অবশেষে দীর্ঘ ৩৭ দিন পর আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ঘটলো জাতীয় নারী দলের সফল প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। গত মে মাসের শেষ দিকে জাতীয় নারী ও বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে বাফুফেকে পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন ছোটন। এক মাসেরও বেশি সময় পর সেই পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে মঙ্গলবার গ্রহণ করেছে বাফুফে। ছোটনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাকে চিঠি দিয়েছে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। যেই চিঠিতে ২০০৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জাতীয় নারী ও বয়সভিত্তিক দলের প্রধান কোচের দায়িত্বকালে ছোটনের কাজের প্রশংসা করে তার উত্তরোত্তর সাফল্য ও ভবিষ্যত সমৃদ্ধি কামনা করে বাফুফে।

হঠাৎ করেই বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে গত ২৮ মে বাফুফের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান গোলাম রব্বানী ছোটন। এরপর তাকে ফেরানোর জন্য বাফুফে কর্মকর্তারা অনুরোধ করলেও তিনি তার সিদ্ধান্তে বহাল থাকেন। কয়েকদিন আগে বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছিলেন, ‘আমরা এখনো আশাবাদী ছোটন ভাই নিয়ে। আমার ধারণা তিনি ফিরে আসবেন।’ তবে বাফুফের সেই আশা শেষ হয়ে যায়, যখন তারা জানতে পারেন ছোটন অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে কোচ হিসেবে যোগদান করেছেন। এরপরই তারা মঙ্গলবার ছোটনের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাকে চিঠি দেয়। ছোটনের অনুপস্থিতিতে গত প্রায় এক মাস ধরে জাতীয় নারী ও বয়সভিত্তিক দলের অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারই সহকারী মাহবুবুর রহমান লিটু। ছোটনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হওয়ার পর বাফুফে এখন সাবিনা-কৃষ্ণাদের জন্য নতুন কোচ খুঁজবে। এ প্রসঙ্গে বাফুফের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন,‘গোলাম রব্বানী ছোটন পদত্যাগ করার পর তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে যখন আমরা নিশ্চিত হলাম তিনি ফিরবেন না তখন তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে তাকে চিঠি দিয়েছি।’