ভারতীয় আম্পায়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
২২ মে ২০২৩, ১০:৫৮ পিএম | আপডেট: ২৩ মে ২০২৩, ১২:০২ এএম
ভারতীয় আম্পায়ার যতীন কাশ্যপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে আইসিসি। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগের কথা জানিয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ঠিক কোন ঘটনায় কাশ্যপের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি আইসিসি। শুধু উল্লেখ করেছে, ‘২০২২ সালের আন্তর্জাতিক ম্যাচগুলোর ওপর করা তদন্তে দুর্নীতিবিরোধী কোডের ধারা ভঙ্গের ব্যাপারগুলো উঠে এসেছে।’
আন্তর্জাতিক ম্যাচের ওপর করা তদন্তে কাশ্যপের নাম এলেও তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কোনো ম্যাচ পরিচালনা করেননি। এনডিটিভি জানিয়েছে, কাশ্যপ ভারতের রাজ্য পাঞ্জাবের জেলা পর্যায়ে ম্যাচ পরিচালনা করেছেন, তবে বিসিসিআইয়ের প্যানেলে নেই। বিসিসিআইয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের এই সংবাদমাধ্যম আরও জানায়, গত অক্টোবরেই পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে কাশ্যপের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চায় আইসিসি। তবে সংস্থাটির সচিব দিলশের খান্নার দাবি, কাশ্যপের বিরুদ্ধে আনা আইসিসির অভিযোগের সঙ্গে তাদের রাজ্য পর্যায়ের কোনো ম্যাচেরও সংশ্লিষ্টটা নেই। পিটিআইকে খান্না বলেন, ‘পাঞ্জাব ক্রিকেটের সঙ্গে এসব অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টই বলা আছে, আন্তর্জাতিক ম্যাচের ওপর করা তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।’
কাশ্যপের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী কোডের দুটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলো হলো ২.৪.৬ ও ২.৪.৭। দুর্নীতি দমন কোডের ২.৪.৬ ধারা ভঙ্গের মধ্যে আছে- সম্ভাব্য দুর্নীতির তদন্তে সহায়তা করতে তেমন কোনো যথার্থতা ছাড়াই অস্বীকৃতি জানানো বা ব্যর্থ হওয়া, যার মধ্যে এমন তদন্তে দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট কোনো তথ্য বা নথি চেয়ে অনুরোধ জানালে সেটি যথাযথ ও সম্পূর্ণভাবে প্রদানে ব্যর্থ হওয়ার ব্যাপারটিও অন্তর্ভুক্ত। কাশ্যপের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ, তিনি ২.৪.৭ নম্বর ধারাও ভঙ্গ করেছেন। এর মধ্যে আছে সম্ভাব্য ঘটিত দুর্নীতির তদন্তে বাধা দেওয়া বা বিলম্বিত করা, এমন তদন্তে সংশ্লিষ্ট কোনো নথি বা তথ্য গোপন, বিকৃত বা বিনষ্ট করা যেগুলো দুর্নীতির প্রমাণ হতে পারে অথবা দুর্নীতির প্রমাণ আবিষ্কারের পথ দেখাতে পারে।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, কাশ্যপের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ২০২২ সালে ওমানে হওয়া এশিয়া কাপ বাছাইপর্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ভারতের স্থানীয় আম্পায়ার হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট বলে কাশ্যপের বিপক্ষে তদন্ত শুরুর করার অধিকার আইসিসির আছে। কাশ্যপকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে উত্তর দিতে দুর্নীতিবিরোধী কোডের ৪.৬.৬ ধারা অনুযায়ী ১৪ দিন সময় দিয়েছে আইসিসি। যে ১৪ দিন শুরু হবে ১৯ মে থেকে। এ ব্যাপারে এখন আর কিছু জানাবে না, এমনও উল্লেখ করেছে আইসিসি।
‘পাকিস্তান ভারতে যাবে কি-না, তা আফ্রিদি ঠিক করে দেবে না
স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান আর ভারতের বৈরিতার ইতিহাস নতুন নয়। কিছুদিন পর পরই রাজনৈতিক কোন বিষয় নিয়ে উত্তপ্ত থাকে দেশ দুটি। সেই উত্তাপের বাহিরে নয় ক্রিকেটও। দেশ দুটির কাছে যে এই খেলার আবেদন ও আবেগ বহু উঁচুতে। বর্তমানে তেমনই এক বিষয় হচ্ছে এশিয়া কাপ। এই আসর ঘিরে ভারত ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ফের শুরু হয়েছে যুদ্ধ। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। মধ্যে চলছে চরম মতবিরোধ। এসবের মাঝে কদিন আগে নিজ দেশের বোর্ডের সমালোচনা করেন সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। এবার আফ্রিদির সমালোচনার জবাব দিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি।
