নাটোর জজ কোর্টের আদালতে জব্দ হেরোইনের প্যাকেটে আচার সদৃশ বস্তু
১২ জুলাই ২০২৩, ০৩:৪০ পিএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৩, ০৩:৪০ পিএম
নাটোর জজ কোর্টের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এক মাদক মামলার শুনানিকালে প্রদর্শিত জব্দকৃত আলামতের প্যাকেটে হেরোইনের বদলে আচার সদৃশ বস্তু দেখতে পাওয়া যায়। মঙ্গলবার এ মামলাকে ঘিরে আদালতে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মাদক মামলার অভিযুক্ত আসামীর নাম মাসুম হোসেন (৩৭)। তিনি বগুড়া জেলার পাল্লাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। সেসময় নাটোর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় নাটোর শহরে গত দুই বছর আগে এক যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করে মাসুম হোসেন নামের এক যাত্রীর কাছ থেকে এক কোটি ২৯ লাখ টাকা মূল্যের ১ কেজি ২৯০ গ্রাম হেরোইনের প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। কিন্তু দুই বছর পর সেই হেরোইনের প্যাকেট কিভাবে আচার সদৃশ বস্তুর প্যাকেটে পরিণত হল তা নিয়েই নাটোরে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নাটোর সদর থানার উপ-পরিদর্শকের অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অভিযুক্ত আসামী মাসুম হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মামলার যুক্তি-তর্কের আগেই বিচারক আদালতে মাদক মামলার আলামত উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। আলামত খোলা হলে দেখা যায় ১ কেজি ২৯০ গ্রাম হেরোইনের সাতটি প্যাকেটে আচারের সদৃশ বস্তু। জব্দকৃত আলামতের প্যাকেট পরিবর্তন হওয়ার সন্দেহ তৈরী হলে মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ১৭ জুলাই ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রফিক উদ্দিন জানান, উদ্ধার করা আলামত ল্যাবে পরীক্ষার পর হেরোইন প্রমাণিত হয়। সেই রিপোর্ট জমা প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তীতে র্যাব কর্তৃক আলামত সীলগালা অবস্থায় কোর্ট পুলিশের মালখানায় জমা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে নাটোর জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত সোমবার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ আদালত মহোদয় জেলখানা পরিদর্শনে যান। সেখানে হেরোইন মামলার আসামি মাসুম বিজ্ঞ মহোদয়কে বলেন, ‘আমার জেল দেন আর ফাঁসি দেন’ আমি সব মাথা পেতে নিবে। কিন্তু আমার কাছ থেকে উদ্ধার করা আলামত হেরোইনের প্যাকেটটি আপনি একটি বার যাচাই করে দেখবেন। এরপর আমাকে যে আর্দেশ দেবেন তা আমি মাথা পেতে নিব।’ এ কথা শোনার পর মাননীয় বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মহোদয় তার কথা আমলে নেন। তিনি মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় আলামতগুলো দেখতে চান। আলামত খোলার পর মামলায় উল্লেখিত হেরোইন মর্মে সেই সাতটি প্যাকেটে আচার সদৃশ বস্তু দেখতে পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, মামলায় জব্দকৃত আলামতের রঙ ‘বাদামি’ উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এটা ‘খয়েরি’ রঙয়ের দেখা যায়। এ বিষয়ে আদালত ব্যাখ্যা চেয়েছেন এবং আগামী ১৭ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০২১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর শনিবার র্যাবের একটি আভিযানিক দল রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী থেকে পাবনাগামী যাত্রীবাহী মাছরাঙ্গা পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে মাসুম হোসেন নামের এক মাদক কারবারীকে আটক করে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী
মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান
সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান