আকস্মিক গ্যাস সঙ্কটে চট্টগ্রামে জনদুর্ভোগ
২২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
আকস্মিক গ্যাস সঙ্কটে চট্টগ্রামে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বঘোষণা ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ সীমিত করেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)। এতে চট্টগ্রাম জুড়ে তীব্র ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
গ্যাসের অভাবে নগরীর অধিকাংশ ফিলিং স্টেশন থেকে গাড়িতে সরবরাহ সীমিত হয়ে পড়ে। বাসাবাড়ি, হোটেল-রেস্তোঁরায়ও দিনের বেশিরভাগ সময় চুলা জ্বলেনি। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং দু’টি সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে। কেজিডিসিএল’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কক্সবাজারের মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে পাওয়া গ্যাস গ্রাহকদের সরবরাহ করে থাকে কেজিডিসিএল। এরমধ্যে একটি টার্মিনালে জরুরি সংস্কার কাজের জন্য সরবরাহ সীমিত করা হয়েছে। ফলে গ্রাহকদের মধ্যে বিশেষত, গৃহস্থালি খাতে সাময়িক ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা আরোও সাতদিন অব্যাহত থাকবে।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে নগরীসহ কেজিডিসিএল আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের চাপ আস্তে আস্তে কমতে থাকে। সকাল ৮টার দিকে কিছু কিছু এলাকায় সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। আবার বিকেলে সেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও অন্যান্য এলাকায় বিঘœ সৃষ্টি হয়।
কেজিডিসিএল সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালীর এলএনজি টার্মিনাল থেকে কেজিডিএল-কে নিয়মিত ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস দেয়া হয়, যা আবাসিক ও শিল্পখাতে সরবরাহ করা হয়। মহেশখালী থেকে যাওয়া পাইপলাইনের গ্যাস আনোয়ারা থেকে কেজিডিসিএল’র পাইপলাইনে যুক্ত হয়, সেখান থেকে ৩২০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস নিয়মিত পাওয়া যায়। কিন্তু শনিবার সকাল থেকে একটি টার্মিনাল এবং পাইপলাইনের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। ফলে গ্যাস মিলছে ২৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। ঘাটতি প্রায় ৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। কেজিডিসিএল’র সবচেয়ে বড় গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করা হয় শিকলবাহা বিদ্যুৎকেন্দ্র ও চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানিকে। এ তিনটি খাতে গ্যাসের প্রয়োজন প্রায় ১২০ থেকে ১২৫ মিলিয়ন ঘনফুট। আরও ১৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বাকি গৃহস্থালি ও শিল্পখাতে সরবরাহ করে কেজিডিসিএল।
সঙ্কটের মধ্যেও বিদ্যুৎকেন্দ্র ও দুটি সার কারখানায় সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। কিন্তু যে ১৮০ মিলিয়ন গ্যাস গৃহস্থালি ও অন্যান্য শিল্পখাতে সরবরাহ করা হয়, সেখানে ৫০ থেকে ৬০ মিলিয়ন ঘনফুটের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সংস্কার কাজ চলবে। এই সময়ের মধ্যে গৃহস্থালিতে কিছুটা সঙ্কট হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান