মারামারির নাটক সাজিয়ে ছিনতাই করে তারা
১১ জুলাই ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
নগরীতে জনবহুল স্থানে মারামারির নাটক সাজিয়ে ডাকাতি ও ছিনতাইকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজার এলাকা থেকে ছিনতাই করা ১০ লাখ টাকার মধ্যে সাত লাখ ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে বায়েজিদ বোস্তামী, সদরঘাট ও কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার জাফর আহমদের ছেলে একরামুল আলম (৩৭), মীরসরাই উপজেলার শাহ আলমের ছেলে সাহেদ হোসেন মনা (২৪), সাতকানিয়া উপজেলার মো. ইউনুছের ছেলে মো. ইয়াছিন ওরফে এরফান ওরফে সাব্বির (২৪) ও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দেলোয়ার হোসেনের মো. ইকবাল হোসেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত চক্র। তারা বড় বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে এবং তাদের ব্যাংকিং লেনদেনের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে থাকেন। টার্গেটকৃতদেরকে কখন কোন ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যায় এবং কখন উত্তোলন করতে যায় এসব বিষয় তারা নজরদারিতে রাখে। সুবিধা বুঝে একদিন টার্গেট করা ব্যক্তি টাকা জমা দেওয়ার আগে বা উত্তোলন করার পর ব্যাংকের আশপাশে নির্ধারিত স্থানে পৌঁছামাত্রই অভিযুক্তরা নিজেদের মধ্যে মারামারির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এতে করে দুই পক্ষের মারামারি মনে করে কোনো পথচারী এগিয়ে আসেন না। অন্যদিকে মারামারির একপর্যায়ে অভিযুক্তরা সুযোগ বুঝে টার্গেটকৃত ব্যক্তির কাছ থেকে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, রেয়াজুদ্দিন বাজারে তাদের অফিসও রয়েছে। সেখানে তারা অবস্থান করে ব্যবসায়ীদের টাকা লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে। মারামারির নাটক সাজিয়ে রোববার দুপুরে সাড়ে ১২টায় জুবিলী রোডের রয়েল টাওয়ারের সামনে থেকে মোরশেদ আলম ও ত্রিদিব বড়ুয়া নামে দুজনকে মারধর করে নগদ নয় লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। হামলার শিকার দুজনেই নুর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। এ ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক নুর মো. ইয়াছিন কবির বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল কবির বলেন, ঘটনার পর অভিযোগ পেয়ে প্রথমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আসামি সাহেদ হোসেন মনাকে শনাক্ত করা হয়। এরপর তাকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যে একজনকে সদরঘাট থানা এবং বাকি দুজনকে কর্ণফুলী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। রেয়াজুদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার নেতৃত্বে এ চক্রটি ছিনতাই, দস্যুতা ও ডাকাতি করে আসছে। চার জনকে ধরা হলেও তাদের আশ্রয়দাতাকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোল উৎসবে বার্সার ছয়ে ছয়
রোনালদোর দ্রততম শত গোলের রেকর্ড ছুঁলেন হল্যান্ড
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী