বিলুপ্তির পথে ঝাঁকিজাল
১১ জুলাই ২০২৩, ১০:০৯ পিএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

একটা সময় ঝাঁকিজাল ছিল গ্রামীণ সমাজে মাছ ধরার মূল উপকরণ। আষাঢ় আসলেই মাছ ধরার জন্য জাল বুনতে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন গ্রামের লোকজন। তার মধ্যে ঝাঁকিজাল, ধর্ম জাল ও ঠেলা জালসহ নানা রকমের জাল। তবে এ জাল বুনার দৃশ্যটা শুধু গ্রামাঞ্চলে বেশি দেখা যায়। কেউ বাণিজ্যিক উদ্দ্যেশ্য, কেউ শখ করে জাল বুনেন নিজে মাছ ধরার জন্য। কিন্তু মানুষ প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হওয়ায় আগের ঐতিহ্যের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। আগের মতো জাল বুনার দৃশ্য যেখানে সেখানে চোখে পড়ে না।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মহব্বতপুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, একটি মুদির দোকানে সোলায়মান নামক একজন ব্যবসায়ী ব্যবসার পাশাপাশি ঝাঁকিজাল বুনছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবহমান কাল থেকে বাংলার মানুষ মাছ ধরার জন্য জাল ব্যবহার করে আসছে। তার মধ্য ঝাঁকিজাল অন্যতম। এক সময় ঝাঁকি জালের চাহিদা গ্রামে ছিল ব্যাপক। জাল বুনায় দক্ষ করিগরও ছিল অনেক। বস্তুত কার্পাস তুলার সুতার উৎপাদন কমে যাওয়ায় ইদানিং হাতে বুনা ঝাঁকিজাল কেনাবেচা হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে মেশিনে তৈরি নাইলনের জালের ব্যবহার বেড়েছে। তাই জাল দিয়ে মাছ ধরার সৌখিনতাও কমে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি দাদা-দাদি ঝাঁকিজাল বুনতেন। একটি জাল বুনতে সময় লাগতো ৯-১০ দিন। তাদের থেকে জাল বুনার কৌশলটা শিখেছি। ৭-৮ হাত লম্বা ঝাঁকিজাল বুনতে আমার ১০-১৫ দিন সময় লাগে। ব্যবসার ফাঁকে ফাঁকে জাল বুনি।
প্রবীণ জেলে আব্দুল রাজ্জাক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ঝাঁকিজাল বুনা এক সময় মানুষের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম উৎস ছিল। এ জাল বুনা দেখতে যতটা সহজ মনে হয় প্রকৃতপক্ষে তা বেশ কঠিন কাজ। আগে হাতের তৈরি জাল বুনন হতো বলে বেশ মজবুত এবং টেকসই হতো। তবে এখন মেশিনের তৈরি জাল বের হওয়ার ফলে হাতের তৈরি জালের চাহিদা কমেছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় মৎস্য কর্মকর্তা সায়েম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এখন আগের মতো খাল-বিল পুকুর নদী নালায় সে ধরনের মাছ নেই যা কেবল ঝাঁকিজালেই ধরা পড়ত। কর্মহীন অনেক পরিবার ঝাঁকিজাল দিয়ে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। একসময় মাছ ধরার জন্য উৎসবমুখর আয়োজন থাকলেও কালের বিবর্তনে সেটা বিলুপ্তির দারপ্রান্তে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সল্ট-কোহলির ঝড়ে অন্যরকম শুরু বেঙ্গালুরুর

চ্যাম্পিয়ন বিকেএসপি

‘বিদেশি’ আনছে ভারতও!

কর্ণফুলীতে বন্যহাতির আক্রমণে শিশুর মৃত্যু

কিশোরগঞ্জে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা নিহত

ঝিনাইদহে জমে উঠেছে ঈদের বাজার ক্রেতাদের ঝোঁক দেশি পোশাকে

সুশীল বিপ্লবীরা আ.লীগের পুনর্বাসন করতে চায় : রাশেদ খান

ধানমন্ডিতে নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরীরের ৭ সদস্য রিমান্ডে

সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৯০% ভোট পেয়ে বিএনপি জয়লাভ করবে : কায়কোবাদ

আপন চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৪ বছরের বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে : মাহমুদুর রহমান মান্না

টিভিতে দেখুন

অমর একুশে হল ছাত্রদলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বিশ্বকাপে এক পা আর্জেন্টিনার

মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ায় হাফেজ ছেলের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে নামাজরত অবস্থায় বাবা নিহত

‘‘রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল’ কিংবদন্তি জর্জ ফোরম্যান আর নেই

বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে : নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী

৬ এপ্রিল ক্যাম্পে ফিরছেন সাবিনারা

আর্জেন্টিনা ম্যাচে ‘বেকার’ আলিসনও

ইউট্যাবের ইফতার মাহফিলে খালেদা জিয়ার সুস্থতার কামনা