টু। ক্লাবকে তিনি ১৯৫৭ এবং ১৯৫৮ সালে তুলে দেন প্রথম বিভাগ ফুটবলে। ১৯৫৯ সালে তিনি যোগ দেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে। যেখানে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান। আগাখান গোল্ড কাপের তৃতীয় রাউন্ডে তার নৈপুণ্যে সিন্ধ ইয়ংমেন্সের বিপক্ষে জয় পায় ওয়ান্ডারার্স। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে সিলনের কাছে হেরে যায় তারা। ১৯৬০ সালে তিনি এবং আবদুল গাফফার বালুচের নৈপুণ্যে মোহামেডানকে পেছনে ফেলে ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগ শিরোপা জেতে ওয়ান্ডারার্স। ১৯৬০ সালে ওয়ান্ডারার্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ১৯৬১ সালে জাকারিয়া পিন্টু যোগ দেন ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। এই ক্লাবের হয়ে টানা ১৪ বছর খেলার পর ১৯৭৫ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম অনুষ্ঠিত ফুটবল লিগের শিরোপা জিতে অবসরের ঘোষণা দেন পিন্টু।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রথম ম্যাচ খেলে জাতীয় ফুটবল দল। জাকারিয়া পিন্টু ছিলেন অধিনায়ক। বাংলাদেশ একাদশ বনাম প্রেসিডেন্ট একাদশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি। তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে অবশ্য পিন্টুর দল ০-২ গোলে হেরেছিল প্রেসিডেন্ট একাদশের কাছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে উপস্থিত ছিলেন ওই ম্যাচে। ১৯৭২ সালের ১৩ মে, চুনী গোস্বামীর নেতৃত্বে ভারতীয় ক্লাব মোহনবাগানের বিপক্ষে একটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে পিন্টুর ঢাকা একাদশ। ঢাকা স্টেডিয়ামে ৩৫ হাজারেরও বেশি দর্শকের সামনে ১-০ গোলে জয়লাভ করে ঢাকা একাদশ। কাজী সালাউদ্দিন করেন একমাত্র গোলটি। এছাড়া আসামের গুয়াহাটিতে বরদোলোই ট্রফিতে রানার্সআপ ঢাকা একাদশের নেতৃত্ব দেন পিন্টু। ফাইনালে ইস্ট বেঙ্গলের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল ঢাকা একাদশ।
১৯৭৩ সালে কোচ সাহেব আলি পিন্টুকে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে জায়গা করে দেন। সেই সঙ্গে দলের অধিনায়ক হিসেবেও দায়িত্ব দেন। এই সাহেব আলি আবার ছিলেন ঢাকা একাদশের কোচও। জাকারিয়া পিন্টুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেয়, মালয়েশিয়ার মারদেকা কাপে। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয়বার আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয় পিন্টুর। আগেরবার পাকিস্তানের হয়ে। এবার স্বাধীন বাংলাদেশের হয়ে। ম্যাচটি শেষ হয় ২-২ গোলের ড্রতে। যদিও টাইব্রেকারে বাংলাদেশ ৬-৫ গোলে হেরে যায়। মারদেকা কাপেই ১৩ আগস্ট প্রথম জয়ের দেখা পায় বাংলোদেশ দল। সিঙ্গাপুরকে হারায় ১-০ গোলে।
শুধু ফুটবলারই নন, ১৯৭৭ ও ১৯৮৭ সালে কিছুদিন মোহামেডানকে কোচিংও করান জাকারিয়া পিন্টু। ১৯৭৯ সালে ঢাকা সফরে আসা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লাব দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে জাতীয় দলের কোচ ছিলেন তিনি। ১৯৮০ সালে কুয়েতে সপ্তম এশিয়া কাপের চূড়ান্ত পর্বে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যানেজার। বর্ণময় এক ফুটবল ক্যারিয়ারের অধিকারী জাকারিয়া পিন্টু ১৯৭৮ সালে পেয়েছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। ১৯৯৫ সালে খেলাধুলা ক্যাটাগরিতে তিনি পান স্বাধীনতা পুরস্কার। মোহামেডানের নির্বাচিত পরিচালকও ছিলেন তিনি।
