হতদরিদ্রের ভরসা বালুচরের কম দামি পোশাক হাট
২৭ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৫ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৫০ এএম
দেশের বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে বিপাকে পড়েছেন কুড়িগ্রামরে চিলমারীর খেটে খাওয়া দিনমজুররা। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বর্তমানে তাদের বালুচরের কমদামের দোকানই ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এসব দোকানেও প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে কিছুটা। তারপরও খেটে খাওয়া মানুষের স্বস্তির বাজার হয়ে আশা জাগিয়েছে এসব কমদামের দোকানগুলো। সীমিত লাভে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় কাপড়। সপ্তাহে রবিবার ও বুধবার বসে এ হাট। এখানে বিশেষ করে চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া দিনমজুররাই পোশাক কিনছেন কমদামের দোকান থেকে।
চরশাখাহাতী থেকে বালুচরে বসে থাকা দোকানে কাপড় কিনতে আশা তারা বেগম বলেন, ‘ছোট ছেলেকে সাথে নিয়ে এসেছি। নতুন কাপড় কিনে দিতে। আমরা তো বড় বড় দোকান থেকে কাপড় কিনতে পারি না। আমরা এখানে যে পোশাক কিনি ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা আর বড় সব দোকানে গেলে দাম আরও বেশি দিয়ে নিতে হয়। যা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। এসব দোকানে যদিও কাপড়ের মান একটু কম তারপরেও এসবই আমাদের ভরসা।’
চরগুজিমারী থেকে ছক্কু মিয়া এই হাটে এসেছে বাজার করতে। তিনি কমদামী এই সব দোকানে গিয়ে একটি গামছা কিনলেন ৫০ টাকা দিয়ে। অথচ এই গামছাটি থানাহাট বাজারের কোন এক দোকানে নিলে ৭০ থেকে ৮০টাকা গুনতে হতো। তাই বালুচরের এই কাপড়ের দোকানই আমাদের ভরসা। উপজেলার রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছ বাজারের সামনে বিশাল বালুচরে সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার বসে এই হাট। এখানে অষ্টমীরচর, নয়ারহাট, চিলমারী ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক চরের মানুষ আসেন বাজারে কেনা বেচা করতে। সাশ্রয়ী মূল্যে কেনা বেচা করেন চরাঞ্চলের বিভিন্ন মৌসুমের ফসল। শতবর্ষী এই হাটটি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিকভাবে বেশ সহযোগীতা করে। এই হাটে এ উপজেলা ও আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষও আসেন পণ্য কেনা বেচা করতে।
সরেজমিনে দিনব্যাপী রবিবার এ হাট ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। দেখা গেছে বিস্তৃীর্ন চরের বিশাল এক হাট বসে। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই হাটে।
খোলা বাজারের কমদামের কাপড়ের দোকানের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাচ্চাদের ছোট প্যান্ট ২০ টাকা, বড় প্যান্ট ২৫ থেকে ৩০ টাকা। টি-শার্ট ২০ থেকে ৪০টাকা প্রতি পিস। লুঙ্গি ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা, গামছা বিক্রি হচ্ছে ৫০/১০০টাকা। উলিপর থেকে আসা কাপড় ব্যবসায়ী সাইফুল রহমান বলেন, তিনি প্রতি হাটে এখানে কাপড়ের দোকান দেন। প্রতি হাটে প্রায় ১ থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি হয়। এখানে বেশির ভাগ ক্রেতা চরঅঞ্চলের মানুষ।
সীমিত লাভে এখানে কাপড় বিক্রি করেন জোড়গাছ ভট্টপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল করিম। তিনি জানান, বড় বড় সব দোকানের তুলনায় এখানে কম দামে কাপড় বিক্রি করি। সপ্তাহে দুই দিন এই হাটে কাপড় কেনা বেচা হয়। অনেকেই আসেন চর থেকে তাদের কাছে আমরা সীমিত লাভে কাপড় বিক্রি করি।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
হাসিনার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ
হাসিনার সব অপরাধের সহযোগী ছিলো মন্ত্রী-এমপিরা : চিফ প্রসিকিউটর
বায়ুদূষণে চরম বিপর্যস্ত দিল্লি, এবার বন্ধ হলো স্কুল-নির্মাণকাজ
"গায়িকা জোজোর ছেলে চকলেট ভেবে গিলে ফেলেছে বুলেট"
সাংবাদিকদের নামে মামলা গোলাপগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকদের প্রতিবাদ ও নিন্দা
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১১১, ‘গণহত্যা’ দাবি করে তদন্তের আহ্বান পোপ ফ্রান্সিসের
বেতনের দাবিতে বেক্সিমকো শ্রমিকদের তৃতীয় দিনের মতো অবরোধ, সড়কে যৌথবাহিনী
১৩৭ একর জায়গাজুড়ে নির্মিত হলমার্ক এখন ধ্বংসস্তূপ, সব যন্ত্রপাতি লুট
লক্ষ্মীপুরের বিশিষ্ট আলেম হযরত মাওলানা আব্দুল হান্নান আর নেই!
ঢাবিতে ভর্তি: ১৪ দিনে সোয়া দুই লাখ আবেদন, বেশি বিজ্ঞানে
কখনো ভাবিনি নারীদের অধিকার এত সহজে হারিয়ে যাবে : মালালা
কিশোরগঞ্জে যুবকের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী নিহত
অস্ট্রিয়ার জাতীয় দিবসে অনারারি কনস্যুলেট, ঢাকার শুভেচ্ছা!
গণহত্যার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো ১৩ আসামিকে
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় নিহত ১০ এবং ব্যাপক বিদ্যুৎ বিপর্যয়
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনে নজর কেড়েছে শাহরুখ খান
কেরানীগঞ্জ প্রেস ক্লাব থেকে রায়হান ও ইউসুফ বহিষ্কার
যশোর শহরে ফের ভেজাল লুব্রিকেন্ট কারখানার সন্ধান, জরিমানা ও কারখানা সীলগালা
আন্দোলনে আহত ৭ জনকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেবে তুরস্ক: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
যশোরে যৌনকর্মীর সাথে মোবাইলে কথা বলায় বাস হেল্পার বাপ্পি খুন, আটক ১