নারী বিশ্বকাপে প্রতি পাঁচজনের একজন খেলোয়াড় নাজেহালের শিকার
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩৪ এএম | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩৪ এএম
এ বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে যৌথভাবে আয়োজিত নারী ফুটবল বিশ্বকাপে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন খেলোয়াড় অনলাইনে নাজেহালের শিকার হয়েছেন বলে ফিফা ও ফিফপ্রোর এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
৫.১ মিলিয়ন পোস্ট ও এর সাথে সম্পৃক্ত কমেন্টসের ভিত্তিতে দেখা গেছে এবারের আসরে অংশ নেয়া ৬৯৭ জন খেলোয়াড় ও কোচের মধ্যে কেউ না কেউ এই শিকারে পরিনত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা জানিয়েছে, ১৫২ জন খেলোয়াড় বৈষম্যমূলক, অপমানজনক ও ও হুমকিমূলক বার্তা পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ বার্তা ছিল হোমোফোবিক কিংবা যৌন হয়রানীমূলক প্রকৃতির।
সমীক্ষায় আরো দেখা গেছে গত বছর কাতারে অনুষ্ঠিত পুরুষ বিশ্বকাপের তুলনায় নারী বিশ্বকাপে ২৯ শতাংশ বেশী এই ধরনের হয়রানীমূলক বার্তা পেয়েছে খেলোয়ড়রা।
ফিফার সোশ্যাল মিডিয়া প্রটেকশন সার্ভিস (এসএমপিএস) থেকে এই তথ্যগুলো পাওয়া গেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার ব্যহকার করে এই সমস্ত হয়রানীমূলক পোস্টের তথ্য বের করা হয়েছে। খেলোয়াড়দের কাছে বিশেষ একটি অপশন ছিল যার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন বার্তা মুছে দেবার ক্ষমতা রাখতো। এই পদ্ধতির আওতায় প্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার ৮২০টি হয়রানীমূলক বার্তা হিডেন করে রাখা হয়েছিল।
এসএমপিএস ডাটা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের নারী দলটি বিশ্বকাপ চলাকালীন সবচেয়ে বেশী এই নাজেহালের শিকার হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের দলটি এই ধরনের হয়রানীর শিকার হয়ে আসছে। ফিফা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনার একজন করে খেলোয়াড়কে সবচেয়ে বেশী টার্গেট করা হয়েছে, তাদের নাম অবশ্য ফিফা প্রকাশ করেনি।
রিপোর্টে কলম্বিয়ান খেলোয়াড় লেইসি সান্তোসের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে এই ধরনের বার্তা একজন খেলোয়াড়ের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সান্তোস এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘একটি ম্যাচে পরাজয়ের পর একজন খেলোয়াড় ফুটবলে যদি কোন বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশী মানসিক যন্ত্রনা পেয়ে থাকে সেটা হলো এই ধরনের বাজে ও অপমানজনক কমেন্টস বা মন্তব্য। পেশাদার ফুটবলারের বাইরে আমরা সবাই মানুষ। কিছু কিছু খেলোয়াড় এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও অনেকেই তা পারেনা। এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়, যে কারনে মানসিক ভাবে অনেকেই ভেঙ্গে পড়ে।’
ফিফা সভাপতি গিয়ান্নি ইনফান্তিনো জানিয়েছেন খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে এই ধরনের নাজেহালের কোন ক্ষমা নেই। এক বিবৃতিতে ইনফান্তিনো বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিংবা অন্যকোন ভাবে যেকোন খেলোয়াড়কে অপমান করার কোন অধিকার কারো নেই। এটা ফিফা টুর্নামেন্ট বা অন্য যেকোন টুর্ণামেন্টেই হোক না কেন।’
গত বছর প্রথমবারের মত এসএমপিএস পদ্ধতি চালু হবার পর থেকে খেলোয়াড়, দল, কর্মকর্তা মিলিয়ে চার লাখেরও বেশী এই ধরনের কমেন্টেসের শিকার হয়েছে। ইনফান্তিনো বলেছেন বৈষম্যের কোন স্থান ফুটবল বা সমাজে কোথাও নেই।
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রাজশাহী জেলা ছাত্রদল নেতার পিতা বাচ্চু সরকারের দাফন সম্পন্ন
মোংলায় সড়কের ওপর রাখা পাথরের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভটভটিতে থাকা দুই যাত্রীর মৃত্যু, আহত ৪
গাজায় ঐতিহাসিক পরাজয় ইসরাইলের
১৭ বছর পর আজ দুপুরে কারামুক্ত হচ্ছেন বাবর
দীর্ঘ এক যুগ পর কারামুক্ত হলেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান
আজ কুড়িগ্রামে মার্চ ফর ফেলানী, নেতৃত্বে সারজিস আলম
বাংলাদেশে আসছেন পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জেনারেল সাহির শমসদ
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ইসরাইলের ‘ঐতিহাসিক পরাজয়’: হামাস
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও গাজায় হামলা ইসরাইলের, নিহত অন্তত ৩০
জুলাই ঘোষণা : কারা যাচ্ছেন আজকের বৈঠকে
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হামাস-ইসরাইল
যে সব শর্তে গাজায় যুদ্ধবিরতি
এনসিটিবির সামনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
নোয়াখালীর সদর উপজেলার ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু আটক
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের