ফ্রান্স ০(৫) : ০(৩) পর্তুগাল 

ম্যাড়মেড়ে প্রথমার্ধের পর আক্রমণের ঝড় বইয়ে গোলের দেখা পেলনা ফ্রান্স ও পর্তুগাল।দুই দলের একের পর এক সুযোগ নষ্টে খেলা গড়ালো অতিরিক্ত আধঘন্টায়।সেখানেও ডেডলক ভাঙতে পারলনা কোন দলই।ফলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয় টাইব্রেকারে গিয়ে।যেখানে আরও একবার নায়ক হওয়ার সুযোগ ছিল দিয়াগো কস্তার।তবে রাউন্ড অব সিক্সটিনে টানা তিনটি স্পটকিক ঠেকিয়ে দেওয়া এই পর্তুগিজ গোলরক্ষক এদিন পারলেন না একটি স্পটকিকও ঠেকাতে।ফলে পর্তুগালও পারলা শিরোপার দৌড়ে থাকতে।

হামবুর্গে শুক্রবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য সমতায় শেষ হয়। পরে টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে সেমির টিকেট কাটে ফ্রান্স।রোনালদো, ব্রুনো ফের্নান্দেসরা মিস না করলেও পর্তুগালকে বিদায় নিতে হয় জোয়াও ফেলিক্সের মিস শট।

গত এক দশকে দুর্দান্ত সময় কাটছে ফ্রান্সের। সর্বশেষ পাচ বড় ফুটবল প্রতিযোগিতার চারটিরই সেমিফাইনালে উঠল দিদিয়ে দেশামের দল।অন্যদিকে ইউরোতে নিজের শেষ আসরটা রোনালদোর শেষ হলো তিক্ততায়।

প্রথমার্ধে দুই দলই ছিল সাদামাটা। বিরতির আগ পর্যন্ত ৫৬ শতাংশ সময় বল দখলে রাখলেও কেবল দুইটি শট নিতে পারে পর্তুগাল।যার কোনটিই ছিলনা লক্ষ্যে। অন্যদিকে ফরাসিরা নিতে পেরেছে তিনটি শট।যার একটি ছিল গোলমুখে।

তবে বিরতির পর বদলে যায় দুই দলের খেলার ধরণই।আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচ।৫০ তম এমবাপের শট ঠেকিয়ে দেন কস্তা।৬২ মিনিটে জোয়াও কানসেলোর দারুণভাবে বাড়ানো বল ধরে ব্রুনো ফার্নান্দেজ পেনাল্টি বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শট নেন।তবে সেটি দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন ফ্রান্স গোলকিপার মাইক মেইগনান। দুই মিনিট বাদে ভিতিনহার সোজাসুজি নেওয়া শটও প্রতিহত হয় তাঁর হাতে। ফিরতি বল রোনালদো পান পোস্টের এক পাশে, পায়ের টোকায় জালে পাঠাতে চাইলেও সতর্ক মেইগনানের গায়ে লেগে আবার বাধাপ্রাপ্ত হয়।

এরপরই পাল্টা-আক্রমণ শাণায় ফ্রান্স। রান্দাল কোলো মুয়ানির কোনাকুনি শট স্লাইড করে আটকে দেন রুবেন দিয়াস। খানিক বাদে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার শট দূরের পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।এর পাঁচ মিনিট পর এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার সামনেও বাধা ছিল শুধু পর্তুগাল গোলকিপার। কিন্তু তাড়াহুড়ায় শট নিয়ে তিনিও বল পাঠান বাইরে দিয়ে।

ফ্রান্সের সুযোগ মিসের মহড়ায় খেলা গড়ায় অতিরিক্ত আধঘন্টায়।যেখানে শুরুতেই দলকে এগিয়ে দিতে পারতেন রোনালদো। ডান দিক থেকে সতীর্থের পাস বক্সে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় উড়িয়ে মারেন সিআর সেভেন।

১০৫তম মিনিটে এমবাপেকে তুলে নেন কোচ দেশম। বদলি নামান বার্কোলাকে।এই তরুণ ফরোয়ার্ড খেলায় যেমন গতি এনেছেন তেমনি টাইব্রেকার কিকেপ ছিলেন সফল।দেম্বেলে-ফোফানাদের সৌজন্যে টাইব্রেকারে জয়ের হাসি হাসল ফ্রান্স।

আগামী মঙ্গলবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দারুণ ছন্দে থাকা স্পেনের মুখোমুখি হবে দিদিয়ে দেশমের দল।