চট্টগ্রামে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯৯ জন, চলছে সচেতনতা কর্মসূচি
১২ জুলাই ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯৯ জন। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি। এতে করে জেলায় এ বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৩ জনে এবং মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৩ জনে।
বুধবার (১২ জুলাই) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২৫৩ জন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪৭ জন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২১ জন এবং জেলার অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে ১৮৫ জন ভর্তি রয়েছেন। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৬০ জন।
এদিকে মশার লার্ভা পাওয়ায় আজ (বুধবার) ১২ ভবন মালিককে মোট ৯২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। নগরের দক্ষিণ খুলশী এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, দক্ষিণ খুলশীর মতো অভিজাত এলাকায়ও অসচেতনতার কারণে জমে থাকা পানিতে মশার প্রজনন হচ্ছে। এমনকি কয়েকজন চিকিৎসকের বাড়ি ও স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ভবনেও জমে থাকা পানিতে লার্ভা পেয়েছি আমরা। নাগরিকদের সচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গু নির্মূল সম্ভব নয়।
এদিকে জেলায় দিন দিন ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাড়লে মশা নিধনে তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না চসিক। গত ২২ জুন থেকে ১০০ দিনে ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে সংস্থাটি। এছাড়া আবাসস্থল ধ্বংস করাসহ নানা কার্যক্রম চালু রাখলেও মশার প্রকোপ বেড়েই চলছে।
চসিক সূত্র জানায়, মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে চসিকে ম্যালেরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা নিয়োগ করে পৃথক শাখা গঠন করা হয়েছে এবং লোকবল নিয়োগ করা হয়েছে। মশক নিধন কাজে নিয়োজিত ২২০ জন স্প্রে ম্যান থেকে ৪০০ জনে উন্নীত করা হয়েছে। ৩০০টি স্প্রে মেশিন ও ১২০টি ফগার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে।
বর্তমানে ১০ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড ও ৩ হাজার লিটার লার্ভিসাইড মজুদ রয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা টিমের সুপারিশের আলোকে মসকুবান নামীয় ভেষজ ওষুধ ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। ৫ হাজার লিটার ন্যাপথা মজুদ রয়েছে। এডাল্টিসাইড হিসেবে ইনভেন্ট লিকুইড ইনসেক্টিসাইড, লার্ভিসাইড হিসেবে টেমিফস ৫০ ইসি ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণ এলডিও এবং এইচএসডি (কালো তেল) কেনা হচ্ছে।
চসিক মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সকল গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি কয়েকদিন পর পর প্রচার করা হচ্ছে। রেডক্রিসেন্ট ও আরবান ভলান্টিয়ারের যৌথ টিমের মাধ্যমে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ও নগরের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রতিদিন লিফলেট বিতরণ ও হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে প্রচারণা চালানা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়ির ছাদ, আঙিনা, নির্মাণাধীন বাড়ির নিচতলা ও ছাদ, এসির পানির ধারক, ডাবের খোসা প্রভৃতিতে পানি জমিয়ে না রাখার জন্য জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঘটনাবহুল ড্রয়ে শেষ আর্সনাল-সিটি মহারণ
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী
মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান
সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান