ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বিসকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাকের আহমেদ বাবুলের বিরুদ্ধে বিউবো-র উপসহকারী প্রকৌশলী(বিতরণ বিভাগ-৩)ময়মনসিংহ মোঃ আল-আমিন আজাদ(২৮) ও মোঃ মাসুম পারভেজ(২৮)কে কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান এবং কিল,ঘুষি মেরে আহত করার অভিয়োগে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশের অভিযানে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিসকা ইউনিয়নের কাকনীকোনা গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন,কাকনীকোনা গ্রামের রমজান আলী(৫২),দুলাল মিয়া(৪৫) ও মোঃ সেলিম মিয়া(৩০)।

উল্লেখ্য যে,বিগত ৩ এপ্রিল(সোমবার) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৩,বিউবো,ময়মনসিংহের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সৈকত মাহমুদ(৩০) সঙ্গীয় উপসহকারী প্রকৌশলীদের সাথে নিয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে বিসকা ইউনিয়নের মৃত আক্কাছ আলীর পুত্র মোঃ হাতেম আলী(৫০)-র বাড়ীতে যান।এ সময় দেখতে পান হাতেম আলী অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন।তাৎক্ষণিক ঐ বিদ্যুৎ সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করতে যান তারা।এই সময় বিসকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাকের আহমেদ বাবুল মোবাইল ফোনে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন না করার জন্য সুপারিশ করেন।এই সুপারিশ না রাখায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে মোটর সাইকেল যোগে এসে ইউনিয়নটির কাকনীকোনা ব্রীজমোড়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বে থাকা গাড়িটি আটক করেন এবং কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উপরে উল্লেখিত প্রকৌশলীদের উপড় হামলা চালান।তাদের কিল,ঘুষি মেরে নীলাফোলা জখম করেন।পরবর্তীতে ঐ প্রকৌশলীদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয় বলেও উল্লেখ করা হয়।

এই ঘটনায় তারাকান্দা থানায় সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সৈকত মাহমুদ বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার হাতেম আলী ও চেয়ারম্যান সাকের আহমেদ বাবুলের সাথে আরও অজ্ঞাত ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা নং-৪ দায়ের করেন।মামলা দায়েরের এক সপ্তাহ পর উক্ত তিন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ও হাতেম আলীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিষয়ে তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের বলেন,বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তব্যরত বিউবোর প্রকৌশলীদেরকে কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান ও শারিরীকভাবে আঘাত করায় পেনাল কোডের ৩৩২,৩৩৩,৩৫৩ ধারায় মঙ্গলবার মামলা দায়েরের পর উপরের আসামীদেরকে গ্রেফতার করে ১১ এপ্রিল(মঙ্গলবার) বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।