মশার উপদ্রব বাড়তে পারে মার্চে
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম
রাজধানীতে বাড়ছে মশার ঘনত্ব। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফাঁদে যত মশা ধরা পড়ছে তার ৯৯ শতাংশ কিউলেক্স মশা। বাকি এক শতাংশ এডিস, এনোফিলিস, আর্মিজেরিস, ম্যানসোনিয়া। গত চার মাসে কিউলেক্স মশার ঘনত্ব বেড়েছে। জানুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে তিনশর বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মশা ফাঁদে ধরা পড়ছে যা গত অক্টোবরে ও নভেম্বরে ছিল দুইশর কম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
এদিকে সবচেয়ে বেশি মশার ঘনত্ব পাওয়া গেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উত্তরা, দক্ষিণখান ও মিরপুর এলাকায়। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত তা বেড়ে চরমে পৌঁছাবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণে গত বছর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে দুই সিটিতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা ২২ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেয়। চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে তাপমাত্রা বাড়লে মশা জন্মানোর হারও বাড়বে। কারণ এটি হচ্ছে মশা জন্মানোর জন্য উপযুক্ত সময়। তাই অতি জরুরি ভিত্তিতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়ে মশা জন্মানোর স্থানে লার্ভিসাইড ছিটানো না হলে মার্চ মাসে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। যদিও দুই সিটির মশা নিধনের উদ্যোগ নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। তবুও মশা নিয়ন্ত্রণে নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তবে তাদের উদ্যোগ পর্যাপ্ত ও যথাযথ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষণায় বলা হয়, রাজধানীতে সব মিলিয়ে ১২৩ প্রজাতির মশা রয়েছে। তার মধ্যে ১৬ প্রজাতির মশা বেশি দেখা যায়। আর বছরজুড়ে যে কয়েক প্রজাতির মশা থাকে, এর মধ্যে কিউলেক্সই ৯৫ শতাংশের বেশি। দেশে সাধারণত অক্টোবর থেকে কিউলেক্স মশার প্রভাব দেখা দেয়। শীতের তীব্রতা বাড়লে মশার কামড়ের মাত্রা কমে। তবে ফেব্রুয়ারি থেকেই কিউলেক্সের দাপট বাড়ে। এপ্রিলে কালবৈশাখীর কারণে অনেক স্থানে এ মশা কমে আসে।
গত জানুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে তিনশ মশা ফাঁদে ধরা পড়ছে। রাজধানীর চার এলাকার পাঁচ স্থানের মধ্যে উত্তরায় মশা সবচেয়ে বেশি। জানুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৪০০ মশা ফাঁদে ধরা পড়েছে। গত মাসে একই ফাঁদে মশার সংখ্যা ছিল তিনশ। এ ছাড়া মশার এত সংখ্যা নগরের কোথাও দেখা যায়নি। উত্তরার পর সবচেয়ে বেশি ৪১০ দক্ষিণখান ও মিরপুরে ৩৫০-এর মতো প্রাপ্তবয়স্ক মশা ধরা পড়ছে। তার মধ্যে ৯৯ শতাংশ কিউলেক্স। বাকি এক শতাংশ এডিস, এনোফিলিস, আর্মিজেরিস, ম্যানসোনিয়া মশা। সাধারণত অক্টোবর মাসে শুরুতে সপ্তাহে গড়ে কমবেশি ২০০টি করে মশা ধরা পড়ত সব ফাঁদে। নভেম্বর মাসেও গড় সংখ্যা মোটামুটি একই থাকে। তবে ডিসেম্বর থেকে এ সংখ্যা ২৫০ হয়ে যায়। আর জানুয়ারি মাসে এ সংখ্যা ঠেকে ৩০০টিতে।
কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, আমাদের একটি ধারণা দিচ্ছে যে, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে কিউলেক্স মশার ঘনত্ব অনেক বেশি হবে। এ ছাড়া তাপমাত্রা বাড়লে মশা জন্মানোর হারও বাড়বে। আবার অনেক দিন ধরে বৃষ্টিপাত না থাকায় মশা জন্মানোর স্থানগুলো যেমন ড্রেন, ডোবা, নর্দমা-নালায় পানির অর্গানিক ম্যাটারিয়াল বেড়ে যায়। এই অর্গানিক ম্যাটারিয়ালগুলো কিউলেক্স মশার লার্ভার খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে বংশ বিস্তার বেড়ে যায়।
তাই অতি জরুরি ভিত্তিতে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম হাতে নিয়ে মশা জন্মানোর স্থানগুলো যেমন-নর্দমা, ডোবা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সেখানে লার্ভা মারার জন্য কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। তা না হলে মার্চ মাসে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে মশার উৎপাত।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোল উৎসবে বার্সার ছয়ে ছয়
রোনালদোর দ্রততম শত গোলের রেকর্ড ছুঁলেন হল্যান্ড
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী