বাংলাদেশ ফুটবলের ‘কালো’ দিবস আজ
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৫ পিএম | আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০১ এএম
বাংলাদেশ ফুটবলের কালো দিবস আজ। ৪১ বছর আগে ১৯৮২ সালের ঠিক এই দিনে (২১ সেপ্টেম্বর) খেলার মাঠ থেকে কারাগারে যেতে হয়েছিল তৎকালীন দেশের আধুনিক ফুটবলের জনক ঢাকা আবাহনী ক্রীড়া চক্রের (বর্তমানে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড) স্থানীয় ও বিদেশী ১৪ ফুটবলারকে। অবশ্য পরদিন সকালে দুই বিদেশীসহ দশজন ফুটবলার ছাড়া পেলেও বিভিন্ন মেয়াদে জেল খেটেছিলেন দেশসেরা চার ফুটবলার।
ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা ফুটবল লিগের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলো দুই জায়ান্ট মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী ক্রীড়া চক্র। তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম) অনুষ্ঠিত এ ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে আবাহনীর অধিনায়ক আনোয়ার হোসেনের কর্ণারের বল গোললাইন অতিক্রম করলে মোহামেডানের গোলরক্ষক মো. মোহসিন হাত দিয়ে তা ফিরিয়ে দেন। আবাহনীর খেলোয়াড়রা গোলের দাবী জানান। কিন্তু রেফারি আবদুল আজিজ সেই দাবীতে সাড়া দেননি। তিনি তা বাতিল করে দেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আবাহনীর ফুটবলাররা সহকারী রেফারি মহিউদ্দিন চৌধুরীকে মারধর করেন। এ ঘটনায় মাঠে উত্তেজনা দেখা দিলে সেখান থেকে গ্যালারী হয়ে তা স্টেডিয়ামের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। দুই ক্লাবের উত্তেজিত সমর্থকরা স্টেডিয়ামের ভেতর ও বাইরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে বেধড়ক লাঠি চার্জ ও টিয়ার গ্যাস শেল নিক্ষেপ করতে হয়। এ ঘটনার জের ধরেই ওইরাতে আবাহনীর দুই বিদেশীসহ (শ্রীলঙ্কান পাকির আলী ও অশোকা) মোট ১৪ জন ফুটবলারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে রমনা থানা পুলিশ।
তখন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) হোস্টেলে ছিল জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প। ২১ সেপ্টেম্বরের রাতেই সরকারী সম্পত্তি বিনষ্ট, রেফারিকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত, জনসম্পত্তি বিনষ্ট ও উস্কানীমূলক আচরণের দায়ে জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকা আবাহনীর ফুটবলারদের গ্রেফতার করে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আবাহনী ক্লাব থেকেও গ্রেফতার হন ক’জন স্থানীয় ও দুই বিদেশী ফুটবলার। পরদিন শ্রীলঙ্কান দূতাবাসের কর্মকর্তারা থানায় এসে পাকির আলী ও অশোকাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেও বাকিদের পাঠানো হয় সামরিক আদালতে। রমনা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কুদ্দুস এজাহারে উল্লেখ করেন, আবাহনীর ফুটবলাররা এরশাদের সামরিক সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সামরিক সরকার উৎখাতে এরাই প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সামরিক আদালত আবাহনীর চার ফুটবলার কাজী মো. সালাউদ্দিন, গোলাম রব্বানী হেলাল, আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু ও আনোয়ার হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিলেও বাকি আট ফুটবলারকে খালাস দেয়। অধিনায়ক আনোয়ার ও হেলালকে ছয়মাসের জেল দিয়ে পাঠানো হয় রাজশাহী কারাগারে। আর সালাউািদ্দন ও চুন্নুকে তিনমাসের কারাদ- দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয় যশোর জেলে।
তবে শাস্তি হলেও সাধারণ ক্ষমায় এই চার ফুটবলার ১৭ দিন জেল খেটে মুক্তি পান। তখন থেকেই দেশের ফুটবলের কলঙ্কিত এই দিনটি ‘কালো’ দিবস হিসেবে আখ্যা পেয়ে আসছে। প্রতি বছরই এই দিনটিকে স্মরণ করেন দেশের কোটি ফুটবলভক্তসহ খেলোয়াড়রা। ওই ম্যাচে মোহামেডান ১-০ গোলে জয় পেয়ে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ঢাকা মাতিয়ে এবার সিলেটে বিপিএল
কটিয়াদীতে মনোহারী দোকান আগুনে পুড়ে ছাই
নেতা মানিকের হাতে ট্রফি দিলেন ইউএনও জাকির হোসেন, ভুল না ইচ্ছাকৃত ?
ফ্ল্যাট উপহার পাওয়া নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন টিউলিপ
তানজানিয়ার সাশ্রয়ী জ্বালানি সিএনজি বিপ্লব, স্টেশনের অভাবে ধীর গতি
আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস আটক
লক্ষ্মীপুরে আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
১৭ বছর মোরেলগঞ্জের তৃণমুল বিএনপির পাশে ছিলাম: কাজী খায়রুজ্জামান শিপন
গৌরনদী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত
দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ছাত্রদলকে সজাগ থাকতে হবে-সুলতান সালাউদ্দিন টুকু
যারা আ.লীগের সঙ্গে বিএনপিকে যারা তুলনা করে তারা শয়তানের বাবা: শামসুজ্জামান দুদু
মেলোনি-ট্রাম্পের বৈঠক , ইউরোপ-আমেরিকা সম্পর্কের নতুন অধ্যায়
৫০ বিচারকের ভারতে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের অনুমতি বাতিল
এটি আসলে একটি ভিন্ন জগৎ, এখানে অনেক চ্যালেঞ্জ : ড. ইউনূস
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্লোজ
পেট্রোবাংলার নতুন চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো: রেজানুর রহমান
ভারী তুষারপাতে যুক্তরাজ্যে বিপর্যস্ত জনজীবন
ডিসেম্বরে ইসরায়েলি হামলায় ১০ ফিলিস্তিনি সাংবাদিক নিহত
এখন পর্যন্ত তারেক রহমানের দেশে ফেরার উপযুক্ত পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারিনি : সালাহউদ্দিন
স্ত্রীসহ তাপসের ৮০ কোটির সম্পদ, ৬১৫ কোটি টাকার সন্দেভাজন লেনদেন