কুড়িগ্রামে হঠাৎ করে ডেঙ্গু রোগীর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ঈদ পরবর্তী জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বেশ ক’জন রোগী।পরে পরীক্ষা করে ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন দুই একজন করে রোগী ভর্তি হচ্ছে জেলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে।হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিট চালু না থাকলেও বর্তমানে মেডিসিন বিভাগের মেডিসিন ওয়ার্ডে ও বিশেষ কেবিনে এসব রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।তবে অন্যান্য জ্বরে আক্রান্ত ও বিভিন্ন রোগীর স্বজনদের মধ্যে ডেঙ্গু সংক্রমিত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।চিকিৎসকরা জানান,জেলায় ডেঙ্গু রোগীর প্রকোপ বাড়লেও তা কুড়িগ্রামে এডিশ মশার কামড়ে হচ্ছেনা।এসব রোগী ঢাকা কিংবা চট্টগ্রামে থেকে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।এরপর পরীক্ষা নিরীক্ষায় শেষে ডেঙ্গু শনাক্ত হচ্ছে। কুড়িগ্রাম ২৫০শয্যার জেনারেল হাসপাতাল ও রোগীদের স্বজন সুত্রে জানা যায়,গত ১০-১২দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে মোট ৫ জন।এদের মধ্যে সবাই কোন না কোনভাবে ঢাকা,চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে চাকুরিরত।তম্মধ্যে একজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত চিকিৎসকগণ ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সেবা দিয়ে ৩জন রোগীকে সুস্থ্য করে তোলেন এবং তারা তাদের নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যান।এরপরও চিকিৎসা নিচ্ছেন কেবিনে ও মেডিসিন ওয়ার্ডে আরো ২জন রোগী।হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে চিকিৎসাধীন পৌরসভার নাজিরা মৌজার বাসিন্দা আব্দুল মতিন জানান,আমি চাকুরি সুবাদে চট্টগ্রামে থাকি।গত ঈদুল আযহার ছুটিতে বাড়িতে এসে জ্বরে আক্রান্ত হই।কিন্তু কোনভাবে জ্বর কমছিলনা।ফলে জেনারেল হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভর্তি হই।এরপর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক নিশ্চিত হন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছি।তখন থেকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা পেয়ে এখন কিছুটা সুস্থ্য।মাঝে মধ্যে একটু একটু জ্বর এখনও আসে।এদিকে,শহরের জেনারেল হাসপাতাল ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সমুহে কোন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানান হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকগণ।তবে এসব রোগীদের দ্বারা হাসপাতালে ভর্তি অন্যদের মধ্যে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন অনেকেই।সনাক সভাপতি এডভোকেট আহসান হাবীব নীলু জানান,হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর খবর আমরা জেনেছি।কিন্তু এসব রোগী বাইরে থেকে জ্বর নিয়ে আসলেও তা অন্য রোগীদের মাঝেও ছড়াতে পারে।এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।এছাড়াও জনসচেতনতাও জরুরী।সেক্ষেত্রেও তাদের অগ্রণী ভূমিকা থাকবে বলে আমি মনে করি।জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: মঈনুদ্দীন আহমেদ জানান,ঈদ পরবর্তী কুড়িগ্রামে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ছুটিতে এসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।আমরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিয়মিত দেয়ার ফলে তারা সুস্থ্য হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত মারা যাওয়ার কোন খবর নেই।