ফরিদপুরে পেঁয়াজ ৯০ টাকা, সরকারি দামে বিক্রি করছে না কেউ
০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম
গত ২০দিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ, আলু ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হলেও ফরিদপুরের কোনো বাজারের কোনো আড়ৎদার ব্যাবসায়ী কেউ সরকারের আদেশ মানছেন না। পূর্বের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, পেঁয়াজ ও ডিম। ফরিদপুরের কোনো ক্রেতা একদিনও সরকার নির্ধারিত দামে কিনছেন এমনটা চোখে পড়েনি। তাই ভোক্তাদের মধ্যে কষ্ট আর ক্ষোভ দুটোই বিরাজমান।
সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা, পেঁয়াজের দাম ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা ও ডিম প্রতিটি ১২ দামে বিক্রি করার কথা ছিল। কিন্তু কেউ মানছেন না সরকারি নিয়ম। এ প্রতিনিধি শুক্রবার সকাল ১০ থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শহরের হাজী শরীতুল্লাহ বাজার, টেপাখোলা বাজার, হেলিপোর্ট বাজার এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখতে পান প্রতি কেজি আলু ৪৫- ৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৯০ টাকা আর এলসির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা করে। প্রতি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৩.৭৫ টাকা করে।
বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে তারা আলু, পেঁয়াজ ও ডিম পাইকারিতেও কিনতে পারছেন না, তাহলে বিক্রি করবেন কীভাবে। সরকারের দামে বিক্রি করতে গেলে তাদের কেনা দামের চেয়ে ৫/৭ টাকা লোকসান হবে। অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেয়া দাম নিয়ম বাজারের বড় বড় আড়ৎদার মহাজনরাই মানছেন না, আমরা চুনোপুঁটি। ছোট ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের বললেন, চালাকি করে সব মালের দাম বাড়িয়ে রেখেছেন। আমরা ছোট ব্যবসায়ীরা ধমকের পাত্র। ফরিদপুর জেলায় ভোক্তা অধিকারের পরিচালক মোঃ সোহেল শেখ নিয়মিত বাজারগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছেন।
তাতে দুই একদিন কাজ হলেও যেই লাউ সেই কদু। গতকাল শুক্রবার ফরিদপুর কানাইপুর কাঁচাবাজার ও এবং সাতৈর কাঁচাবাজারসহ উল্লেখিত বাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে একান্তে কথা বলে এসব কথা জানা যায়।
ফরিদপুর টেপাখোলা বাজারের বিএনপি নেতা মো. আরাপ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্বা মো.আমীনুর রহমান মুসা, সিএন্ডবিঘাট বাজারের মো. ইয়াকুব মেম্বার, সদরথানার লেকপাড় বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী মো. আরমান কাঁচাবাজারে আলুসহ বিভিন্ন সবজি ক্রয় করেন থাকেন। তার দোকানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু ৫০ টাকা করে বিক্রি কিনছেন, যা নির্ধারিত দামের তুলনায় ১৫ টাকা বেশি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতি কেজি আলু পাইকারি বাজার থেকে কিনে দোকানে নিয়ে আসতে ৪৫ টাকার ওপরে খরচ হয়। এখন ৪৫ টাকা কেজি দরে আলু কিনে ৩৫-৩৬ টাকা করে বিক্রি করবো কীভাবে? পাইকারি বাজারে দামে কম পাইলে কমে কিনতে পারি। যদি কিনতে না পারি তাহলে খুচরা বাজারেও আমরা কম বিক্রি করতে পারতাম।
ফরিদপুর হারোকান্দি কাঁচাবাজারের মুদির দোকানি মো. মনিরুলকে নির্ধারিত দামের থেকে প্রায় ২ টাকা বেশি দামে প্রতি ডিম ও প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫-২৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এই বেশি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ইনকিলাবকে বলেন, আমাদের পক্ষে নির্ধারিত দামে ডিম ও পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব না। কারণ আমি বেশি দামে কিনেছি। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। আমি তো নিরুপায়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান