মধুখালীতে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন
২৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৮ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৫১ এএম
মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন হাটে পেঁয়াজের ব্যাপক আমদানি হওয়ায় এবার পাইকারি ২২-২৮ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যাচ্ছে। উপজেলার মধুখালী সদর সবচেয়ে বড় বাজার শুক্রবার ও সোমবার দুইদিন হাট ছাড়াও প্রতিদিন পেঁয়াজের হাট মেলে। এ হাটে উপজেলার বাগাট, কোরকদী, মেগচামী, বামুন্দী, জাহাপুর, বোয়ালিয়া, কামালদিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে পেঁয়াজ চাষিরা হাটে পেঁয়াজ নিয়ে উপস্থিত হন। শুক্রবার ও সোমবার পেঁয়াজের আমদানি হয় অনেক বেশি। পেঁয়াজের উপস্থিতির কারণে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। গত বছরের তুলনায় ঠিক এ সময় পেঁয়াজের দর মোটামুটি। তবে বাজারে পেঁয়াজের আমদানি প্রচুর। পেয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। মৌসুমে প্রতি হাটে মধুখালী থেকে ২৫ থেকে ৩০ জন আড়ৎদারের ঘর থেকে প্রায় ৯৫ হাজার মণ পেঁয়াজ রাজধানী ঢাকা, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপারীরা খরিদ করে নিয়ে যায়। প্রতি মণ লাল তীর পেঁয়াজ ৯০০ টাকা আর দেশি পেঁয়াজ ১১০০ টাকা পর্যন্ত পাইকাররা কিনছেন। যা খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা একাধিক কৃষকেরা বলেন, যে দামে বিক্রি করছি তাতে আমাদের কৃষি কাজ করে জীবন চালানো কষ্টকর। যেখানে মণপ্রতি খরচ করেছি ১ হাজার থেকে ১১শ’ টাকা তা পাচ্ছি না। বেশি দাম পাওয়ার আশায় অনেক কৃষক তাদের পেঁয়াজ নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়। চরবাগাট গ্রামের কৃষক মো. মাসুদ মৃধা বলেন, কৃষক পেঁয়াজের দাম পায় না। গত বছর পেঁয়াজে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লোকসান হয়। এ বছর আশা করে পেঁয়াজ চাষ করি এখন পর্যন্ত মুড়িকাটা পেঁয়াজে লোকসান আশা নেই তবে কৃষকের লাভ প্রয়োজন। তিনি জানান, প্রতি শতাংশ জমিতে প্রায় ১৮৫০ টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি শতাংশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় দুই মন। বাজারে বর্তমান দামে লোকসান না হলেও লাভ চোখে পড়ছে না।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের পেয়াজ চাষি মো. রাসেল আহম্মদ বলেন ১ একর জমিতে পেয়াজের চাষ করেছি। প্রায় ২শ’ মণ আশা করছি, অবশ্যই লাভের মুখ দেখবো যেহেতু আমার জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার আলভী রহমান জানান, চলতি ২০২২-২০২৩ মৌসুমে মধুখালীতে মোট মুড়িকাটা, দানা এবং হালিসহ সব মিলিয়ে ৩ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে মধুখালীতে মোট ২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের আবাদ করা হয়। এবছর প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ বেশী হয়েছে। চলতি বছর উপজেলায় প্রায় ৫২ হাজার ৫শ’ ৮০ মেট্টিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে আশা করা হচ্ছে। তিনি আশা করেন এলসি না খুললে কৃষক পেঁয়াজে লাভবান হবে। না হলে এবারও কৃষক লোকসানে পড়বে।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই আউট মুশফিক
ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের
মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর
ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি
আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩
বিদ্যুৎ সাত-আট ঘণ্টা পর্যন্ত গ্রামে থাকে না
দুর্গাপূজায় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত
জাকিরের পর ফিরলেন সাদমানও
খুবিতে ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার শীর্ষক সেমিনার
জাতিসংঘে যাওয়ার আগে হুঙ্কার দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান
ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো বিচারবিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল
গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প থেকে ভারতীয়দের অপসারণের দাবি গণঅধিকার পরিষদের
পঞ্চগড়ে তীব্র তাপদাহে হাঁসফাঁস বিপর্যস্ত জনজীবন
দীর্ঘ ১৭ বছর পর প্রকাশ্যে তালতলীতে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন
আমরা ১৫ বছর কথা বলতে পারিনি - মুশফিকুর রহমান
ফিরলেন জাকির, এসেই শান্তর ছক্কা
মাগুরায় গৃহবধূকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