জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে আমন ধান বিক্রয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক
১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হাট বাজারে চলতি আমন মৌসুমে জমে উঠেছে ধান ক্রয় বিক্রয়ের বাজার। তবে ধানের কাঙ্খিত দাম ও ফড়িয়াদের মণ প্রতি অতিরিক্ত দুই কেজি ধান বেশি নেয়ায় স্বস্তিতে নেই কৃষকরা। এতে করে ক্ষতি ও হয়রানির মুখে পড়েছেন তারা। ৪০ কেজিতে মন হলেও ফড়িয়ারা কৃষকদের কাছ থেকে ৪২ কেজি ধান নিলেও বাড়তি ধানের দাম পাচ্ছেন না কৃষক।
তবে আড়ৎদাড় সমিতি বলছেন, সমিতির আওতাভূক্ত আড়ৎদাড়দের বাড়তি ওজনে ধান ক্রয় না করার নির্দেশনা দেয়া আছে। তবে ফড়িয়ারা এই নির্দেশনা মানছেন না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের বাজার মনিটরিং না থাকায় ফড়িয়াদের দৌরাত্ম বেড়েছে বলে মনে করেন তারা ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৯ হাজার ৩শ’ ৯৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ হাজার ৯শ ৬৫ মেঃ টন ধান।
বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি মাঠে ধান কাটা মাড়াই এখন প্রায় শেষের দিকে। এদিকে কৃষকরা বাজারে ধান বিক্রি করতে গিয়ে পড়ছেন বিড়ম্বনায়। এক শ্রেণির আড়ৎদার ও ফরিয়ারা প্রচলিত ৪০ কেজি মণের বিপরীতে ৪২ কেজি ওজনে ধান ক্রয় করছেন। এতে কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বাজারে প্রকারভেদে প্রতিমন ধান ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১১শ’ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকরা জানান, আড়ৎদার আর ফড়িয়াদের কাছে এক প্রকার জিম্মি তারা। কারণ হিসাবে তারা বলেন, তারা ওজনে যা নিচ্ছেন তাই দিতে হচ্ছে। এরা সবাই মিলে সিন্ডিকেট করেছে।
উপজেলা ধরঞ্জী ইউনিয়নের কৃষক সুলতান মাহমুদ সুজন বলেন, প্রতিমণ ধানে ১ থেকে দেড় কেজি করে বেশি নিয়েছে। বেশি না দিলে ধান নিতে চায় না ব্যাপারীরা।
উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস ছালাম অভিযোগ করে বলেন, আড়ৎদার বা ব্যাপারীদের নিকট ধান বিক্রি করতে গেলে মন প্রতি বেশি ধান দিতে তারা বাধ্য করছে। না দিতে চাইলে তারা কিনবে না বলে জানায় । উপজেলার বাগজনা ইউনিয়নের কুটুহারা গ্রামের কৃষক রেজুয়ান হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, ফড়িয়া আড়ৎদার মিলে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। এরা কৃষকদের জিম্মি করে ওজনে ধান বেশি নিচ্ছে। সেখানে আমাদের করার কিছুই থাকে না।
উপজেলার পাগলা বাজার এলাকার আড়ৎদার নুরনবী হোসেন বলেন, ধান অপরিস্কার ও বালু থাকার কারণে মণে এক থেকে দেড় কেজি বেশি নেয়া হয়।
উপজেলার কোতোয়ালীবাগ, রতনপুর, আটাপাড়া ও শালাইপুর বাজারের একাধিক আড়ৎদাড়দের নিকট জানতে চাইলে তারা বলেন, মিলাররা ধান নেয়ার সময় ৭০ কেজিতে ১ কেজি ধান বেশি নেন। সে কারণে আমাদেরও নিতে হয়।
উপজেলা আড়ৎদাড় সমিতির সভাপতি আইনুল হক ইনকিলাবকে বলেন, প্রচলিত ওজনের বাড়তি ওজন নিয়ে ধান ক্রয় না করতে সকল আড়ৎদারদের নিষেধ করা আছে।
কিন্তুু উপজেলার বাহির থেকে কিছু ফড়িয়া এসে আমাদের এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাজার দরের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে মণ প্রতি দুই কেজি ধান বেশি নিচ্ছে। এতে কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছে।
জেলা কৃষি বিপনণ কর্মকর্তা রতন কুমার রায় বলেন, এ ব্যাপারে কোনো কৃষক লিখিত অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অচিরেই বিভিন্ন হাট-বাজারে মনিটরিং এ বের হওয়া হবে। ধান ক্রয়ে ওজনে অতিরিক্ত নেয়ার ঘটনা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোল উৎসবে বার্সার ছয়ে ছয়
রোনালদোর দ্রততম শত গোলের রেকর্ড ছুঁলেন হল্যান্ড
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী