ছয় বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ
০৪ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:১৮ পিএম
দুই বছর পূর্বে নদীর ওপর মূল সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর থেকে দাড়িয়ে রয়েছে। দুই পাশের সংযোগ অংশসহ সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় এখন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাচ্ছে না ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত ২৭৭ মিটার দীর্ঘ ভাষাবীর এম এম ওয়াদুদ সেতুটি। সর্বশেষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জেলা প্রকৌশল বিভাগকে চলতি বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষে হস্তান্তর করার কথা বললেও কবে নাগাদ তা তাদের নির্মাণ কাজ শেষ হবে, তা কেউই বলতে পারছে না। যদিও জেলা প্রকৌশল বিভাগের ওই সেতুর দায়িত্বপ্রাপ্ত তদারকি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সেতু এপ্রোচ অংশসহ সড়কের কাজ শেষ হবে এই লক্ষ্যে তিনি নিয়মিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দিচ্ছেন। ফলে শেষ হইয়াও হইল না শেষ সেতুটি।
জানা যায়, ডাকাতিয়া নদীর ওপর ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের চর রনবলিয়া গ্রাম ও চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোটসুন্দর গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বগারগুদাড়া এলাকায় দিয়ে ২৭৭ মিটার দীর্ঘ ভাষাবীর এম এম ওয়াদুদ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যে দিয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
৩৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার নবারণ টেড্রার্স লি. সেতুটির মূলকাজ নদীর ওপরের কাজটি সম্পন্ন করে। পরে ২০২০-২১ অর্থবছরে দ্বিতীয় ধাপের কাজের জন্য ২৮ কোটি ৯৫ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৫৪ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রিজভী কনস্ট্রাকশন ও ইউনুছ আল মামুন (জেবি) যৌথভাবে কাজ শুরু করে।
সরেজমিনে সেতুর নির্মাণ কাজ এলাকায় দেখা যায়, সেতুর চাঁদপুর সদর অংশের ডায়াফাক্টের কাজ অনেকাংশ শেষ হলেও ফরিদগঞ্জ অংশের কাজ এখনো অনেকটাই বাকি।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের চররনবলিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মদ (৬৫) জানান, নিজেদের জমি দিয়েছি এই সেতুর জন্য। সেতু হলে দুই পাড়ের মানুষের জন্য ভাল হবে এই ভেবে। কিন্তু বছরের পর বছর যাচ্ছে, সেতুর কাজ শেষ হয় না। মরার আগে দেখতে পারবো কিন না জানি না। চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোটসুন্দর গ্রামের বাসিন্দা মাধব দাস (৪৫) বলেন, সেতুর ওপর দিয়ে আমরা চলাচল করতে পারবো কী না জানি না।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দায়সারাভাবে নির্মাণ কাজ করায় সেতুর শেষ অংশে নির্মাণে গতি নেই। তারা এক সপ্তাহ ঠিকমতো কাজ করলেও পরের সপ্তাহে কোন কাজ করে না। কবে যে এই সেতু দিয়ে যান চলাচাল শুরু হবে, তা কেউই বলতে পারছে না। ইতোমধ্যেই দিন মাস বছর পার হচ্ছে। চাঁদপুর এলজিইডি বিভাগের এসও এবং সেতুর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আইউব খান জানান, ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ সেতুর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ ডিসেম্বর ২০২১ সালে মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তীতে মেয়াদ বৃদ্ধি করে জুন ২০২৩ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগেই পুরোপুরি সম্পন্ন হওয়ার আশা করছি।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুর-হাইমচর আসনের এমপি ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির পিতা ভাষাসৈনিক মরহুম এম.এ ওয়াদুদের নামানুসারে সেতুটির নামকরণ করা হয়।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
কে হবেন বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার?
বোলারদের নৈপুণ্যে অল্প টার্গেটেও স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান
৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামোর বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে: আমিনুল হক
পিরোজপুর প্রেসক্লাব নির্বাচন শামীম সভাপতি ও তানভীর সম্পাদক
বিরক্তিকর সময়কে গুডবাই বলুন! এন্টি ডোট হিসেবে সেরা অ্যাপ (পর্ব-১)
দেশের বিরাজমান সংকট উত্তরণে জাতির আস্থা তারেক রহমান : মীর হেলাল
টোল প্লাজায় দুর্ঘটনা: বাসের ব্রেকে সমস্যা ছিল, চালক নেশা করতেন
পাবনার আমিনপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে আগুন, শঙ্কিত পরিবার
দেশে এলো ভিভোর নতুন ফ্ল্যাগশিপ এক্স২০০
বিএনপির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হলে কাউকে ছাড় নয়: শাহ সুলতান খোকন
সচিবালয়ে অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য বিশেষ সেল গঠন
যুদ্ধের দামামা, তালেবানের পাল্টা হামলায় ১৯ পাকিস্তানি সেনা নিহত
ফিরে দেখা ২০২৪: ফুটবলে ঘটনাবহুল বছর
বড় চমক অ্যাপলের, জ্বর ও হার্ট অ্যাটাকের আগেই সতর্ক করবে ইয়ারবাডস
রাস্তাটি সংস্কার করুন
থার্টি ফাস্ট নাইট এবং প্রাসঙ্গিক কথা
ইসলামী শক্তির সম্ভাবনা কতটা
কিশোরগঞ্জে দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু, গ্রেফতার-১
সাধারণ মানুষের স্বস্তি নিশ্চিত করা জরুরি
দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা