খুলনায় হত্যা মামলায় সন্ত্রাসী ‘গ্রেনেড বাবু’র যাবজ্জীবন কারাদন্ড
২৭ মার্চ ২০২৩, ০৪:৪৭ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:১৯ এএম

খুলনায় জাহাঙ্গীর হোসেন কচি হত্যার দায়ে আসামি রনি চৌধুরী ওরফে বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী সাব্বির আহম্মদ।
অপরদিকে এ মামলার অপর ৮ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় অন্যান্য আসামিরা আদালতে থাকলেও গ্রেনেড বাবু পলাতক ছিলেন।
খালাসপ্রাপ্ত অন্যান্য আসামিরা হল, সোহেল, সুমন শেখ ওরফে বোমা সুমন, কালা রনি ওরফে হাসিবুর রহমান, কাজল ওরফে দাদা ওরফে হাবিবুর রহমান কাজল, রিয়াজ মির, সোহাগ, জাহিদ গাজী ও জিয়া গাজী। গ্রেনেড বাবু খুলনার একজন বহুল আলোচিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর হোসেন কচি ট্যাংক রোডের বাসিন্দা হাকিম মো: ইলিয়াজ হোসেনের ছেলে। ২০১০ সালের ১০ জুন সন্ধ্যায় কচিকে ফোন করে ডেকে নেয় দুর্বৃত্তরা। ফোন পেয়ে কচি ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে নগরীর শামসুর রহমান রোডের রাজিয়া মঞ্জিলের উত্তর পাশে আসলে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে থাকে। একসময়ে মৃত ভেবে আসামিরা কচিকে ফেলে মোটরসাইকেলে করে পলিয়ে যায়। পরবর্তীতে খুলনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কচিকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কচির বাবা ইলিয়াজ হোসেন এ ঘটনার পর দিন রনি চৌধুরী বাবু ওরফে গ্রেনেড বাবু সহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও আরও কয়েকজন অজ্ঞাতকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর একই বছরের ২ নভেম্বর মামলার প্রধান আসামি গ্রেনেড বাবু পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এরপর সে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট স্বপন কুমারের আদালতে হত্যাকাণ্ডে নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। সেখানে গ্রেনেড বাবু হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে উল্লেখ করে নিহত কচি একজন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। মাদকের টাকার ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে কচির সাথে অন্যান্য আসামিদের মত বিরোধ দেখা দেয়। সে কারণে তাকে হত্যা করা হয়। স্বীকারোক্তিতে সে কচিকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর কথা স্বীকার করে। এরপর জামিনে ছাড়া পেয়ে গ্রেনেড বাবু পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা শাখার এস আই আমিরুল ইসলাম ২০১১ সালের ৫ জুলাই গ্রেনেড বাবুসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ২৬ জনের মধ্যে ১২ জন স্বাক্ষ্য প্রদান করেছেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

তীব্র দাবদাহে এবার ইবতেদায়ী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা

হাইতিতে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ৩

যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলের এক অনুষ্ঠানে গুলি, নিহত ২

ফুঁসছে শক্তিশালী নিম্নচাপ, তৈরি হবে ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’

ইরানের নৌ জোটে সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ৫ দেশ

'অনশনকারী' জাবি শিক্ষার্থী প্রত্যয়ের উপর হামলা

তিনদিনে ইউক্রেনের ৩ হাজার ৭০০ সেনা নিহত : রাশিয়া

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ১২

তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রেসিডেন্ট

৬ দফা দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস

লন্ডনের আদালতে প্রিন্স হ্যারি

৩ ঘণ্টা পর ওয়ারীর আগুন নিয়ন্ত্রণে, দগ্ধ ৫

ক্রিস্তেফ গালতিয়েরকে বরখাস্ত করল পিএসজি

স্বাস্থ্যসেবায় ওয়ান হেলথকে এগিয়ে নেয়ার আহবান

ঈদের ছুটির আগে শ্রমিকদের বোনাস এবং জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন দিতে হবে : শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী লাঞ্চিত

বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় রাজি

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

‘অখ- ভারত মানচিত্র’ আমরা অন্ধকারে?