আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে পেটালেন লক্ষ্মীপুরের এ্ক ইউপি চেয়ারম্যান
২০ জুলাই ২০২৩, ০৮:৫৮ পিএম | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩, ১১:৫১ পিএম
লক্ষ্মীপুরের মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেনকে (৩৯) মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেলে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে বেলাল ঘটনাটি সাংবাদিকদের জানান।
জানা গেছে, পাওনা ১৫ হাজার টাকা চাওয়ায় চেয়ারম্যান রুবেল ও তার ভাই গিয়াস উদ্দিন তাদের মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় মান্দারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাহবুবুর রহমান রাজুকেও মারধর করেন চেয়ারম্যান। বেলাল সদর উপজেলা মান্দারী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও মোহাম্মদনগর গ্রামের আজিজ উল্যার ছেলে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পারিবারিক জমি নিয়ে বেলাল ও তার স্বজনদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় সালিশি বৈঠকের জন্য বেলালসহ তার ৬ স্বজন ৩৫ হাজার টাকা (১ লাখ ৫০ হাজার টাকা) করে চেয়ারম্যান রুবেলের কাছে জামানত রাখে। কিন্তু সমস্যার সমাধান না করে কয়েকদিন আগে বেলালদের বিপক্ষের লোকজনকে জমি বুঝিয়ে দেন চেয়ারম্যান।
যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের একটি সালিশি বৈঠকের জন্য জামানত হিসেবে চেয়ারম্যান রুবেল আমার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেয়। পরে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা দিচ্ছে না। এতে পাওনা ১৫ হাজার টাকা চাইতে বুধবার রাত ৮টার দিকে মান্দারী বাজারে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যাই। টাকা চাইতেই চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে রুবেল ও তার ভাই গিয়াস আমাকে বেদম মারধর করে। ঘটনাটি আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককেও জানিয়েছি। আমি চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করবো। বেলাল আরও জানান, ইউপি সদস্য রাজুর সামনেই তাকে মারধর করা হয়। এতে বাধা দিলে রাজুকেও চেয়ারম্যান রুবেল কিল-ঘুষি দেন।
ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রাজু সাংবাদিকদের বলেন, বেলালকে চেয়ারম্যান মারধর করেছে। এতে প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান আমাকে কিল-ঘুষি দিয়েছে। বিষয়টি আমি জেলা নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। এ ঘটনায় আমি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করবো। বক্তব্য জানতে মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটওয়ারীকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, ঘটনাটি আমাকে ভুক্তভোগী নেতারা জানিয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষকে আমার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেউ আমাকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে
মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার
ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন