গরমে চাহিদা বেড়েছে ডাব, তরমুজের, দামও চড়া
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম
গরমে অতিষ্ঠ রাজধানী ঢাকার জনজীবন। দেশে চতুর্থবারের মতো হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবওহাওয়া অধিদপ্তর। এমন তাপপ্রবাহে শরীরে পানির চাহিদা পূরণে অনেকে ডাব এবং তরমুজ কিনতে চাইছেন। তবে ক্রেতাদের চাহিদার সুযোগ নিয়ে ডাব ও তরমুজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে তরমুজের দোকানে ক্রেতা বাড়লেও ডাবের ক্রেতা কমেছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও ভ্রাম্যমাণ দোকানে সরেজমিনে দেখা যায়, আগে যেসব ডাব ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হতো সেসব ডাব ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কিছুটা দাম বেড়ে আকারভেদে প্রতিটি ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, তীব্র তাপদাহে পানি জাতীয় ফলগুলোর চাহিদা বাড়ায় সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় গ্রাম থেকে ডাব আসছে না, এ কারণে দাম কিছুটা বেশি। এছাড়া তরমুজের মৌসুম শেষের দিকে। জমিতে এখন আর বেশি ফল নেই, যার ফলে বাজারে সরবরাহ কম। এ কারণে তরমুজের দাম বেড়েছে।
যাত্রাবাড়ি পাইকারি বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদককে বলেন, গরমের মধ্যে পানি জাতীয় ফল মানুষ বেশি খায়। এখন বাজারে পানি জাতীয় ফল তরমুজ ও ডাব। তাই তরমুজের চাহিদা বেশি, দামও বেশি। তবে গত কয়েকদিনে ডাবের ক্রেতা কমেছে। শনির আখড়ার ভ্রাম্যমাণ ডাব বিক্রেতা মো. আকতার হোসেন বলেন, পাইকারি থেকেই প্রতিটি ছোট ডাব ৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। সারাদিনে ৩০ থেকে ৩৫টা ডাব বিক্রি হয়। ১০০ টাকার কম বিক্রি করলে লাভ বলতে কিছুই থাকে না। তিনি বলেন, রোজায় প্রতিদিন যে সংখ্যক ডাব বিক্রি হতো এখন তা হচ্ছে না। তাপপ্রবাহে মানুষ কষ্ট ভোগ করছে, তবুও ডাবের পানি খাচ্ছে না। এই গরমে ডাব না খেলে কখন খাবে? হয়ত বেশি দামের কারণে কম বিক্রি হচ্ছে। মো. ফয়সাল নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রচ- গরমে ডাবের পানি কিছুটা স্বস্তি দেয়। কিন্তু ছোট ডাবের দামও ১০০ টাকা। একটা ডাবে দুই গ্লাস পানিও হবে না, তাও একশ টাকা। বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বড় ডাব ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডাব এখন বিলাসী পণ্যে রূপ নিয়েছে। ডাব এখন বড় লোকের হাতে শোভা পায়। ডাব মূলত আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য না।
মো. রিয়াজ মোল্লা নামে এক তরমুজ বিক্রেতা বলেন, আমরা খুচরা বিক্রেতা। গোড়া থেকে দাম বাড়লে আমরা বাড়াই। কমলে আমরাও কমে বিক্রি করি। এখন আড়ৎ থেকে বেশি দামে কিনতে হয়, বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, রোজার মধ্যে ১০০ তরমুজ কিনতে পারতাম ১৮-১৯ হাজার টাকায়। আর এখন সেটা কিনতে লাগে ২৫-২৬ হাজার টাকা। কারণ বাজারে এখন তরমুজ নাই। এখন তরমুজ ভালো এবং মিষ্টি বেশি। তিন কেজি ওজনের প্রতিটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়। আর ৪-৫ কেজি ওজনের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকায়। বাজারে এখন ২০০ টাকার নিচে কোনো তরমুজ নেই।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পশ্চিমা হুমকির জবাবে পারমাণবিক অস্ত্র মহড়া চালাবে রাশিয়া
আক্রমণের খুব কাছে রাফাহ, ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নিল ইসরায়েল
কাল মানিকগঞ্জে দুই উপজেলা নির্বাচন
সখিপুরে চেতনানাশক স্প্রে করে লুট
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
রেনআই রিফ নিয়ে উস্কানিমূলক আচরণ বন্ধ করতে চীনের তাগিদ
বজ্রপাতের বিকট শব্দে মাদরাসার ১৯ শিক্ষার্থী অসুস্থ
জার্মানির স্কুলগুলোতে সহিংসতা বাড়ছে
ডোপ টেস্ট দিয়ে ভর্তি হতে হবে চবিতে
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি শর্ত সম্পর্কে যা জানা গেল
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ আইওএম মহাপরিচালকের
আগামী ৬ মাস বন্ধ থাকবে কমলাপুর-টিটি পাড়া সড়কের একটি লেন
অসময় ভাঙনের কবলে দৌলতদিয়া ৬নং ফেরি ঘাট, কোন ব্যবস্থা নেননি কর্তৃপক্ষ
বুধবার ঝিনাইদহের দুটি উপজেলায় নির্বাচন ভোটের মাঠে আ’লীগেরই ১০ প্রার্থী
সি-ম্যাখোঁ-ফন ডার লেইন ত্রিপক্ষীয় বৈঠক
আবারও বিশ্বের দীর্ঘতম রুটি বানালেন ফরাসি বেকাররা !
চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ডেকে নিয়ে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি
চুরির অভিযোগে রাশিয়ায় গ্রেপ্তার মার্কিন সেনা সার্জেন্ট
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় আসছেন
যুদ্ধবিরতির খবরে উল্লাসে ফেটে পড়ল গাজা