চার বছরেও শেষ হয়নি সড়ক নির্মাণকাজ
০৮ মে ২০২৩, ০৮:৩২ পিএম | আপডেট: ০৯ মে ২০২৩, ১২:০৪ এএম
নীলফামারীর সৈয়দপুরে রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের চ্যাংমারিপাড়া থেকে পোড়াহাট জিসি সড়ক নির্মাণকাজ ২০ মাসের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও ৫১ মাসেও নির্মাণ শেষ না হওয়ায় প্রায় ১৫ হাজার এলাকাবাসী চলাচল করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
দুই কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০ ফুট প্রস্থের এ সড়কটি নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পান মেসার্স খায়রুল কবির রানা নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। অথচ তিনদফা সময় বাড়িয়েও কাজটি শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কবে নাগাদ শেষ হবে তাও বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর। যার ফলে সড়কের দুই পাশের প্রায় ১৫ হাজার এলাকাবাসী চলাচল করতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
সৈয়দপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি শুরু হওয়া ওই সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ ২০ মাসে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বার-বার তাগিদ দেওয়া সত্বেও শেষ করা তো দূরের কথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চাপে সংশ্লিষ্ট দপ্তর তিনদফা সময় বৃদ্ধি করেছেন। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে তারপরেও কাজে কোনো গতি ফিরেনি। ধীরগতিতে কাজ চলায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলাবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তা ১০ ফুট চওড়ার জায়গায় স্থানভেদে সাড়ে ৯ ফুট থেকে পৌনে ১০ ফুট করা হয়েছে। নিম্নমানের ইট বিছানো হয়েছে। এমনকি রাস্তার দু’ধারের মাটিও ঠিক করা হয়নি। সড়কে খোঁয়া বিছানোর আগে বালু ও পানি পরিমাণমত ব্যবহার করা হয়নি। রোলার চালিয়ে রাস্তার বিছানো ম্যাটেরিয়াল (বেড) মজবুতও করা হয়নি। যার ফলে রাস্তার নির্মাণকাজ শেষ হলেও এ রাস্তা অল্পদিনেই নষ্ট হবে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকার সাইদুল ইসলাম, শফিকুল, রহিম, জাহানারা, আলিম, মরিয়মসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, ৪ বছরের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও সড়কের নির্মাণকাজ শেষ হচ্ছে না। বর্ষাকালে রাস্তার ওপর দিয়ে চলাচল করতে স্থানীয়দের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। আর যতটুকু কাজ হয়েছে এবং এখন হচ্ছে তা’ নিম্নমানের দাবি করে তারা স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্মাণকাজ তদারকির দাবি জানান।
এনিয়ে কথা বলতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তাদের প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পাওয়ায় তাদের মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে, সৈয়দপুর উপজেলা প্রকৌশলী একেএম আলী রেজা রাজু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণকাজ শেষ করার বার-বার তাগিদ দেওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, ডিবিসি টেস্ট এবং এলএএ ভ্যালু না থাকলে ঠিকাদার বিল পাবেন না।
বিভাগ : আজকের পত্রিকা
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফের্নন্দেসের লাল কার্ডের দিনে ফের হারল ইউনাইটেড
শেষের গোলে জিতে চেলসির জয়রথ থামাল ফুলহ্যাম
পরলোকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং :ভারতে ৭ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কালীগঞ্জে রাঙ্গামাটিয়া ধর্মপল্লীর সংবাদ সম্মেলন
গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
মিসরে প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
কুর্দি যোদ্ধাদের ভয়ঙ্কর হুঁশিয়ারি এরদোগানের
৩৫শ’ এজেন্টের অধিকাংশই গুজরাটের পাচারকারী
৫ সাংবাদিককে হত্যা করল ইসরাইল বিমান
তুষারপাতে অচল হিমাচল দুই শতাধিক রাস্তা বন্ধ
ক্রিপ্টো রিজার্ভ গড়বেন ট্রাম্প?
মোজাম্বিকে কারাদাঙ্গায় নিহত ৩৩, পলাতক ১৫০০ কয়েদি
গাজায় যুদ্ধবিরতি বিলম্বে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ হামাস-ইসরাইলের
পাকিস্তানে সড়ক অবরোধে শতাধিক শিশুর প্রাণহানি
আফগানিস্তানে ৭১ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে পাকিস্তান
শুধু নারীদের জন্য
নিথর দেহ
আত্মহননে
জকিগঞ্জে প্রাক্সিসের ৭ দিনব্যাপী ইংলিশ স্পিকিং চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণী
মাদ্রাসার ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামার সময় পড়ে গিয়ে শিশুর মৃত্যু