মাগুরায় ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা দেড় লাখ দিয়ে প্রতি বছর ৫ কোটি টাকার বালু উত্তোলন
০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:১৯ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:৪৯ পিএম
মাগুরার মহম্মদপুরে এক মৌসুমে দেড় লাখ টাকা জরিমানা দিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ বালু উত্তোলন করছে এক শ্রেনীর অসৎ মানুষ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বালু খাদকদের এ অর্থদণ্ড দেন।
উপজেলার শিরগ্রাম খেয়াঘাট, পাল্লা খেয়াঘাট, কাশিপুর, বাবুখালি, হরিনাডাঙ্গা, রায়পুর, দাতিয়াদহ, চরঝামা, হরেকৃষ্ণপুর, চরঝামা, চরপাচুড়িয়া, কালিশংকরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় মধুমতি নদী থেকে অপরিকল্পিত ভাবে বছরে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার অবৈধ বালু উত্তোলন করে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছে একটি প্রভাবশালী মহল।
মধুমতি নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ফসলী জমি হুমকির মুখে শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত হয়। তার পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন সময়ে অবৈধ বালু খাদকদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের মালামাল ভাঙচুর করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল ও সহকারি কমিমনার (ভ’মি) বাসুদেব কুমার মালো। কিন্তু তার পরও উপজেলার মধুমতি নদী থেকে চর কেটে বালু বিক্রি ও বালু উত্তোলন কোন ভাবেই থামছে না। বালু খাদকেরা মানছে কোনো বাধা। অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উপজেলা বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকবার মানববন্ধনও হয়েছে।
পাল্লা নদীপাড়ের ভুক্তভোগীরা জানান, প্রতিদিনই চলছে বালুকাটা। নদীর পাড় থেকে শ্রমিক দিয়ে সরাসরি বালু কেটে শত শত ট্রলি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিক্রি করছে। এ ভাবে চলতে থাকে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নদীর বালু কাটছে স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন যুবক। ওই এলাকার সাধরণ মানুষকে জিম্মি করে তারা এ ব্যবসা পরিচালনা করছেন দীর্ঘদিন ধরে। কেউ বাধা দিলে তাকে মারধর, হুমকিসহ নানান রকম বিপদের শিকার হতে হয়।
প্রতিটি গাড়িতে ১০০ বর্গফুট বালু নিলে গাড়ি প্রতি কমপক্ষে ৬০০ টাকা খাজনা নেয় বালু খাদকেরা।
, মহম্মদপুর উপজেলায় অবৈধ বালু উত্তোলনের যে কয়েকটি স্পট আছে, এ সব স্পট থেকে বছরে কমপক্ষে পাঁচকোটি টাকার বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা।
নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় লোকজন জানান, মধুমতি নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারনে ফসলি জমি, নদী পাড়ের বসতঘর ও বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনা নদী ভেঙে বিলিন হয়ে যাচ্ছে এবং ভাঙন রোধ করতে ব্যবহৃত কোটি কোটি টাকার ব্লক ও জিও ব্যাগ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই হতাহতের বিচার আদৌ হবে কিনা সংশয় স্বজনের মধ্যে
হরিণাকুন্ডুতে যুবদল সভাপতির উপর গুলি অল্পের জন্য রক্ষা
সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা : যুব সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে :পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সেই সুখরঞ্জন বালির ভারতে গুমের লোমহর্ষক কাহিনী
খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন শাস্তি হলে হাসিনার সুযোগ নেই :অ্যাটর্নি জেনারেল
থার্টি ফাস্ট নাইট নিষিদ্ধ করতে হবে আইন করে :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের রহস্য নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন
সংস্কারের সঙ্গেই নির্বাচন প্রস্তুতি
‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিকল্প সোলার সিস্টেম চালু করুন’
আসিফ মাহমুদের হেলিকপ্টারে ছয় দিনে ২৮ বার সফর বিতর্ক
বন্ধ রয়েছে পায়রা বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫৩
নববর্ষ উদযাপনে ৭ বছরে শব্দদূষণ বেড়েছে ৭৪ শতাংশ
হাসিনা পরিবারের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরুর পরই সচিবালয়ে আগুন : রিজভী
হাসিনার ফ্যাসিজম নিয়ে সস্তা কথা টিকবে না : শফিকুল আলম
চাঁদপুর মেঘনায় ড্রেজারসহ ২৮ জন আটক
ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল অভিষিক্ত বশ,চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা
১৬ বছরের অভিনেতার অকাল প্রয়াণে হলিউডে শোকের ছায়া