১০ লাখ টন চাল ও গম আমদানি করবে সরকার : খাদ্য উপদেষ্টা
২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০৬ এএম
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে খাদ্যশস্যের মজুত ও সরবরাহ ঠিক রাখতে ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম মজুত আছে। গতকাল সচিবালয়ে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ যেটা, আউশ ও আমনে ঘাটতি একটা হয়েছে। এখন সামনে আছে বোরো ফসল। আমরা আশা করছি, বোরোতে যদি ফলন ভালো হয় আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে পারবো। তার জন্য আমরা অপেক্ষা করবো না। আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চাল এবং গম মিলিয়ে প্রায় দশ লাখ টনের মতো আমদানি পাইপলাইনে আছে।
তিনি বলেন, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসব খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে। দেশে প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম মজুত আছে। এর মধ্যে ৮ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং তিন লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন গম মজুত আছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, চালের দাম এখন বাড়ছে না। চালের দাম আরও কমলে খুশি হবো।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে আমাদের আমদানি অব্যাহত থাকবে। আমদানির সোর্স হবে মাল্টিপল। প্রতিবেশী দেশ থেকে আমদানি করলে সহজে আনা যায়, দামও কম পড়ে। নেইবারিং কান্ট্রিকে আমরা যেমন গুরুত্ব দিচ্ছি। পাশাপাশি অন্যান্য দেশে দাম একটু বেশি হলেও আমরা আমদানি করছি। মাল্টিপল সোর্সকে আমরা সামনে রাখছি। এই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।
উপদেষ্টা বলেন, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ধান সংগ্রহ কম হয়। কারণে যেমন ময়েশ্চার চাওয়া হয় সেটা তারা দিতে পারেনা। মিলগুলো কাঁচা ধান নিয়ে যাচ্ছে। করপোরেট মিলগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে পারা যাচ্ছে না। আশা করছি, ইনশাআল্লাহ যে মজুদ ও সরবরাহ রয়েছে তাতে কোনো ঘাটতি হবে না।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, গম আমদানি হবে তিন লাখ টন। এরমধ্যে দুই লাখ টন গম রাশিয়া থেকে গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্টের (জিটুজি) ভিত্তিতে ডেফার্ড পেমেন্ট আমদানি করবো। মিয়ানমারের সঙ্গে এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। ২২ হাজার টন চাল এরই মধ্যেই চলে এসেছে। বাকি চাল আসবে ভিয়েতনাম, ভারত ও পাকিস্তান থেকে। তিনি বলেন, আমদানি করা চালগুলোর কেজি ৫৬ থেকে ৬০ টাকা পড়ছে। চাল ও গম মিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টন আমদানি করা হবে। তবে এটা নির্ভর করবে বোরো ধানের সংগ্রহের ওপর। বোরো ধান যদি আল্লার রহমতে সংগ্রহ করা যায় তাহলে আমদানির পরিমাণ কমবে। আর বোরো উৎপাদন যদি ব্যাহত হয় তাহলে আমদানি বেড়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, বোরো সংগ্রহ শুরু হয় ১৪ এপ্রিল বা পহেলা বৈশাখে। হাওরের বোরো ধান প্রথমে আসে। মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত যদি সময় পাওয়া যায় (আগাম অতিবৃষ্টি না হয়) তাহলে হাওরের ফসলটা শতভাগ উঠে যায়। হাওরে ২৫ লাখ টন পর্যন্ত ধান উৎপাদন হতে পারে। খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, যে চালটা বিদেশ থেকে আনছি এটার মান ভালো। এটা আমরা ওএমএসের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজিতে দিচ্ছি। দেশের কৃষকদের কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতকে ছেড়ে কেন চীনের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে শ্রীলঙ্কা?
রাজনৈতিক উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করবে জাপান
প্রবাসী উপদেষ্টার আশ্বাসে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছুদের আন্দোলন স্থগিত
মহার্ঘভাতার সঙ্গে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা
পুরো বইমেলা মনিটরিং হবে ড্রোনে-ডিএমপি কমিশনার
যানবাহন চালক-পথচারীদের জন্য ডিএমপির বিশেষ নির্দেশনা
মাস্ক বা অন্য কেউ টিকটক কিনলে বিনিয়োগ করবে প্রিন্স তালালের কোম্পানি
মৃত বাবার রেখে যাওয়া ঋণ পাওনাদার নিতে না চাওয়া প্রসঙ্গে?
খেলাধুলার মাধ্যমে তরুণদের শারীরিক ও মানসিক বিকশিত হয় -ডিসি তৌফিকুর রহমান
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিজিবি বিএসএফ বৈঠক
জিয়াউল হক মাইজভা-ারী ট্রাস্টের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে সিলেটজুড়ে স্বস্তি
৪ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী
মাদারীপুরে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবপাচারের আন্তঃসম্পর্কবিষয়ক কর্মশালা
রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে সমন্বয়ককে মারধর
মাদারীপুরে হত্যার দায়ে ৫ জনের যাবজ্জীবন
এক বছরে উখিয়া-টেকনাফে ১৯২ জন অপহরণ
‘সমন্বয়ক মরার জন্য প্রস্তুত হ’ দেয়ালে লিখে হত্যার হুমকি
বিমানের এই কর্মকা- সহ্য করার মতো নয় -সিলেট সুধীজন
বাণিজ্যমেলায় শেষ মুহূর্তে নিত্যপণ্য কেনাকাটার ধুম