আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল আজ
২২ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩৫ এএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১০:৩৫ এএম
নানা সংকটে কয়েক দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও অবশেষে খুলতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ। আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ রেলপথ চালু হলে যোগাযোগের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে এই রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।
গত ১৬ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় সফলভাবে ট্র্যাক কার চালানোর পর এখন চলছে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি। ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, এই রেলপথটি চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের ব্যবসাবাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। এদিকে রেলপথ দ্রুত চালুর খবরকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে যেন আগ্রহের শেষ নেই। এলাকাবাসীর দাবি, এই রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যেন এলাকাবাসীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর বলেন, রেলপথের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে যে যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে, সেটি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন বয়ে আনবে। এই রেলপথ শুধুমাত্র উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্তই করছে না, বরং খুলে দিচ্ছে বাণিজ্য সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।
টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রকৌশলী রিপন শেখ বলেন, আজ ২২ আগস্ট পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. ইয়াসীন বলেন, এ প্রকল্পটি চালু করার জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষসহ আমরা সবাই দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। এ প্রকল্পটি চালু হলে রেলপথে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে। পাশাপাশি বাড়বে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যে সাতটি অঙ্গরাজ্য রয়েছে, তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ কলকাতার যোগাযোগের জন্য প্রায় ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এ রেলপথটি হয়ে গেলে ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় যাত্রাপথ অন্তত সাড়ে ৯০০ কিলোমিটার কমে যাবে।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের নির্মাণকাজে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা। ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রকল্পের কাজ করেছে। আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে শুরু হয়ে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর গিয়ে মিশেছে এই রেলপথ।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এফএ কাপে সিটির গোল উৎসব
মাদুরোকে গ্রেপ্তারে ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় :বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত
অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ইরানে অস্থিরতা বাড়ছে
দ্রুত নির্বাচন হলে সৃষ্ট সংকট দূর হবে : মির্জা ফখরুল
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহত আরও ২১
নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাবে
অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট বাসভবনকে ‘দুর্গে’ পরিণত করেছেন
ভারতের সঙ্গে করা জনস্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিলের দাবি আনু মুহাম্মদের
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার