কুমারখালীতে মুচলেকা জরিমানার পরও বন্ধ হয়নি ইটভাটা
১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৪ এএম
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা দেয়ার পর বৈধ কাগজপত্রাদি ছাড়া আর ইটভাটা পরিচালনা করবেন না, এই মর্মে উপজেলা প্রশাসনের কাছে গত বুধবার মুচলেকা দেন চার ভাটা মালিক। তবে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অভিযানের পরপর তারা ফের অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও ভাটায় নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনিতে জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বৈধ ভাটা মালিকরা। তাদের ভাষ্য, প্রশাসনের মনগড়া অভিযানের ফলে বছররের পর বছর অবৈধ ভাটা গুলো পরিচালিত হচ্ছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জনজীবন। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বৈধ ভাটা মালিকরা। তারা অবৈধ ভাটা গুলো বন্ধের দাবি জানান।
জানা গেছে, বৈধ লাইসেন্স না থাকা, জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো ও নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনি ব্যবহার করার অপরাধের গত বুধবার উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুরের সৈনিক ব্রিকসের মালিক আব্দুল করিম ও সাগর ব্রিকসের মালিক ওসমান গনি সাগরকে ৫০ হাজার করে এক লাখ টাকা, একই ইউনিয়নের হাঁসদিয়ার এমএসকে -১ ভাটার মালিক আবু বক্করকে ৫০ হাজার টাকা এবং চাঁদপুর ইউনিয়নের কাঁচিকাটা ব্রিজ এলাকার এসএসবি ভাটার মালিক নাজিম উদ্দিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় তারা বৈধ কাগজপত্রাদি ছাড়া আর ভাটা পরিচালনা করবেন না, এই মর্মে মুচলেকাও দেন। এদিন ইট প্রস্তুত ও ভাটা ব্যবস্থাপনা (নিয়ন্ত্রণ) আইনে আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম।
তবে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মুচলেকা দেয়া ভাটাগুলো ফের চালু করা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ড্রাম চিমনিতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ভাটার চারিদিকে কৃষি জমি ও বিভিন্ন ফসলাদি। এসময় কেশবপুর এলাকার সৈনিক ব্রিকসের মালিক আব্দুল করিম বলেন, অনেক ধারদেনা করে ভাটার ব্যবসা চালাচ্ছি। প্রায় ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করে। সকলের কথা ভেবে অবৈধ জেনেও ফের ভাটা চালু করেছি।
এমএসকে-১ ভাটার মালিক আবু বক্কর বলেন, এবছর চালিয়ে এব্যবসা আর করব না। আপনারা একটু ছাড় না দিলে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে। চাঁদপুরের কাঁচিকাটা ব্রিজ এলাকার এসএসবি ভাটার মালিক নাজিম উদ্দিন বলেন, প্রতিবছর জরিমানা, মুচলেকা দিয়েই চলছে ভাটা। দেখা যাক কতদুর কি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যদুবয়রা ইউনিয়নের এক বৈধ ভাটা মালিক বলেন, অবৈধ ভাটার কারণে কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রতিবছরে লোকসানে পড়ছেন বৈধ ভাটাওয়ালারা। তিনি দ্রুত ড্রাম চিমনির ভাটা বন্ধের দাবি জানান। মুচলেকা দেয়া ভাটাগুলো ফের চালুর বিষয়টি নলেজে নেই বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম মিকাইল ইসলাম। তিনি বলেন, অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান চলমান রয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে ভবিষ্যতে আরো কঠোর অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে
মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার
ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন