সুবর্ণচরে বোরো চাষে গিলছে ভূগর্ভের পানি জনজীবনে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার

Daily Inqilab নোয়াখালী জেলা সংবাদদাতা :

৩০ মার্চ ২০২৫, ০২:৩০ এএম | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৫, ০২:৩০ এএম

নোয়াখালীর দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূলীয় উপজেলা সুবর্ণচর জুড়ে সবুজের সমারোহ। একসময়ের শস্যের ভান্ডার নামে পরিচিত এ অঞ্চলের কৃষিতে শুস্ক মৌসুমে অভাবনীয় পরিবর্তন লক্ষণীয়। এখানে রবি মৌসুমে কৃষকরা শীতকালীন সবজি, বাদাম, মরিচ, বিভিন্ন জাতের ডাল, সরিষা, ছোলা বুট, রসুন, পেঁয়াজ, মোটর সুঁটি, খেসারি, ভূট্টা, তিল, মেথি, ধনিয়া, সূর্যমুখী, সয়াবিন, তরমুজ, বাঙ্গি, কুমড়াসহ নানান জাতের রবিশস্য উৎপাদন করতেন।

গত একদশক থেকে এ জনপদে বদলে গেছে কৃষির চিত্র। একসময় রবি মৌসুমে পানি সেচ ছাড়াই কৃষক উৎপাদন করতো মুল্যবান রবিশস্য। আমনের মৌসুম শেষ হতেই রবি মৌসুমে এসব ফসল উৎপাদনে চলতো মহা কর্মযজ্ঞ। এ অঞ্চলে উৎপাদিত এসব রবিশস্য স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হতো সারা দেশে।

কালের বিবর্তনে কৃষিতে যুক্ত হলো উচ্চ পানি শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন উফশি ধানের বীজ। যা উৎপাদনে প্রচুর পানির প্রয়োজন হয়। উপকূলীয় এ অঞ্চলে প্রাকৃতিক পানির আধার সৃষ্টি না করায় কৃষক সেচের ৮০ ভাগ পানি ভূগর্ভ হতে অপরিকল্পিতভাবে উত্তোলন করে ইরি-বোরো ধানের পানির চাহিদা মেটাচ্ছে। এতে করে ভূ-গর্ভের সুপেয় পানির স্তর গাণিতিক হারে নেমে যাচ্ছে। ফলে শুস্ক মৌসুমে সুপেয় পানির চরম হাহাকার চলছে এ জনপদে। শুষ্ক মৌসুমে ধান চাষই এখন সুবর্ণচরের জন্য আশীর্বাদ না হয়ে বড় ধরনের অভিশাপে পরিণত হচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা মৌসুমী ফসল চাষ না করে ৭০ ভাগ ভূমিতেই ইরি-বোরো ধানের চাষ করেছেন। যে দিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু ধান আর ধানের সবুজ জমি। মৌসুমি ফসলের চাষ তেমন চোখেই পড়ে না। যত্রতত্র ফসলি মাঠের পাশে, পুকুর পাড়ে নিজেদের ইচ্ছে মতো গভীর নলকূপ স্থাপন করে অপরিকল্পিতভাবে তুলছে ভূগর্ভের সুপেয় পানি। ধান চাষে ভূগর্ভের পানি অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে বাড়িঘরের (৭০০-১২০০ ফুট) গভীর নলকূপে এখন আর পানি ওঠে না। এক কলসি সুপেয় পানির জন্য এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে ছুটছে মানুষ। এ যেনো এক কলসি পানির জন্য প্রাণপন যুদ্ধ। এতে গৃহস্থালির কাজেও দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। বিশুদ্ধ পানির অভাবে সুবর্ণচরের লাখ লাখ মানুষ দুর্বিসহ জীবন কাটাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

সুবর্ণচর উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, সুবর্ণচরে ৩৮ হাজার ৫০০ হেক্টর আবাদি ভূমির মধ্যে ২০০০ সালে খালবিল ও পুকুরের পানি ব্যবহার করে মাত্র ২০০ হেক্টর ভূমিতে বোরো চাষ হতো। বাকি ভূমিতে কৃষক রবি ফসলের আবাদ করতো। ২০০০ সাল থেকে ক্রমাগত হারে সুবর্ণচরে চলতি মৌসুমে শুধু ১৮ হাজার হেক্টর ভূমিতে বোরো ধানের চাষ করেছে কৃষক এবং ২ হাজার ৭৫০ হেক্টর ভূমিতে খেসারিসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ করা হয়েছে। এই বোরোধান চাষে ৫০ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার ২৮০ কিউসেক পানি খরচ হচ্ছে। এর মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ পানি ব্যবহার হয় উপরিভাগ থেকে। ৪ লাখ ১৪০ কিউসেক পানি খরচ হচ্ছে প্রতি হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিমাত্রায় ভূগর্ভের পানির ওপর নির্ভরশীলতায় ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এ অঞ্চলে। ইরি-বোরো ধান আবাদ কমিয়ে আনলে পানির সঙ্কট ধীরে ধীরে কেটে যাবে। শুস্ক মৌসুমে ধান চাষাবাদে কৃষককে নিরুৎসাহিত করতে হবে। কৃষি কাজের জন্য প্রাকৃতিক পানির আধার সৃষ্টি করে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে তা মহাবিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

উচ্চ ফলনশীল ও উচ্চ পানি শোষণ ক্ষমতা সম্পন্ন জাতের ধানের বীজ, সার, কীটনাশক এবং প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বছরজুড়ে। এদিকে রবিশস্য ধ্বংস করে ধান চাষ বিস্তারের কারণে পুরো জনপদে পানিশূন্য হয়ে যাওয়ার বিষয়টি আমলেই নিচ্ছে না কৃষি বিভাগ। বিএডিসির ছাড়পত্র ছাড়াই সেচের জন্য যত্রতত্র বিদ্যুত সংযোগ দিচ্ছে বিদ্যুত বিভাগ। অন্যদিকে পরিকল্পনা বিহীন অনুমোদন ছাড়া স্থানীয় চাষিরা নিজের খেয়াল খুশি মতো বোরো চাষের জন্য ১৫শ’ থেকে ২ হাজার ফুট গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি তোলার কারণে উপজেলাজুড়ে তীব্র সুপেয় পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সাধারণত নলকূপের গভীরতা হয় ৮০০-৯০০ ফুট, ব্যবহার করা হয় ১.৫ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ। কিন্তু সুবর্ণচরের অনেক নলকূপে ৪.৫ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ ব্যবহার করে ১৫শ’ থেকে ২ হাজার ফুট গভীর থেকে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) তথ্য বলছে, সুবর্ণচরের চাষাবাদের জন্য ২৪৫টি গভীর নলকূপের (সেচপাম্প) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর বাইরে চাষিরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে আরো তিন হাজারের বেশি সেচপাম্প স্থাপন করেছেন, তবে সেগুলো অনুমোদনহীন। একটি গভীর নলকূপ ভূগর্ভ থেকে প্রতি ঘণ্টায় ১ হাজার ৮০০ কিউসেক পানি তোলা হয়।

কোনো গবেষণা ও ভূগর্ভের পানির পরিমাণ সমীক্ষা না করে গভীর নলকূপ অনুমোদন দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ভূগর্ভে কি পরিমাণ পানির মজুদ রয়েছে কিংবা গভীর নলকূপ স্থাপনে পরিবেশ প্রকৃতি ও ভূগর্ভের ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে সর্বোচ্চ পানি শোষণকারী উফশী জাতের বীজ কৃষকের হাতে সরবরাহ করেছে কৃষি বিভাগ।

সুবর্ণচর উপজেলার চরআমানউল্যাহ ইউনিয়নের বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, কখনো ভাবিনি সুপেয় পানির জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হবে আমাদেরকে। বাড়িতে গভীর নলকূপ থাকলেও পানি উঠছে না নলকূপে। অন্য গ্রাম থেকে অনেক কষ্টে সুপেয় পানি সংগ্রহ করছি।

চরমজিদ গ্রামের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মাত্র একটি গভীর নলকূপে পানি পাওয়া যায়। আর সেই নলকূপ ঘিরে শত শত মানুষের ভিড় এক কলসি পানির জন্য। সবার হাতেই কলস বা ড্রাম। চরমজিদের স্কুলশিক্ষক তাজ উদ্দিন বলেন, এই নলকূপটি কয়েক গ্রামের মানুষের ভরসা। কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে নারীরা এখান থেকে পানি নিতে আসেন।

চরক্লার্ক ইউনিয়নের ছেরাজল হকের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরের ভেতরে কলসি, ড্রাম, থালাবাটি, এমনকি পলিথিনে করেও পানি সংরক্ষণ করা হয়েছে। এ যেনো চালের চেয়েও তাদের ঘরে এক ফোঁটা পানি অনেক মূল্যবান।

সুবর্ণচরে পরিবেশ নিয়ে কাজ করে উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন বাংলাদেশ নামে একটি বেসরকারি সংগঠন। এই সংগঠনের সুবর্ণচর শাখার আহ্বায়ক আবদুল বারী বাবলু বলেন, এখন ১৫ শত থেকে ২ হাজার ফুট নিচেও পানি মিলছে না। পানিতে লবণের পরিমাণ হঠাৎ বেড়েছে। গভীর বা অগভীর নলকূপ বসানো হয় দেড় থেকে তিন ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ দিয়ে। কিন্তু সেচকাজে ব্যবহারের নলকূপে পাইপ দেওয়া হয় ৪ থেকে ১০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ। এতে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষের পানি সঙ্কট সমাধানে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ভূগর্ভের পানির মজুতের পরিমাণ জরিপ করতে হবে। অন্যথায় পানির পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে পড়তে পারে উপকূলীয় এজনপদে। তিনি বলেন, সুবর্ণচরে বড় বড় খাল ও লেক সেচের আওতায় আনলে দু’লাখ হেক্টর জমি চাষ করা যাবে। ২০ কোটি কিউসেক পানি পাওয়া যাবে শুধু মেঘনা লেক কাজে লাগিয়ে।

