সালাউদ্দিনকে দেখতে গিয়ে বললেন পাপন

‘এত বছরের সম্পর্ক এক দিনে নষ্ট হয় না’

Daily Inqilab স্পোর্টস রিপোর্টার

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম

প্যারিস অলিম্পিক গেমস ফুটবলের বাছাই পর্ব খেলতে গত বছর জাতীয় নারী দলকে মিয়ানমার পাঠায়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ওই সময়ে বিষয়টা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি যিনি বর্তমান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন ও বাফুফের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনের কথার লড়াই হয়েছিল। তবে সেই স্নায়ুযুদ্ধ এখন আর নেই। কারণ বর্তমানে অসুস্থ কাজী সালাউদ্দিন। প্রায় দেড় মাস আগে হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি। সেই থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে নিজ বাসাতেই আছেন বাফুফের সভাপতি। মাঝের সময়ে দেশের রাজনীতিতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে। নতুন দায়িত্ব নেয়ার পর অসুস্থ সালাউদ্দিনকে দেখতে গতকাল তার বাসায় যান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। দু’জন প্রায় ২০ মিনিট একান্তে কথা বলেছেন। তাদের আলোচনায় ব্যক্তিগত বিষয়ের পাশাপাশি দেশের ফুটবলে সংকটের কথাও উঠে এসেছে। পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে এসময় সাংবাদিকরা গত বছরের সেই কথার লড়াইয়ের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে ক্রীড়া মন্ত্রী উত্তর দেন এভাবে, ‘এত দিনের সম্পর্ক এক দিনে নষ্ট হয় না।’ ফুটবলার সালাউদ্দিনকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করেন নাজমুল হাসান পাপন। তার কথায়, ‘ছোটবেলা মাঠেই যেতাম উনার খেলা দেখতে। উনার মতো কিংবদন্তি ফুটবলার তো দেশে আর নেই।’ পাপন যোগ করেন, ‘অনেক কথায় উনি কষ্ট পেতে পারেন, আমিও পেতে পারি। একটা প্রতিক্রিয়া দিলাম। সেটা ওখানেই শেষ, কিন্তু সম্পর্ক তো শেষ হবে না।’
ফুটবল নিয়ে সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা সম্পর্কে পাপন বলেন, ‘কিছু সমস্যা নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উনি সুস্থ হয়ে একেবারে ফিরলে দেখব, এর মধ্যেও বলেছি কিছু কাগজপত্র পাঠাতে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে যেন আর সময় ক্ষেপণ না হয় এবং বিকল্প খেলার জায়গা করা যায় কিনা সেটাও আমার বিবেচনায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার যাচ্ছি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম দেখতে। দেরি যেন না হয়, সেটা দেখবো। আপ্রাণ চেষ্টা করবো যেন সূচি অনুযায়ী দ্রুত কাজ হয়।’ বাফুফের সভাপতি দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদি বিসিবি সভাপতি, ‘তাকে (সালাউদ্দিন) অনেক আগেই দেখতে চেয়েছিলাম। মাঝে এর মধ্যে বাইরে চলে গেলাম। গত পরশু দিন এসে ওখান থেকে বললো যে কোন দিন আসতে পারেন। আজ (গতকাল) এসেছি। আমি তো ডাক্তার না। তবে তাকে দেখে ভালো লাগছে, সুস্থ লাগছে। নিজেই হাঁটাচলা করছেন। এত বড় সার্জারির পর রিহ্যাব করতে হবে। আমার মনে হয় কিছু দিন পর আবার তাকে সব জায়গায় দেখা যাবে।’
নারী ফুটবলের প্রসঙ্গ উদাহরণ টেনে পাপন বলেন, ‘মেয়েরা তো ফুটবলে ভালো খেলছে। আমি যদি বলি ওদেরকে স্পন্সর করার কথা তাহলে কেউ না করবে না। আসলে বেসিক না দিতে পারলে কথা বলে লাভ কী? খেলার টার্ফ কিংবা মাঠের কথা উনারা বলেছেন। আমি বলেছি আপনাদেরটা (প্রস্তাব বা পরিকল্পনা) পাঠান।’ ক্রীড়া মন্ত্রী যোগ করেন, ‘ক্রিকেট ছাড়া ৫৫ টা ফেডারেশন আছে। অনেক ফেডারেশন আছে বাংলাদেশে। জিজ্ঞেস করেন, ৯৫ পারসেন্ট লোক তাদের কথা শোনেনি। ওগুলো নিয়ে যতই যা চেষ্টা করি না কেন আহামরি কিছু করতে পারবো না। তাই আমাদের অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে হবে। ফুটবল অবশ্যই সবার আগে আসবে। এর চেয়ে জনপ্রিয় খেলা তো আর নেই। ফুটবলে কিছু একটা করা যায় কিনা। আমি বলছি না সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে যা যৌক্তিক তা করার চেষ্টা করবো। আমার ইচ্ছা হলো যা কমিট করতে পারবো তাই করবো। কমিট করে যদি করতে না পারি তা করে লাভ নেই।’


বিভাগ : খেলাধুলা


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ
ব্যাটিং ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে বাংলাদেশের হার
উইন্ডিজের কাছে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ
মালানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা নিয়ে মুখ খুললেন তামিম
ফের প্রিমিয়ার লীগে ম্যানচেস্টার সিটির গোল উৎসব
আরও

আরও পড়ুন

ছাগলনাইয়া উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির কমিটি গঠন

ছাগলনাইয়া উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির কমিটি গঠন

বাগেরহাটে এ্যাথলেটিক প্রতিযোগীতা ও গ্রামীন খেলা অনুষ্ঠিত

বাগেরহাটে এ্যাথলেটিক প্রতিযোগীতা ও গ্রামীন খেলা অনুষ্ঠিত

গাজা পুনর্গঠনে কার হাতে থাকবে প্রশাসনিক দায়িত্ব ?

গাজা পুনর্গঠনে কার হাতে থাকবে প্রশাসনিক দায়িত্ব ?

রামগড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৫টি ইটভাটায় জরিমানা

রামগড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৫টি ইটভাটায় জরিমানা

এখনো দেশে সাড়ে ৩৩ হাজার অবৈধ বিদেশি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এখনো দেশে সাড়ে ৩৩ হাজার অবৈধ বিদেশি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

কম মূল্যে জমি বিক্রি না করায় দাউদকান্দিতে ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ

কম মূল্যে জমি বিক্রি না করায় দাউদকান্দিতে ছাত্রদলের নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ

মুক্ত তিন ইসরাইলি জিম্মিকে যে ‘উপহারের ব্যাগ’ দিলো হামাস

মুক্ত তিন ইসরাইলি জিম্মিকে যে ‘উপহারের ব্যাগ’ দিলো হামাস

জেরায় অবশেষে দোষ স্বীকার সাইফের হামলাকারীর

জেরায় অবশেষে দোষ স্বীকার সাইফের হামলাকারীর

ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা

ঈশ্বরগঞ্জে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা

বনানীতে সড়কে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, রাস্তা বন্ধ

বনানীতে সড়কে সিএনজি চালকদের বিক্ষোভ, রাস্তা বন্ধ

বগুড়া সেনানিবাসে সাঁজোয়া কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন সেনা প্রধান

বগুড়া সেনানিবাসে সাঁজোয়া কোরের ৪৪তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে যোগ দিলেন সেনা প্রধান

গাজীপুরে এ্যাপারেলস্ কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে আহত ১২

গাজীপুরে এ্যাপারেলস্ কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে আহত ১২

ব্যবহারকারীদের আশ্বাস ট্রাম্পের, যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু টিকটক

ব্যবহারকারীদের আশ্বাস ট্রাম্পের, যুক্তরাষ্ট্রে ফের চালু টিকটক

পদ্মায় ধরা পড়লো ৪২ কেজির মহা বিপন্ন বাঘাইড় মাছ

পদ্মায় ধরা পড়লো ৪২ কেজির মহা বিপন্ন বাঘাইড় মাছ

আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ

আরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিয়ালের প্রেসিডেন্ট পেরেজ

সিলেটে প্রখ্যাত আলেম ইসহাক আল মাদানির ইন্তেকাল!

সিলেটে প্রখ্যাত আলেম ইসহাক আল মাদানির ইন্তেকাল!

গাজার ধ্বংসস্তূপে নতুন স্বপ্ন বুনছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ

গাজার ধ্বংসস্তূপে নতুন স্বপ্ন বুনছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষ

গাজা চুক্তিকে যেকারণে ‘হামাসের জয়’ বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম

গাজা চুক্তিকে যেকারণে ‘হামাসের জয়’ বলছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম

সত্যিকারের সুখী হওয়া অনেক কঠিনঃ মিশা

সত্যিকারের সুখী হওয়া অনেক কঠিনঃ মিশা

গাজায় ব্যাংক সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তুতি শুরু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের

গাজায় ব্যাংক সেবা পুনরায় চালুর প্রস্তুতি শুরু ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের