ঢাকা জেলা বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৬ মে) বেলা পৌনে ১১টার দিকে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাস রোডে এ ঘটনা ঘটে।

এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীসহ দুই পক্ষের অন্তত ৫০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে জিনজিরা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বেলা পৌনে ১১টার দিকে যুবদলের একটি মিছিল জিনজিরা ছাটগাও এলাকা থেকে সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এলে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন। এর মধ্যে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম ই মামুন বলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়ের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগের ২০ থেকে ২২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশাক বলেন, “জিনজিরা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান ও ইটপাটকেল ছোড়েন। এতে নিপুণ রায়সহ আমাদের অন্তত ৩০-৩৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।”

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম বলেন, বিএনপির কিছু কর্মী আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা করেন। এর আগে সংঘর্ষে ও ইটের আঘাতে দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ দেশের ৯ বিভাগের ১৮ জেলা ও মহানগরে জনসমাবেশ করছে বিএনপি।