নেছারাবাদে শালিস বৈঠকে বসে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মোঃ নজরুল ইসলাম(৪৭) নামে একজনকে বেধম পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে বড় ভাই মজনু এবং ভাতিজা রুবেল,মনিরের বিরুদ্ধে। বুধবার রাত আটটার দিকে উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামে শালিসে বসে ইউপি সদস্যর সামনে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার নজরুল ইসলামকে স্বজনরা উদ্ধার করে নেছারাবাদ হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিমে (বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) পাঠিয়েছেন।

জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার মো: শাহিন হোসেন বলেছেন, রোগীর অবস্থা গুরুতর মনে হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে রেফার করা হয়েছে।

আহত নজরুলের স্ত্রী শিমু বেগম অভিযোগ করেন, "আমার বাসুর (স্বামীর বড় ভাই) এর সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যার পরে ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুল হোসেন খোকন উভয় পক্ষকে নিয়ে শালিসে বসেন। এমন সময় বাসুরের দুই ছেলে আমার স্বামীকে নানান কথা বলে। এসময় আমার ছেলেরা তার প্রতিবাদ করতে কথা বলে। এতে স্বামীর বড় ভাই মজনু এবং তার দুই ছেলে রুবেল,মনির মেম্বরের সামনে বসে আমার স্বামীকে মারা শুরু করে। এসময় তারা মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দিয়ে গাছের ডাল দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে স্বামীকে মারধর করে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তরা বলেন, "তারা প্রথমে আমাদের মেরেছে। আমরা তা প্রতিরোধ করেছি।"

ইউপি সদস্য কামরুল হাসান খোকন বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্য জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শালিসে কাউকে মানাতে না পারলে শালিস ছেড়ে উঠার সময় মজনু গ্রুপ মারামারি শুরু করে। তবে তিনি বলেন, মজনুর ছোট ভাইয়ের ছেলে রাকিব শালিসের সময় উত্তেজিত ছিল। তাই উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

নেছারাবাদ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো: জাফর আহমেদ বলেন, " ঘটনা শুনে পুলিশ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।