কিংবদন্তি এই ফুটবলারের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারা মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান। এছাড়া শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ((বিওএ), বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে), বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, আবাহনী লিমিটেড, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, আরচ্যারি ফেডারেশন, রাগবি ফেডারেশন, হ্যান্ডবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস কমিউনিটি (বিএসজেসি), বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) ও বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ) সহ বিভিন্ন সংগঠন।
ফ্রান্সের মধুর প্রতিশোধ
স্পোর্টস ডেস্ক : ইতালির জন্য হিসাবটা ছিল সোজা। ড্র করলে তো বটেই, এমনকি দুই গোলের ব্যবধানে না হারলেই তারা গ্রুপ সেরা। ফ্রান্সের জন্য চ্যালেঞ্জটা ছিল কঠিন। গ্রুপের সেরা হওয়ার জন্য তো অবশ্যই, পুরোনো একটা হিসাব-নিকাশ মেটানোর জন্যও অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জয় তাদের জরুরি ছিল। সেই সাথে ম্যাচের আগে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলেছিলেন লুকা দিনিয়ে। সবক’টি লক্ষ্য পূরণে তিনি বড় অবদান রাখলেন দুটি অ্যাসিস্ট করে। তার সহায়তায় দুটি গোল করলেন আদ্রিওঁ রাবিও। ইতালিকে তাদের মাঠে হারিয়ে প্রতিশোধ নিয়েই গ্রুপ সেরা হলো ফ্রান্স। আগেই নেশন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনাল নিশ্চিত হওয়া দুই দলের লড়াইয়ে গতপরশু রাতের ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতেছে ফরাসিরা।
মিলানের সান সিরোয় শুরুতে রাবিও সফরকারীদের এগিয়ে নেওয়ার পর গুলিয়েলমো ভিকারিওর আত্মঘাতী গোলে বাড়ে ব্যবধান। আন্দ্রেয়া কাম্বিয়াসো একটি শোধ করার পর দ্বিতীয়ার্ধে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রাবিও। ১৯৮৩ সালে সুইডেনের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারের পর প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ঘরের মাঠে ইতালির সবচেয়ে বড় পরাজয় এটি। আড়াই মাস আগে প্যারিসে গিয়ে ফ্রান্সকে ৩-১ গোলে হারিয়ে এসেছিল ইতালিয়ানরা। এবার মিলানে গিয়ে ঠিক একই ব্যবধানের জয় দিয়ে ক্ষতে প্রলেপ দিল ফরাসিরা। ৬ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ফ্রান্সের পয়েন্ট ১৩, ইতালিরও তাই। গোল পার্থক্যে ইতালিয়ানদের (৫) চেয়ে একটু এগিয়ে ‘এ’ লিগের দুই নম্বর গ্রুপের সেরা হলো দিদিয়ে দেশমের দল (৬)। একই সময়ে গ্রুপের আরেক ম্যাচে ইসরাইলের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারা বেলজিয়াম ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে ইসরাইল।
এদিকে, আক্রমণে ছড়ি ঘুরিয়েও প্রথমার্ধে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারল না ইংল্যান্ড। বিরতির পর বল মাঠে গড়াতেই সেই হতাশা ঝেড়ে ফেলল তারা। পাঁচ মিনিটের ঝড়ে প্রতিপক্ষকে এলোমেলো করে, দারুণ জয়ে লিগের শীর্ষ পর্যায়ে ফিরল হ্যারি কেইন ও তার সতীর্থরা। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ইংল্যান্ড। অনেকটা সময় এক জন কম নিয়ে খেলা আইরিশদের বিপক্ষে কেইন দলকে এগিয়ে নেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইংল্যান্ডের রেকর্ড গোলদাতার মোট গোল হলো ৬৯টি। এরপর একে একে জালে বল পাঠান অ্যান্ডনি গর্ডন, কনর গ্যালাঘার, জ্যারড বোয়েন ও টেইলর হারউড-বেলিস।
ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট ইংল্যান্ডের, ‘বি’ লিগের দুই নম্বর গ্রুপের সেরা হয়ে ‘এ’ লিগে ফিরছে তারা। এদিন একই সময়ে শুরু গ্রুপের আরেক ম্যাচে ফিনল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারানো গ্রিসের পয়েন্টও ১৫। তবে মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে দুইয়ে আছে তারা, শীর্ষ পর্যায়ে ওঠার প্লে-অফ খেলবে তারা। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আয়ারল্যান্ড। ছয় ম্যাচের সবগুলোই হেরেছে ফিনল্যান্ড।
এছাড়া, ক্লাব কিংবা জাতীয় দল, মঞ্চ যাই হোক না কেন, প্রতিপক্ষের গোলমুখে সবসময় ভয়ঙ্কর এক নাম আর্লিং হলান্ড। এবার তারক্ষুণে মানসিকতায় বিধ্বস্ত হলো কাজখস্তান। তারকা স্ট্রাইকারের হ্যাটট্রিকে ৫-০ গোলের অনায়াস জয়ে লিগের শীর্ষ পর্যায়ে জায়গা করে নিল নরওয়ে। ক্লাব ফুটবল ও জাতীয় দল মিলিয়ে হালান্ডের এটা ২৫তম হ্যাটট্রিক। এর মধ্যে চারটি দেশের হয়ে। হলান্ডের শেষ গোলটির আগে ও পরে জালের দেখা পান আলেকসান্দার সরলথ ও আন্তোনিও নুসা। ‘বি’ লিগের তিন নম্বর গ্রুপের সেরা হয়ে ‘এ’ লিগে উঠেছে তারা। ছয় ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা নরওয়ে। ১১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অস্ট্রিয়া। সেøাভেনিয়া ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আর তলানিতে কাজখস্তানের পয়েন্ট ১।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ট্রাম্প প্রশাসন পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে শন ডাফিকে বেছে নিলেন
রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে স্পেনের নাটকীয় জয়
পর্তুগালের বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের রাউন্ডে ক্রোয়েশিয়া
মধ্যপ্রদেশে মেলা থেকে মুসলিম ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করা পুলিশ সদস্যের তালিকা হচ্ছে
আয়ারল্যান্ড সিরিজে অভিজ্ঞদের দলে ফেরাল বাংলাদেশ
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী শীর্ষ নেতাদের কারাদণ্ড
হেমন্তের শেষভাগেও বরিশালে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের ওপরে : কৃষি ও জনস্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব অব্যাহত
কামরুল ইসলাম ৮ দিনের রিমান্ডে
ঢাকায় হিপহপের ঝলক দেখালেন র্যাপার টাইগা ট্রিস
মুরাদের হ্যাটট্রিক, বোলিং অনুশীলন হলো ভালোই
গারো পাহাড়ের চাঞ্চল্যকর সোহেল হত্যা মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার
বিতর্কিত এনজিও-নেত্রীদের দিয়ে নারী সংস্কার কমিশন গঠন: ব্যাপক সমালোচনা
সাদপন্থীদের সড়কে অবস্থান : রাজধানীতে তীব্র যানজট
মুখ ঢেকে রাতের অন্ধকারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের মিছিল
ইমরান খানের ‘শেষ ডাক’’,আগামী দুইমাস ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি
চট্টগ্রামে পালানো হাসিনার বিরুদ্ধে আরেক মামলা
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনে নতুন চেয়ারম্যান হলেন শাহীন সুলতানা
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে গিয়ে অসুস্থ প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্ট, হাসপাতালে ভর্তি
ইসরাইলি বর্বর হামলায় নিহত আরও ৫০ ফিলিস্তিনি