কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের ঘটনার সত্যতার ভিত্তিতে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন নির্বাহী পরিচালক একজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে তিনি কুমিল্লার বরুড়ার মৌলভীবাজার এলাকায় নির্মিত ফেয়ার হসপিটালের উদ্যোক্তা ও মালিকপক্ষের অন্যতম অংশিদার হিসেবে নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব নেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ওই চিকিৎসককে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফেয়ার হসপিটালের পরিচালক (অর্থ) ও মামলার বাদী আবদুল হাই ফরহাদ জানান, হাসপাতালটির নির্বাহী পরিচালক ও উদ্যোক্তা ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক। তিনিসহ ৯৫ জন মালিক নিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। নির্বাহী পরিচালক হিসেবে সম্মানী প্রতিমাসে ২০ হাজার টাকার বাইরে বিভিন্ন তারিখে ও বিভিন্ন সময়ে ২৯ লাখ ৮১ হাজার ৬৩১ টাকা গ্রহণ করেছেন। বিষয়টি হাসপাতালের অন্যান্য পরিচালকের দৃষ্টিগোচর হলে, ওই টাকা ফেরতের জন্য তাকে বলা হলে তিনি সময়ক্ষেপণ করেন। পরে আদালতে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা করা হয়। আদালতের নির্দেশে বরুড়ার থানার এক কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। ১৮ মে তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। হাসপাতালের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সরকারি চাকরি বিধিমালার ১৭ নং ধারার আলোকে ডা. মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে চাকরিরত অবস্থায় প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবসায় জড়িয়েছেন, যা সরকারি চাকরি বিধিমালার লঙ্ঘন।