সুবর্ণচরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চন্দ্রকলির নির্বাহী পরিচালক শাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, কৃষি বিভাগের ভুল নীতির কারণেই সুবর্ণচরে পানির জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে। রবিশস্য অধ্যুষিত এলাকায় বোরো ধান চাষ না করার বিষয়ে কৃষি আইন রয়েছে। অথচ স্থানীয় কৃষি বিভাগ এ আইন মানছে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ভূগর্ভের পানি রক্ষায় ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের লক্ষ্যে আমরা কৃষককে রবি মৌসুমে অন্যান্য লাভজনক ফসল চাষের পরামর্শ দিচ্ছি। বিএডিসির গভীর নলকূপ অনুমোদন বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসের সঙ্গে সমন্বয়হীনতা আছে। ফলে কত পরিমাণ জমিতে কেমন পানি লাগবে, সেই তথ্য নিরূপণ করা সম্ভব হয় না। চাষ অনুযায়ী গভীর নলকূপ বসানো হলে অবৈধ নলকূপ স্থাপন কমে আসত।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকী জানান, অবৈধ গভীর নলকূপের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৭
চাটমোহরে জমি নিয়ে বিরোধ, দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০
আজ কেরানীগঞ্জের ভয়াল গণহত্যা দিবস ২ এপ্রিল
আজ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস, আহনাফের জয়ের গল্প
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে কেউ পুনর্বাসিত করতে পারবে না- আবদুল হান্নান মাসউদ
আরও
X

আরও পড়ুন

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৭

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৭

হাসপাতালে ভর্তি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, আছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে

হাসপাতালে ভর্তি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট, আছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে

ইরান হামলায় যুক্তরাষ্ট্রকে আকাশসীমা দেবে না গালফ দেশগুলো

ইরান হামলায় যুক্তরাষ্ট্রকে আকাশসীমা দেবে না গালফ দেশগুলো

চাটমোহরে জমি নিয়ে বিরোধ, দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০

চাটমোহরে জমি নিয়ে বিরোধ, দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০

আজ কেরানীগঞ্জের ভয়াল গণহত্যা দিবস ২ এপ্রিল

আজ কেরানীগঞ্জের ভয়াল গণহত্যা দিবস ২ এপ্রিল

এবার জামায়াত নেতা ড. মাসুদের জন্য ভোট চাইলেন রুমিন ফারহানা!

এবার জামায়াত নেতা ড. মাসুদের জন্য ভোট চাইলেন রুমিন ফারহানা!

আজ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস, আহনাফের জয়ের গল্প

আজ বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস, আহনাফের জয়ের গল্প

সিরিয়াজুড়ে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট, জনজীবন বিপর্যস্ত

সিরিয়াজুড়ে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট, জনজীবন বিপর্যস্ত

ঢাকার বাতাস আজও  ‘অস্বাস্থ্যকর’

ঢাকার বাতাস আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

তেল-গ্যাসের নতুন খনি আবিষ্কার দক্ষিন চীন সাগরে

তেল-গ্যাসের নতুন খনি আবিষ্কার দক্ষিন চীন সাগরে

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪২ ফিলিস্তিনি

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪২ ফিলিস্তিনি

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে কেউ পুনর্বাসিত করতে পারবে না- আবদুল হান্নান মাসউদ

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে কেউ পুনর্বাসিত করতে পারবে না- আবদুল হান্নান মাসউদ

গুপ্ত রাজনীতি যারা করে, তাদের প্রতি শুভ কামনা নেই : ছাত্রদল সভাপতি

গুপ্ত রাজনীতি যারা করে, তাদের প্রতি শুভ কামনা নেই : ছাত্রদল সভাপতি

পাকিস্তানকে কঠিন লক্ষ্য দিল নিউজিল্যান্ড

পাকিস্তানকে কঠিন লক্ষ্য দিল নিউজিল্যান্ড

দক্ষিণ আফ্রিকার কোচের পদত্যাগ

দক্ষিণ আফ্রিকার কোচের পদত্যাগ

পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু হলো সুন্দরবনের মধু আহরণ

পহেলা এপ্রিল থেকে শুরু হলো সুন্দরবনের মধু আহরণ

বাচ্চু মোল্লা অপ্রীতিকর এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হবেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক : এ্যানি

বাচ্চু মোল্লা অপ্রীতিকর এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন হবেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক : এ্যানি

সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় সিনেমা হলে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

সম্প্রচারে বিঘ্ন ঘটায় সিনেমা হলে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

কটিয়াদীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

কটিয়াদীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

ফিরেই সাকার গোল, আর্সেনালের জয়

ফিরেই সাকার গোল, আর্সেনালের জয়