সান্তাহারে অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্য
০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ এএম | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ এএম

বগুড়ার সান্তাহার জংশন ও পৌরসভা শহরসহ পুরো উপজেলার সড়ক ও মহাসড়কে পুলিশ প্রশাসনের সামনে দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় পৌনে ২০০ সিএনজি চালিত অবৈধ অটোটেম্পু। রেজিস্ট্রেশন বিহীন ছাড়াও বৈধ রয়েছে আরো তিনশতাধিক এই বাহন।
এছাড়া, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের সংখ্যা রয়েছে প্রায় দুই হাজার। এসব যানবাহনের মালিক ও চালকরা শহরের স্টেশন রোড়, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট মোড়, এক নম্বর রেলগেটের সামনের ট্রাফিক মোড়ের বিশাল এলাকা, দুই নম্বর রেলগেটের সামনে মেইন সড়কের ফুটপাত ও সড়কের অর্ধেক দখল করে বানিয়েছেন যাত্রী তোলা ও নামানোর স্ট্যান্ড এবং গ্যারেজ করার টার্মিনাল। একই অবস্থায় উপজেলা সদরের থানা মোড় ও মুরইল বাজারের। হেঁটে চলা স্কুল ও কলেজগামী ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা রিতিমতো এসব যানবাহনের চালকদের নিকট অসহায় ও জিম্মি হয়ে রয়েছেন বছরের পর বছর ধরে। কেউ এই অরাজকতার প্রতিবাদ করতে গেলে তারা চড়াও হয় সংঘবদ্ধ হয়ে।
জানা গেছে, উপজেলার সান্তাহারে অবস্থিত বগুড়া জেলা অটোটেম্পু ও সিএনজি মালিক সমিতির আওতায় চলাচল করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক সিএনজি চালিত অটোটেম্পু। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন বিহীন সিএনজির সংখ্যা প্রায় পৌনে ২০০। ট্রাফিক ও থানা পুলিশের নাকের ডগার উপড় দিয়ে বাণিজ্যিক এসব বৈধ ও অবৈধ যানবাহন দাপিয়ে বেড়ালেও তারা রহস্যময় কারণে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছেন। এর সাথে অবৈধভাবে সড়ক-মহাসড়কে পাল্লা দিয়ে চলছে ট্রাক্টার। এসবের কোনটির উপর নজর না পরলেও তাদের নজর শুধু ব্যক্তিগত বাহন মোটরসাইকেলের উপর। শহরের বিভিন্ন মোড়ে এবং দুই বাইপাস সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে একেক দিন একেক পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল আটকিয়ে দুই থেকে তিনজনের নামের মামলা দিয়ে অবশিষ্টদের মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয় বলে হরহামেশায় তথ্য মেলে।
এদিকে, পুলিশের রাত্রীকালিন রণপাহারায় মালিক সমিতির খরচে প্রতি রাতে ৩টি অটোটেম্পু দেওয়া হয়। যেগুলোর অধিকাংশ রেজিস্ট্রেশন বিহীন। রেজিস্ট্রেশন বিহীন এক মালিক-চালক জানান, রেজিস্ট্রেশন করতে খরচ বেশি। তার উপর সব ধরণের হালনাগাদ কাগজপত্র থাকলেও প্রশাসন এবং মালিক ও শ্রমিক সমিতির ঘাটে ঘাটে টাকা দিতে হয়। সেজন্য রেজিস্ট্রেশন করেননি বলে সরল স্বীকারোক্তি দেন। অন্যরাও একই কারণে রেজিস্ট্রেশন করেনি বলে দাবি করেন তিনি।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মো. মোস্তাফিজুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, বৈধ ও অবৈধ কোনো অটোটেম্পুর সংখ্যা সংক্রান্ত তথ্য তার জানা নেই। বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব ট্রাফিক বিভাগের।
ট্রাফিক সার্জন আব্দুল হান্নান মোবাইল ফোনে জানান, সিএনজি চালিত অটোটেম্পুর সঠিক সংখ্যা জানা নেই। থানার অফিসার ইনচার্জসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে যৌথ বাহিনীর সহযোগীতায় অবৈধ অটোটেম্পুর বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। মোটরসাইকেল মালিকদের নিকট থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য সঠিক নয় বলে তিনি দাবি করেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

সেই বার্নাব্যুতে রিয়ালকে হারিয়েই সেমিত আর্সেনাল

স্টার্কের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সুপার ওভার রোমাঞ্চ জিতল দিল্লী

সড়ক বিহীন সেতু,কাজে আসছেনা এলাকাবাসীর

দুর্নীতির অভিযোগে নওগাঁ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের অভিযান

কলাপাড়ায় একটি ছাগলকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সংঘর্ষে, আহত-৪

ফ্যাসিস্টের পতন হয়েছে কিন্তু বিএনপি নিয়ে ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে -মিজান চৌধুরী

উইন্ডিজকে হারালেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

গাজায় মানবিক সহায়তা নিষিদ্ধ ঘোষণা ইসরায়েলের, সংকট তীব্র

টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. ইউনূস

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রজ্ঞাপন জারি

সুন্নত নামাজে ভুল করে নামাজ শেষ করে ফেলা প্রসঙ্গে?

কূট-কৌশলে ভিআইপিদের টার্গেট করতেন মেঘনা আলম চক্র

সুন্দরবন রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা হোক

ইউনূস-মোদি বৈঠক : একটি পর্যালোচনা

উইন্ডিজের বিপক্ষে সেরাটা দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ: নিগার

গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশে সংক্ষুব্ধ ‘আমরা’ কারা?

জেনারেল এসির নামে প্রতারণা

ইমরান খান-বুশরা বিবির বিয়ের অজানা অধ্যায় প্রকাশ

নোয়াখালীতে ব্রান্ডের নকল বস্তায় চাউল প্যাকেট করে বিক্রি ;ভোক্তা অধিকারের ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

মঞ্চে অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট