সরকার মানুষের কণ্ঠরোধ করে একটি তথাকথিত নির্বাচন করতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তারা বলেন, হাজার হাজার নেতা কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়ে, বাড়ি বাড়ি যেয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এই তামাশা মঞ্চস্থ করতে চাইছে। একদিকে এই সর্বাত্মক দমন পীড়ন এবং এখন সভা সমাবেশকেও বন্ধ করার উদ্যোগ, এর মাধ্যমে সরকার নিজেরা সরাসরি ঘোষণা না করলেও কার্যত জরুরি অবস্থা জারি করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা জনগণ মানবে না। এই নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনভাবেই বৈতরণী পার হওয়া যাবে না। সকল বাধা অতিক্রম করে, ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধমের গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে আন্দোলন জোরদার করার জন্য তারা জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন। এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহদি উদ্দীন মাহমুদ স্বপন। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার। আরো বক্তব্য (জেএসডি)-র সহ-সভাপতি এডভোকেট কেএম জাবির, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদকম-লীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন এবং নাগরিক ঐক্যের দপ্তর সম্পাদক মুহিদুজ্জামান মুহিদ। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেএসডির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন মজুমদার সাজু।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যে চিঠি দিয়েছে তা অসাংবিধানিক ও নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বহির্ভূত। মূলত সরকার নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে এই চিঠির ব্যবস্থা করেছে এবং আমরা দেখলাম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠি আসা মাত্রই তা কার্যকর করার জন্য উঠে পরে লেগেছে। ফলে এটা স্পষ্টই প্রমাণিত যে নির্বাচন কমিশন বাস্তবত কেবল সরকারের হুকুমবরদারে পরিণত হয়েছে।