মাঠে দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও একেবারে জীবনে কঠিন এক সময় পার করছেন লিভারপুলের কলম্বিয়ান তারকা লুইস দিয়াজ।

গত সপ্তাহে কলম্বিয়ার ব্রিদোহী গ্রুপ ন্যাশনাল লিবারেশন(ইলএন) আর্মির সশস্ত্র সদস্যরা রিয়াজের কলম্বিয়ার উত্তর প্রান্তের শহর লা গুয়াজিরা থেকে দিয়াজের মা-বাবাকে গুলির মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেদেশের পুলিশের সাড়াশি  অভিযানে মাকে উদ্ধার করা গেলেও এখনো নিখোঁজ আছেন তার বাবা লুইস ম্যানুয়েল দিকাস।

 প্রথম দিকে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও গত কয়েক দিনে বাবাকে নিরাপদে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বারবার অপহরণকারীদের আকুতি জানিয়েছেন দিয়াজ।এই ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দিয়াজকে বেশ কয়েক ম্যাচ লিভারপুলের হয়ে মাঠে দেখা যায়নি। তবে রবিবার লুটন টাউনের বিপক্ষে ফিরেই ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে লিভারপুলকে নিশ্চিত হার থেকে রক্ষা করেন এই কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। কিন্তু দিয়াজের মনটা যে বাবার জন্য বিষন্ন ,গোল করে টিশার্ট উঁচিয়ে দেখালেন ‘আমার বাবার মুক্তি চাই’ লেখাটা।

পরে  অপহরণকারীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া  এক বার্তায় এ খেলোয়াড় বাবাকে নিরাপদে ফিরিয়ে দিয়ে তার ও পরিবারের  'বেদনাদায়ক প্রতীক্ষার'অবসান ঘটানোর অনুরোধ জানান।

এদিকে অপহরণকারী গোষ্ঠী দিয়াজের বাবাকে দ্রুত নিরাপদে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করলেও পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানের কারণে সেটি বিলম্বিত হতে পারে এবং তার পিতার  নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে বলেও সাবধান করে দিয়েছে। 

রবিবার ইএলএনের শীর্ষ কমান্ডারদের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কোন ধরনের সংঘর্ষে জড়াতে চাই না।তবে সে এলাকায় এখনো পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য  যে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে তাতে মুক্তি প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে এবং তার পিতার জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে।

তবে সংগঠনটি জানিয়েছে তারা ম্যানুয়াল দিকাসকে নিঃস্বার্থ মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক।তবে এই মুক্তি দেওয়ার পর সদস্যদের নিরপত্তার নিশ্চয়তাও চেয়েছে সংগঠনটি।

কলম্বিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন তোলা ঘটনাটি শুরু থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে দেশটির সরকার। দিয়াজের বাবাকে উদ্ধার করতে মাঠে নেমেছে কয়েকশ পুলিশ সদস্য।

কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো গত শনিবার  জানিয়েছিলেন, দিয়াজের মাকে কলম্বিয়ার উত্তরাঞ্চল বারানকাস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার পর তিনি যোগ করে বলেছেন, ‘আমরা তার বাবার উদ্ধারে এখনও খোঁজ চলমান রেখেছি।’