এশিয়া কাপ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হলে কোনোভাবেই ভারতীয় দলে সেই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে না। যার জেরে পাল্টা পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নাজাম হুমকি দিয়েছেন, ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে না পাকিস্তানও। পিসিবি এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য একটি হাইব্রিড মডেলের কথাও বলেছিল। কিন্তু সেই মডেলও মানতে রাজি নয় ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। এশিয়া কাপ পাকিস্তান থেকে সরে যাওয়া এখন খুবই সম্ভব। সব মিলিয়ে পিসিবি এই ঘটনায় বেশ ক্ষুব্ধ।
অন্যদিকে নাজামের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না আফ্রিদি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের পরামর্শ, ভারতীয় দল খেলার জন্য পাকিস্তানে না গেলেও, বিশ্বকাপ খেলতে বাবর আজমদের ভারতে পাঠানো উচিত এবং পাকিস্তানকে জিতে ফিরতে হবে। এটা হবে ভারতীয় বোর্ডের মুখে বড় থাপ্পড়। পাকিস্তানি একটি টিভি চ্যানেল আফ্রিদি বলেছেন, ‘বুঝতে পারছি না পিসিবি কেন বিশ্বকাপ না খেলতে যাওয়া নিয়ে এত অনড় অবস্থান নিতে চাইছে। ক্রিকেট কর্তাদের উচিত বিষয়টাকে সহজভাবে দেখা। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক থাকা দরকার। ভারতে গিয়ে খেলা উচিত। ছেলেদের বলা উচিত, যাও ট্রফিটা জিতে নিয়ে এসো। গোটা দেশ তোমাদের সঙ্গে থাকবে। বিশ্বকাপ জিততে পারলে আমাদের জন্যই শুধু বড় প্রাপ্তি হবে না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকেও একটা কড়া থাপ্পড় মারা যাবে।’
সাবেক অলরাউন্ডার আরও বলেছেন, ‘ভারতে গিয়ে ট্রফি জিতে ফিরতে হবে। নিজেদের তুলে ধরার জন্য এটাই আমাদের সামনে সেরা পথ। আমাদের উচিত ভারতে গিয়ে বিশ্বকাপ খেলা এবং ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরা। তাহলে আমরা ভারতকে বুঝিয়ে দিতে পারব, যে কোনও জায়গায় গিয়ে আমরা জিততে পারি।’ আফ্রিদির সেই অবস্থানের বিপক্ষে মতামত দেন পিসিবি প্রধান। বিবিসিকে এক সাক্ষাৎকারে নাজাম বলেছেন, ‘আমাদের দলের বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত শহিদ আফ্রিদি, জয় শাহ বা আমার নয়। ভারতীয় দলের সিদ্ধান্ত ভারতের সরকারের হাতে। আর পাকিস্তান দলের সিদ্ধান্ত পাকিস্তান সরকারের হাতে। পাকিস্তান সরকার যদি বলে আমাদেরকে ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যেতে, আমরা অবশ্যই যাব।’
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
উত্তরার বিপ্লবী জনতাকে যে কঠিন মূল্য দিতে হয়েছিল
পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষকর্মী নিতে আগ্রহী লিবিয়া
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের
দক্ষিণ কোরিয়ার সৌন্দর্যের পেছনে ছুটে বিপদের ফাঁদে পর্যটকরা
ঢাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ
হিরো নয় কারিনার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি
রাওয়ার নেতৃত্বে আবদুল হক ও ইরশাদ সাঈদ
স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ কিশোর নিহত
গাজীপুরে কারখানা থেকে দগ্ধ আরও এক লাশ উদ্ধার
সিরিয়ার আকাশে নিষিদ্ধ হলো ইরানের বিমান
বিমানে ‘ঘুমিয়ে’ ছিলেন বাইডেন : সেনাদের লাশ পেতে অপেক্ষায় স্বজনরা
ভারতে পণ আইন নিয়ে বিতর্ক, এক ব্যক্তির আত্মহত্যা ঘিরে আলোড়ন
ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় পড়ে ছিল বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ লাশ
এক্সপ্রেসওয়েতে কভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকার সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫
ব্রাজিলে বাড়ির ওপর বিমান বিধ্বস্ত, সব যাত্রী নিহত
চুয়াডাঙ্গার রামদিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে একজনকে হত্যা, আহত ৫