গুচ্ছ ইস্যুতে হঠাৎ স্থগিত জবির সিন্ডিকেট সভা
০৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১১:০৯ পিএম
একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৮ এপ্রিল) বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় নিজস্ব ভর্তি পদ্ধতির অন্যান্য বিষয়গুলো আলোচনা হবার কথা ছিল। তবে আকস্মিকভাবেই স্থগিত করা হয় সভাটি। তবে স্থগিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত নয় কেউ। এ নিয়ে তৈরী হয়েছে ধোয়াশা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গঠন করা হয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভর্তি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিসহ তিনটি ইউনিট কমিটিও। এদিন সিন্ডিকেট সভায় ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়গুলো চূড়ান্ত হবার কথা ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, একজন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ফোন করে জানিয়েছেন সিন্ডিকেট সভা স্থগিতের কথা। কেন স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
একই কথা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর একজন সিন্ডিকেট সদস্য ও বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মো. শাহজাহান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিন্ডিকেটের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানকে একাধিকার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন কেটে দেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত জাহাঙ্গীর বলেন, উপাচার্য তার ক্ষমতাবলে সভা স্থগিত করতে পারেন। তবে এভাবে সভা স্থগিত করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পদ্ধতি নির্ধারণ পিছিয়ে যাচ্ছে। এতে করে সেশনজট ও অন্যান্য জটিলতা বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, বেশিরভাগ সিন্ডিকেট মেম্বার এভেইলেবল না থাকার কারণে সিন্ডিকেট সভাটি স্থগিত করা হয়েছে। কবে নাগাদ সভা আহ্বান করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন হয়তো আগামী সপ্তাহে সভা আহ্বান করা হতে পারে।
শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ:
এদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ৬৫ তম একাডেমিক কাউন্সিলে (বিশেষ) গুচ্ছ পদ্ধতির পক্ষে কথা বলায় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদের মারধরের শিকার হন সহকর্মীদের দ্বারা। এসম্পর্কে প্রকাশিত সংবাদকে অতিরঞ্জিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সভায় ওই শিক্ষককে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেছে তারা।
শুক্রবার রাতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে এ দাবি করেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই হতাহতের বিচার আদৌ হবে কিনা সংশয় স্বজনের মধ্যে
হরিণাকুন্ডুতে যুবদল সভাপতির উপর গুলি অল্পের জন্য রক্ষা
সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা : যুব সমাবেশে মাওলানা মামুনুল হক
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে :পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সেই সুখরঞ্জন বালির ভারতে গুমের লোমহর্ষক কাহিনী
খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন শাস্তি হলে হাসিনার সুযোগ নেই :অ্যাটর্নি জেনারেল
থার্টি ফাস্ট নাইট নিষিদ্ধ করতে হবে আইন করে :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের রহস্য নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন
সংস্কারের সঙ্গেই নির্বাচন প্রস্তুতি
‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে বিকল্প সোলার সিস্টেম চালু করুন’
আসিফ মাহমুদের হেলিকপ্টারে ছয় দিনে ২৮ বার সফর বিতর্ক
বন্ধ রয়েছে পায়রা বন্দরে পণ্য খালাস কার্যক্রম
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫৩
নববর্ষ উদযাপনে ৭ বছরে শব্দদূষণ বেড়েছে ৭৪ শতাংশ
হাসিনা পরিবারের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরুর পরই সচিবালয়ে আগুন : রিজভী
হাসিনার ফ্যাসিজম নিয়ে সস্তা কথা টিকবে না : শফিকুল আলম
চাঁদপুর মেঘনায় ড্রেজারসহ ২৮ জন আটক
ব্যাট হাতেও উজ্জ্বল অভিষিক্ত বশ,চালকের আসনে দক্ষিণ আফ্রিকা
১৬ বছরের অভিনেতার অকাল প্রয়াণে হলিউডে শোকের ছায়া