সংঘর্ষের পর রাবি সংলগ্ন বিনোদপুরে দোকানপাট খুললেও মিলছে না খরিদদার

Daily Inqilab রাবি সংবাদদাতা

১৭ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৩ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২৫ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ছয় দিন পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বিনোদপুর বাজার। ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট। কিন্তু নেই ক্রেতার সমাগম।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে বিনোদপুর বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় সংঘর্ষে এতদিন বিনোদপুর বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। সংঘর্ষের ছয়দিন পর বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের পুড়ে যাওয়া ও ভেঙে যাওয়া দোকানপাট মেরামতের পর খুলেছেন। কিন্তু সেখানে যাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বিনোদপুরে বাজারে কেনাকাটা করে থাকেন। তবে সংঘর্ষের দিন থেকে তারা বিনোদপুরে বাজারে যাচ্ছেন না। অনেকেই বিনোদপুর বাজারকে বয়কটের ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে পোস্ট করেছেন। তারা কেনাকাটার জন্য বেছে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের স্টেশন বাজার। অনেক শিক্ষার্থী আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কাঁচাবাজার বসানোর চিন্তাভাবনাও করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিনোদপুর বাজারে প্রায় দুশতাধিক দোকান আছে। এর মধ্যে বাজারের অলিগলিতে এখনো অনেক দোকান বন্ধ। খোলা দোকানগুলোর মধ্যে অধিকাংশই সবজি, মাছ ও মুরগির। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর বাজারে যাচ্ছেন না। ফলে বেচাকেনা নেই দোকানিদের।

বিনোদপুর বাজারের উত্তর পাশে মো. বাদশাহ ও আলাউদ্দিন নামের দুই ব্যক্তি খাঁচায় কিছু মুরগি নিয়ে বসেন। বাদশাহ বলেন, সকাল থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সাত-আটটি মুরগি বিক্রি করতে পেরেছি। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী আসেননি। যারা কিনেছেন তারা সবাই বিনোদপুর এলাকার বাসিন্দা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজার সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। তাদের সঙ্গে আমাদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমেই এটাকে সমাধান করতে হবে। শিক্ষার্থীরাই এ বাজারের প্রাণ। তাদের সঙ্গে আমাদের আগের সম্পর্ক ফিরে আসুক এটাই প্রত্যাশা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক মো. সুলতান- উল-ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। ক্লাসের পাশাপাশি পরীক্ষাও চলছে। শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কাজে মন দিচ্ছেন। পাশাপাশি দাপ্তরিক কাজও চলছে।

বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পর্কের উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় মেস মালিকদের সঙ্গে বসেছি আমরা। সেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ভালো আচরণের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বিনোদপুরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আলোচনায় বসার কথা আছে। দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানান তিনি।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

সিলেটের কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালে নিসচার সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন
শ্রীনগরে অটোরিক্সা ছিনতাইকালে আটক ৩, গণপিটুনিতে নিহত ১
বিক্রয়মূল্যের চেয়ে ব্যয় বেশি:তুলার দাম বাড়ানোর দাবি চাষিদের
সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে সমাজের সকল অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরতে হবে-হামিদুর রহমান সোহাগ
রামগড়ে জুলাই আন্দোলনে শহীদ মজিদ পরিবার পেল সরকারি সহায়তা
আরও
X

আরও পড়ুন

সিলেটের কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালে নিসচার সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

সিলেটের কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালে নিসচার সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন

শ্রীনগরে অটোরিক্সা ছিনতাইকালে আটক ৩, গণপিটুনিতে নিহত ১

শ্রীনগরে অটোরিক্সা ছিনতাইকালে আটক ৩, গণপিটুনিতে নিহত ১

বিক্রয়মূল্যের চেয়ে ব্যয় বেশি:তুলার দাম বাড়ানোর দাবি চাষিদের

বিক্রয়মূল্যের চেয়ে ব্যয় বেশি:তুলার দাম বাড়ানোর দাবি চাষিদের

সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে সমাজের সকল অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরতে হবে-হামিদুর রহমান সোহাগ

সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে সমাজের সকল অসঙ্গতিগুলো তুলে ধরতে হবে-হামিদুর রহমান সোহাগ

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের জাপান সফরে ঐতিহাসিক মুহূর্ত

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিবের জাপান সফরে ঐতিহাসিক মুহূর্ত

রামগড়ে জুলাই আন্দোলনে শহীদ মজিদ পরিবার পেল সরকারি সহায়তা

রামগড়ে জুলাই আন্দোলনে শহীদ মজিদ পরিবার পেল সরকারি সহায়তা

সাভারে ভুল চিকিৎসায় পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু, তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ

সাভারে ভুল চিকিৎসায় পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু, তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কর্তৃপক্ষ

ঈদের তারিখ জানাল অস্ট্রেলিয়া

ঈদের তারিখ জানাল অস্ট্রেলিয়া

ফুলপুরে তারেক রহমানের পক্ষে অসহায় দুঃস্থদের মাঝে যুবদলের ঈদ উপহার বিতরণ

ফুলপুরে তারেক রহমানের পক্ষে অসহায় দুঃস্থদের মাঝে যুবদলের ঈদ উপহার বিতরণ

ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প কোথায় হয়েছিল?

ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প কোথায় হয়েছিল?

দ্রুত নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচান: দুলু

দ্রুত নির্বাচন দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচান: দুলু

রাজবাড়ীতে ট্রেনের ধাক্কায় প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু

রাজবাড়ীতে ট্রেনের ধাক্কায় প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যু

বাংলাদেশেও ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের শঙ্কা

বাংলাদেশেও ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের শঙ্কা

কালিয়াকৈরে মহাসড়কে পরিবহনের সংকট, সহস্রাধিক যাত্রীরা ভোগান্তির স্বীকার

কালিয়াকৈরে মহাসড়কে পরিবহনের সংকট, সহস্রাধিক যাত্রীরা ভোগান্তির স্বীকার

পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার পদত্যাগের দাবিতে রাঙামাটিতে কুশপুত্তলিকা দাহ, প্রতিহতের ঘোষণা

পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার পদত্যাগের দাবিতে রাঙামাটিতে কুশপুত্তলিকা দাহ, প্রতিহতের ঘোষণা

ভাসমান স্কুলের উদ্ভাবক রেজোয়ান পেলেন “ইয়েল বিশ্ব ফেলো”

ভাসমান স্কুলের উদ্ভাবক রেজোয়ান পেলেন “ইয়েল বিশ্ব ফেলো”

শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়: স্নিগ্ধ

শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ৯৬ কোটি টাকা ব্যয়: স্নিগ্ধ

ভাঙ্গা- ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ

ভাঙ্গা- ঢাকা এক্সপ্রেসওয়েতে স্বস্তিতে ঘরে ফিরছে মানুষ

বরিশালের কৃষকগন মিষ্টি মরিচ-ক্যাপসিকাম’এর ন্যায্যদাম না পেয়ে হতাশ

বরিশালের কৃষকগন মিষ্টি মরিচ-ক্যাপসিকাম’এর ন্যায্যদাম না পেয়ে হতাশ

নাটোরে ডিসি বাংলোয় মিলল বিপুল পরিমাণ সিলমারা ব্যালট

নাটোরে ডিসি বাংলোয় মিলল বিপুল পরিমাণ সিলমারা ব্যালট