নারিকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভোয়া এবং মিথ্যা অপপ্রচার করে নারিকেল গাছের গণজোয়ার ঠেকানোর জন্য ষড় করা হচ্ছে। ২ বস্তা টাকা উদ্ধারের মিথ্যা বিষয়টি প্রমান করতে পারলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন।

তার পক্ষে লিখিত বক্তব্যে তার ছোট ভাই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল বলেন, শুক্রবা ১০ নং ওয়ার্ডের বাহারছরায় নির্বাচনী কর্মীদের কাছে নাস্তার টুকেন বিতরণের সময় নৌকা প্রতীকের মাহবুবের ইন্দনে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ২ বস্তা টাকা উদ্ধারের অপপ্রচার একটি সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করে। এই নাটক সাজিয়ে জনগণ ও প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। তিনি ওই নাটকের সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাও নাকি সাতকানিয়া এলাকার বলে জানান।

তিনি অভিয়োগ করে বলেন, তার প্রতিদ্বন্ধী মাহবুব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ব্যবহার করে আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছে। তিনি নির্বাচন কমিশনের প্রতি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ২ বস্তা টাকা উদ্ধারের মিথ্যা বিষয়টি প্রমান করতে পারলে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়াবেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা করেন। নেতা কর্মীদের টেলিফোনে হোমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিয়োগ করেন।
সাতকানিয়া লোহাগাড়া মাহবুবুর রহমানের এলাকা থেকে ৮ শত মত সন্ত্রাসী এনে নির্বাচনে প্রভাব ফেলার আয়োজন করেছে বলেও অভিযোগ করেন।
জুয়েল বলেন, সাঈদী, ইমরুল মাহবুব সবাই একসময় বিদ্রোহী প্রর্থীর পক্ষে কাজ করে আজ আওয়ামী লীগার সাজছে। অথচ তার বারা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক কক্সবাজার পৌর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক এর চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার কেউ ছিলনা।

তিনি আরো বলেন, মাহবুববুর রহমান নাকি রোহিঙ্গা ভোটার করার কারণে। সার্টিফিকেট মামলায় জেল খেটেছেন।

সলবাদ সম্মেলনে বাহারছরার নারিকেল গাচের কর্মী কোহিনুর ইসলাম আজকের সংঘটিত বিষয়ের বর্ণা দিয়ে বলেন, তারা সারা দিন কাজ করে বিকেলে ৩০০/ করে নাস্তার টুকেন বিতরণের সময় পরিকল্পিতবাবে কথিত ২বস্তা টাকা উদ্ধারের নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রার্থীর ছোট ভাই কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল, অপর ছোট ভাই কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কায়ছারুল হক জুয়েল ও ছোট বোন তাহমিনা নুসরাত জাহান লুনা সহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতা কর্মী।