অপহরণ মামলা নেয়নি পুলিশ, ৭ দিন পর শিশু অয়নীর লাশ পেলেন মা
২৯ মার্চ ২০২৩, ০৯:৫৭ এএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:১৪ এএম
চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় সাতদিন ধরে নিখোঁজ ১০ বছর বয়সী শিশুকন্যার সন্ধান পেতে মা গিয়েছিলেন থানায়। পুলিশ ঘটনা বিশ্বাস করেনি। মায়ের অভিযোগ গ্রহণ করেনি।
সেখানে কোনো প্রতিকার না পেয়ে আদালতে গিয়ে অপহরণের মামলা করেন তিনি। সেই মামলা দায়েরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শিশুটির সন্ধান মিলেছে। তবে জীবিত নয়, বস্তাবন্দি লাশ। বুধবার ভোরে নগরীর পাহাড়তলী থানার আলমতারা পুকুরপাড়া মুরগীফার্ম এলাকা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তার লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেফতারের পর তার দেখানোমতে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পিবিআই জানিয়েছে, শিশুটিকে ধর্ষণের পর খুন করে লাশ বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হয়। শিশু আবিদা সুলতানা আয়নী (১০) নগরীর পাহাড়তলী থানার কাজীরদীঘি এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। ওই এলাকায় তাদের বাসা। গ্রেফতার মো. রুবেল (৩৫) একই এলাকার বাসিন্দা। সে ওই এলাকায় ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করে। মঙ্গলবার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে তার মা পোশাককর্মী বিবি ফাতেমা সবজি বিক্রেতা রুবেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন। চট্টগ্রামের দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শারমিন জাহান অভিযোগ গ্রহণ করে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা নথিভুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিশু আয়নী নিখোঁজের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর থেকে রুবেলকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। কিছু তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহের পর মঙ্গলবার রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, একপর্যায়ে রুবেল স্বীকার করে, মেয়েটিকে ২১ মার্চ নিখোঁজের দিনই সে কাজিরদীঘি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনের চারতলায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর শ্বাসরোধে হত্যা করে তার লাশ বস্তায় ভরে ময়লা-আবর্জনায় ভরা ডোবায় ফেলে দেয়। রুবেলের তথ্য অনুযায়ী বুধবার ভোরের দিকে ডোবা থেকে বস্তাবন্দি প্রায় গলিত লাশটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানান পিবিআই কর্মকর্তা নাইমা সুলতানা।
ঘটনাস্থলে আয়নীর লাশ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা ও স্বজনেরা। নৃশংসতার শিকার হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া মেয়ের জন্য মায়ের আহাজারি যেন থামছিলই না!
মঙ্গলবার আদালতে দাখিল করা মামলার আরজিতে বলা হয়, আয়নীর বাবা ঢাকার একটি পোশাক কারখানার কর্মী। গত ২১ মার্চ বিকেল থেকে আয়নী নিখোঁজ। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তাকে ওইদিন দুপুরে স্কুলের সামনে সবজি বিক্রেতা রুবেলের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। এর আগে আয়নী তার মায়ের কাছে বিড়ালছানা কেনার আবদার করেছিল। মাস শেষে বেতন পেলে কিনে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মা। কিন্তু আয়নী জানিয়েছিল, সবজি বিক্রেতা রুবেল তাকে বিড়ালছানা এনে দেবে। তবে মা ও দাদী অপরিচিত লোকের কাছ থেকে বিড়ালছানা নিতে নিষেধ করেন।
মামলার আরজিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দু’জনের কথোপকথনের সময় রুবেলের হাতে বাজারের থলে এবং সেখানে একটি বিড়ালছানা দেখা যায়। রুবেলের কাছ থেকে আয়নীকে সেই থলে নিতেও দেখা যায়। এরপর তাদের আর দেখা যায়নি।
পাহাড়তলী থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ রুবেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়। এরপর রুবেল দাড়ি কেটে বেশভূশা পরিবর্তন করে এলাকায় অবস্থান করছিল বলে আরজিতে অভিযোগ করা হয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ট্রাম্পের তথ্য চুরি করে বাইডেন শিবিরে পাঠিয়েছিল ইরান! দাবি গোয়েন্দা সংস্থার
সুনামগঞ্জে সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান গ্রেফতার
ইয়ামালের মাইলফলকের রাতে হারের তেতো স্বাদ বার্সার
আর্সেনালের স্বস্তির ড্র,অ্যাটলেটিকোর দারুণ জয়
হেডের বিধংসী শতকে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড
পয়েন্ট হারিয়েও শীর্ষে আর্জেন্টিনা,অবনতি বাংলাদেশের
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।