রোমাঞ্চ, বিতর্ক আর অপেক্ষা শেষে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ চ্যাম্পিয়ন
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৬ এএম | আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৬ এএম
ম্যাচের যোগ করা সময়ে গোল করে রোমাঞ্চ উপহার দিল বাংলাদেশ। সেই রোমাঞ্চ আলাদা এক নাটকীয়তায় রূপ নিল পরে। ম্যারাথন টাইব্রেকার শেষে টসের মাধ্যমে ভারতকে ঘোষণা করা হলো চ্যাম্পিয়ন। সেই সাথে শুরু হলো বিতর্ক। সব মিলিয়ে ম্যাচ শুরু থেকে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর এবারের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ উইমেন’স চ্যাম্পিয়নশিপের যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হলো ভারত ও বাংলাদেশকে।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ফাইনালে দুই দলের নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হয়েছিল ১-১ সমতায়। এরপর পাঁচ শটের টাইব্রেকারে ৫-৫ সমতা। এক শটের টাইব্রেকারেও দুই দল ছয় বার করে পায় জালের দেখা।
বিতর্কের শুরু ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়সুরিয়া ডিলানের টসে শিরোপা মীমাংসার সিদ্ধান্তে। রেফারিকে ডেকে টস করা হয়। সেখানে ভাগ্যকে পাশে পেয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে ভারত। তখন ম্যাচ কমিশনারকে ঘিরে আপত্তি জানাতে শুরু করে বাংলাদেশ। বাইলজে ফাইনালে টসের সিদ্ধান্ত না থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয় স্বাগতিকদের পক্ষ থেকে।
অনেক বিতর্কের পর ম্যাচ কমিশনার নিজের ‘ভুল’ বুঝতে পেরে টাইব্রেকার চালিয়ে যাওয়ার জন্য তখন ভারতকে রাজি করাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারত তখন বেঁকে বসে। খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে চলে যায় তারা। এরপর থেকে শুরু অপেক্ষার পালা।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় শীত উপক্ষো করে মাঠে বসে থাকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। রাত সাড়ে ১০টার পর মাঠে ঢোকেন ভারতের কয়েকজন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। একটু পর মঞ্চের দিকে আসেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান, সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলালসহ আরও অনেকে। রাত প্রায় পৌনে এগারোটার দিকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারতের নাম ঘোষণা করা হয়। দুই অধিনায়কের হাতে তুলে দেওয়া হয় ট্রফি।
আলোচিত-সমালোচিত এই ম্যাচের প্রথমার্ধে শিবানি দেবির গোলে এগিয়ে ছিল ভারত। রোমাঞ্চের শুরু দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে সাগরিকার বাংলাদেশ সমতায় ফিরলে। তখন ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে।
প্রথমে পাঁচ শটের টাইব্রেকারে বাংলাদেশের হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন আফিদা খন্দকার, সুরমা জান্নাত, জয়নব বিবি রিতা, স্বপ্না রানী, মুনকি আক্তার। ভারতও শতভাগ সফলতা পায়।
এরপর এক শটের লড়াইয়ে বাংলাদেশের ইতি খাতুন, সুলতানা আক্তার, উমহেলা মারমা, সাগরিকা, কানন রানী ও গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী মন্ডল লক্ষ্যভেদ করেন। ভারতও এই লড়াইয়ে হার মানেনি। এরপরই বিতর্কের শুরু।
ভুলটা ম্যাচ কমিশনারের বলে ম্যাচ শেষে কথা বলতে এসে জানান সাফের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল।
“যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, একেবারেই দুর্ভাগ্যজনক। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অতীতে কখনই এরকম কোনো কিছু হয়নি। ভুলটা হয়ে গেছে ম্যাচ কমিশনারের মাধ্যমে। সে ভুলটা করেছে। নিয়মকানুনটা সে পুরোপুরি না দেখে হয়তো সিদ্ধান্তটা দিয়েছে। আমি যতটুকু জানি, রেফারি খেলা চালিয়ে যেতে বলেছিল, সে (ম্যাচ কমিশনার) তখন বলেছিল রেগুলোশনে এটাই (কয়েন টস) আছে। এই ভুলটা সে করাতে এই সমস্যা হয়েছে।”
“এএফসির সাথে কথা বললাম আমরা; ওরা আমাদের জানাল, এটাই নিয়ম (টাইব্রেকার চালিয়ে যাওয়া)। পরে ভারতকে এটা বলা হলে, তারা জানাল, তারা রাজি নই। এই পরিস্থিতি দাঁড়াল…আমাদের কিছু করার নেই। আমরা সমঝোতার জন্য কয়েকটা প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। এক-ম্যাচটা আমরা পরিত্যক্ত করে দেই এবং আরেকটা ম্যাচ আয়োজন করব। দুই-টাইব্রেকার চালিয়ে নেওয়া এবং তিন-যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা।”
বিভাগ : খেলাধুলা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।