কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনের কবলে বাড়িঘর ও স্থাপনা
২১ আগস্ট ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩ এএম
কুড়িগ্রামে সবকটি নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বিশেষ করে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর পানি কমার সাথে সাথে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে নদীতে বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে খিতাব খাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল থেকে ৩৫মিটার দূরে অবস্থান করছে নদী। মাঝে একটি আঁকাবাকা রাস্তা, রাস্তার ধারে কিছু গাছপালা। যে কোন মুর্হূতে রাক্ষুসী তিস্তা হিংস্র হয়ে উঠলে বিদ্যালয়টির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। একই অবস্থা ওই ইউনিয়নের চর খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিকের।
সরেজমিনে জানা যায়, তিস্তা নদীতে পানি কমার সাথে সাথে ভাঙন তীব্র হয়ে উঠেছে।
গত তিন মাস ধরে দফায় দফায় ভাঙছে তিস্তা। এরমধ্যে শুধু খিতাবখাঁ গ্রামে ৩০টি পরিবারের ভিটে মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যান্য ৪টি গ্রামসহ এর সংখ্যা ৫০এর উপরে। উপজেলার ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের খিতাবখাঁ, গতিয়াশাম ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা, রামহরি এবং কালিরহাট গ্রামে শতশত একর ফসলি জমি ও গাছপালা গিলে খাচ্ছে তিস্তা নদী। বাড়িঘর হারিয়ে তাদের অনেকেই খোলা আকাশের নীচে মানবেতর দিনাতিপাত করছেন। এই গ্রামের অনেকে আবার মাঝেরচর নামক স্থানে নতুন বসতি স্থাপনের কাজ করছেন।
এদিকে অব্যাহত নদী ভাঙনে উপজেলার বিদ্যানন্দ ও ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের সহস্রাধিক বসতভিটা সহ কালিরহাট বাজার, বুড়িরহাট বাজার, কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ২টি ইউনিয়নের ৪টি মসজিদ, ২টি মন্দির, বিভিন্ন স্থাপনা ও শতশত একর ফসলি জমি হুমকির মুখে। এরমধ্যে খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তিস্তা নদী এখন একেবারে মুখোমুখী অবস্থানে। এলাকাবাসী সবার্ধিকর্ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছেন, খিতাবখাঁ ও চর খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং গতিয়াশাম কমিউনিটি ক্লিনিককে।
খিতাবখাঁ গ্রামের নদী ভাঙনে গৃহহারা আব্দুস ছাত্তার জানান, ত্রাণের আশা করি না, সরকারের কাছে আমার দাবি নদী ভাঙন বন্ধে তিস্তা মহাপরিকল্পনাটা বাস্তবায়ন করা হউক। একই গ্রামের ভবেশ চন্দ বলেন, এই গ্রামের চারপাশোত ৩ থেকে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে কোন স্কুল নাই। খিতাবখাঁ স্কুলট্যা নদীত বিলীন হলে গ্রামের অনেক ছেলে-মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যাবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন মন্ডল বলেন, ভাঙন রোধে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা অত্র এলাকার হাজার হাজার মানুষের প্রাণের দাবি। খিতাবখাঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে গেলে এই বিদ্যালয়ের ৩ থেকে ৪০০ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে তিনি জানান।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নিবার্হী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ইনকিলাবকে জানান, ভাঙন প্রতিরোধে ঘড়িয়ালডাঁঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ অব্যাহত রয়েছে এবং যথাযথ কাজ চলায় এখন পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো টিকে আছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার