বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ: নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা: চরম হয়রানির শিকার সাধারণ যাত্রীরা
২২ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৩৮ পিএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩, ০৫:৩৮ পিএম
কোনপ্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আকস্মিকভাবে বরগুনা-ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এদিকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ায় পণ্য পরিবহনে ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। লঞ্চ মালিকপক্ষ বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে গত এক বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার লোকসান হয়েছে তাদের। তাই বাধ্য হয়ে বন্ধ করা হয়েছে লঞ্চ চলাচল।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বরগুনা লঞ্চ ঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা এসে ফিরে যাচ্ছেন।
মিজানুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, লঞ্চের যাত্রা আরামদায়ক। নিরাপদ যাতায়াতের জন্য মানুষ এখনো লঞ্চে যাতায়াত করে। কিন্ত বরগুনায় লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। একজন মধ্যম আয়ের মানুষের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে কম খরচে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হতো। মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাসে না গিয়ে লঞ্চে যাতায়াত করতো। কিন্তু লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
লঞ্চ যাত্রী মরিয়ম আক্তার চম্পা বলেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ বন্ধের খবরে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি।
বরগুনা ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি জহিরুল হক পনু বলেন, প্রাচীন এই নৌপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বরগুনার ব্যবসা-বানিজ্যে হুমকির মুখে পরেছে। লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ হলে পণ্য পরিবহনের ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাব পড়বে বাজারে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ক্রেতারাও ক্ষতির মুখে পড়বেন। বরগুনা ঢাকা-লঞ্চ সার্ভিস অব্যাহত থাকা প্রয়োজন।
এম কে শিপিং লাইন্স কোম্পানির মালিক মাসুম খান জানান, আমরা ঢাকা-বরগুনা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছি। প্রতিটি ট্রিপে আমাদের দেড় থেকে দুই লাখ টাকার লোকসান হয়। এছাড়া জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা আগে ৬ হাজার লিটার দিয়ে আসা-যাওয়া করতাম সেখানে এখন ৩ হাজার লিটার দিয়ে আসা-যাওয়া করি তাতেও আমাদের লোকসান হয়।
তিনি আরও বলেন, চার হাজার কোটি টাকা তেলের দাম বাকি রয়েছে আমার। গত মাসে ৩৮ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এতো লোকস দিয়ে আর লঞ্চ চলাচল করাতে পারছি না। জ্বালানির দামটা কিছুটা কমলে আমরা হয়তো পুষিয়ে থাকতে পারবো।
এই পথে চলাচলকারী লঞ্চগুলো পদ্মা সেতু চালুর আগে একেকটি লঞ্চে বরগুনা নদীবন্দর ঘাট থেকেই প্রতিদিন ৭শ থেকে ৮শ যাত্রী হতো। বর্তমানে পদ্মা সেতু চালুর পর ২-৩শ যাত্রী হচ্ছে।
বরগুনা নদী বন্দর কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়ার পরে আমি এম কে শিপিং লাইন্স কোম্পানির মালিক মাসুম খানকে বেশ কয়েকবার ফোন করেছি। কিন্তু, তিনি আমার ফোন রিসিভ করেননি। এরপর বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মেসির সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন সেই সাংবাদিক
দেশের মানুষ হাসিনার ফাঁসি চায় :ভোলায় সারজিস আলম
জীবনযাত্রা ব্যয় আরো বাড়তে পারে
সাবেক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট
মনে হচ্ছে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ভালোভাবেই হচ্ছে
চাল ও মুরগির বাজার অস্থিতিশীল
সামরিক খাতে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চায় তুরস্ক
মানুষ জবাই করা আর হাত-পা ভেঙে দেয়ার নাম তাবলিগ নয় :জুমার খুৎবা-পূর্ব বয়ান
মুজিব কোট এখন ‘বাচ্চাদের পটি’
সীমান্তে প্রতিরোধ ব্যূহ
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আরও ৬ জনের লাশ ঢামেক মর্গে
মালয়েশিয়ায় এনআইডি ও স্মার্ট কার্ড সেবা কার্যক্রম চালু হচ্ছে
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ শনিবার
ক্র্যাবের সভাপতি তমাল, সাধারণ সম্পাদক বাদশাহ্
মুকসুদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ২৫
ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী মনে করে তালেবান
মাইনাস টু ফর্মুলার আশা কখনো পূরণ হবে না : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
গাজীপুর কারাগারে শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যু
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের দূত পাঠাবে চীন