আশাশুনির কালকী স্লুইকী গেটের মুখে পলি
০৬ মে ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম | আপডেট: ০৭ মে ২০২৩, ১২:০৩ এএম
আশাশুনি উপজেলার খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের সীমান্তে অবস্থিত কালকী সøুইস গেটের মুখে পলি জমে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে এলাকা ফসলি জমি নষ্ট ও গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে থাকে।
উপজেলার খালিয়া গ্রামের কৃষক আবদুল হামিদ সানা বলেন, বর্ষা মৌসুমে পানি সরবরাহ না হলে প্রান্তিক চাষিদের ফসল উৎপাদনে বিঘœ সৃষ্টি হবে। দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক অসিত গোলদার বলেন, পয়ঃনিষ্কাশনে বিঘœ সৃষ্টির কারণে তারা ধান চাষে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
পুরো বড়দল ইউনিয়ন লবণ পানি মুক্ত, এখানে কোনো লোনা পানির মাছ চাষ হয় না। বর্ষা মৌসুমে বিলের ও গ্রামের পানি কপোতাক্ষ নদে নিষ্কাশন করা হয়ে থাকে। অন্য মৌসুমে অধিকাংশ জমি পতিত থাকে এবং এলাকায় ব্যাপকভাবে গবাদি পশুর চাষ হয়ে থাকে। এই বিল বর্ষা মৌসুম বাদে গবাদি পশুর চারণ ভূমি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে গেটের মুখে পলি মাটি জমে গেটের মূল প্রবেশ পথ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বড়দল ও খাজরা ইউনিয়নের বিলগুলো প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। গেটের কপোতাক্ষ নদের ভেতরের অংশে অতিরিক্ত পলি মাটি জমে গেটে পানি প্রবেশ মুখ সম্পূর্ণ ভরাট হয়ে গেছে। পূর্বে গেটের কান্ট্রি সাইটের খাল ভরাট হয়ে গিয়েছিল। যা আর পুনঃখনন করা হয়নি।
এলাকাবাসী জানান, ফটিকখালী, খালিয়া, রাউতাড়া, পিরোজপুর, দূর্গাপুর, গজুয়াকাটি, চেউটিয়া এলাকা ও বড়দল ইউনিয়নের কিছু অংশের হাজার হাজার বিঘা ধানের জমি ও মৎস্য ঘেরের পানি নিঃষ্কাশনে একমাত্র এই সøুইজ গেটটি ব্যবহার করা হয়। বিকল্প আর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এবার বর্ষা মৌসুমে চরম মূল্য দিতে হবে কৃষকদের। যার ফলে এই এলাকার একমাত্র ফসল আমন ধান চাষ চরমভাবে ক্ষতিরমুখে পড়বে।
এ ব্যাপারে খাজরা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার রামপদ সানা জানান, কালকীর সøুইস গেটের মুখের পলি অপসারণ না করলে এই অঞ্চলের মানুষ বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে। তিনি বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পশ্চিম ফটিকখালী পরিমল দর্জির বাড়ি সংলগ্ন কালভার্টটি পুনরায় চালু করে মৎস্য ঘেরের পানি সরবরাহের ক্যানেলটি ব্যবহার করার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম এনামুল ইসলাম বলেন, খালটি খনন করার জন্য কৃষি বিভাগের খুলনা অফিসে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন সাপেক্ষে খাল পুনঃখনন করা হবে।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
চীনের অবিশ্বাস্য সামরিক উত্থানে টনক নড়েছে ভারতের
পারমাণবিক বোমা সজ্জিত নতুন যুদ্ধজাহাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন কিম
ধর্ষণের প্রতিশোধে বাবাকে হত্যা, গ্রেফতার ২ কিশোরী
আমাকে ধর্ষণ করার ভিডিও দেখে স্বামী
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই
ফিলিপাইনে ৪০০ বিদেশি অনলাইন প্রতারক গ্রেফতার
ইসরাইলি ৪শ’ সেনা নিহত গাজায় স্থল অভিযানে
কুষ্টিয়ায় কৃষি যন্ত্র বিতরণে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা করতে হবে
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সিরিজ ড্র করল বাংলাদেশ
ভোলায় শীতার্তদের মাঝে জেলা প্রশাসকের কম্বল বিতরণ
গাজীপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলা
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা জসিম গ্রেপ্তার
বিভিন্ন বিভাগ ছোট হচ্ছে পাকিস্তানে
আশুলিয়ায় চাঁদার দাবিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে দোকানীকে গুলি
গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকি নিয়ে ট্রাম্পকে সতর্ক করল জার্মানি-ফ্রান্স
৪ ভূখ-কে অন্তর্ভুক্ত করে ইসরাইলি মানচিত্র প্রকাশ
চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
চলতি বছর বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমার পূর্বাভাস
যুক্তরাষ্ট্রের নাম মেক্সিকান আমেরিকা রাখার পরামর্শ