দুইশ’ স্ট্রাইক রেটে তামিমের ফিফটির ফিফটি
১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ এএম | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ এএম
প্রায় আট মাসের বেশি সময় পর প্রতিযোগিতামূলক টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ব্যর্থ ছিলেন তামিম ইকবাল। আগের দিন রংপুর বিভাগের বিপক্ষে আউট হন ১০ বলে ১৩ রানে। ঘুরে দাঁড়িয়ে এবার বিস্ফোরক ইনিংস খেললেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির ম্যাচটি ১২ রানে জিতেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। ঘন কুয়াশার কারণে এদিন দেরিতে শুরু হওয়ায় ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৪৫ রানে থামে তারা। জবাবে আশা জাগালেও ৪ বল বাকি থাকতে সিলেট অলআউট হয়ে যায় ১৩৩ রানে।
চট্টগ্রামে হয়ে সিলেট বিভাগের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে ৬৫ রান করেন তামিম। মাত্র ৩৩ বল মোকাবিলায় তিনি আটটি চারের সঙ্গে হাঁকান তিনটি ছক্কা। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এটি তার পঞ্চাশতম ফিফটি। পুরনো ঝলক দেখিয়ে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে তার লাগে ২৭ বল। তার বিধ্বংসী ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৯৬.৯৭। ২৬৫ ম্যাচের ক্যারিয়ারে ৫০ ছাড়ানো ইনিংসে তামিমের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট এটি। ২০ ওভারের ক্রিকেটে তামিমের সেঞ্চুরি ৪টি, ফিফটি ৫০টি। ৫০ ছাড়ানো ৫৪টি ইনিংসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের দুটি ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসটি ২০১৯ সালে বিপিএলে ফাইনালে খেলেছেন এই বাঁহাতি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ৬১ বলে ১৪১ রানের ইনিংসে তামিমের স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩১.১৪। শুধু ৫০ ছাড়ানো ইনিংসেই নয়, টি-টোয়েন্টিতে ২৬৪ ইনিংসেই তামিমের এটি সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট।
টি-টোয়েন্টিতে তামিম প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০১৩ সালে বিজয় দিবস ক্রিকেটে। ইউসিবি-বিসিবি একাদশের বিপক্ষে ৬৪ বলে ১৩০ রানের ইনিংসে তামিমের স্ট্রাইক রেট ছিল ২০৩.১২। এই দুই সেঞ্চুরির বাইরে আরেকটি ইনিংসেই ২০০ ছাড়িয়েছে তামিমের স্ট্রাইক রেট। সেটি ২০২১ সালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে ২২ বলে ৪৬ রান করেছিলেন তামিম।
এদিকে, ১৩১ রানের লক্ষ্য। ১৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১২২ রান তুলে শেষ ওভারটা শুরু করল বরিশাল। খুলনার মেহেদী হাসান রানার করা ওভারের প্রথম ৩ বলে ৬ রান তুলে নেন বরিশালের কামরুল ইসলাম ও মঈন খান। সমীকরণটা তখন ৩ বলে ৩ রানের। কিন্তু এরপর যা হলো সেটির কোনো ব্যাখ্যা নেই। ওই ৩ রান আর নিতে পারেনি বরিশাল। এরপর ৩ উইকেট হারিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে হেরেছে ১ রানে। কামরুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম ও রুয়েল মিয়া- বরিশালের তিন ব্যাটসম্যানই হলেন রানআউট। তিন রানআউটেই অবদান ছিল খুলনার অধিনায়ক নুরুল হাসানের। মেহেদী রানা মাঝে ১টি ওয়াইড দেওয়াতেই রানআউটের হ্যাটট্রিক হয়নি।
৯ উইকেটে ১২৯ রান তুলে ১ রানে হারা বরিশাল ৬ রানে হারিয়েছিল ৫ উইকেট। এরপর ওপেনার আবদুল মজিদ (৫৩ বলে ৫১) মঈন খানকে (২৭ বলে অপরাজিত ৪৩) নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৪৭ রান যোগ তরেন। ১৯তম ওভারে মজিদ ফেরার পর শেষ ওভারে রানআউটের ওই মচ্ছব। এর আগে খুলনা ১৩০ করে ৯ উইকেট হারিয়ে। ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন নুরুল। বরিশালের পেসার কামরুল ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয় পেল খুলনা, বরিশাল হারল দুই ম্যাচেই।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
গাজীপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় বিএনপি নেতাদের ভিড়
শুধু নামেই জিমনেসিয়াম