নাটোরের গুরুদাসপুরের পলাতক শিশু ধর্ষক জাহিদুল র্যাবের হাতে গ্রেফতার
২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৫৭ পিএম | আপডেট: ২৬ আগস্ট ২০২৩, ০৩:৫৭ পিএম
নাটোরের গুরুদাসপুরের চতুর্থ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিশু ধর্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৫০) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার হেলেঞ্চা মহল্লার আসামীর ছেলের শ্বশুড়বাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার জাহিদুলের বাড়ি গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দক্ষিণ নাড়িবাড়ি গ্রামে। শনিবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে শহরের মাদ্রাসা মোড়ে অবস্থিত র্যাব-৫ এর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে অধিনায়ক রিয়াজ শাহরিয়ার এসব তথ্য জানান।
অধিনায়ক রিয়াজ শাহরিয়ার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫ ও র্যাব-১০ এর যৌথ বিশেষ অপারেশন দল ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা থানার হেলেঞ্চা এলাকায় দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত আসামি জাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব জানায় আসামী জাহিদুলকে গ্রেফতারের পর সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। সে র্যাবকে জানায় গত বছরের ১৮ নভেম্বর শুক্রবারের দুপুরে শিশুটির বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে শিশুটির মুখে গামছা বেঁধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে শিশুটিকে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয় আসামী। কিন্তু পরবর্তীতে তার শারিরীক পরিবর্তনের বিষয়টি দাদির নজরে আসলে তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী শিশুর দাদি জানান, তার ছোট ছেলের ঘরের ওই নাতনি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। তার প্রকৃত বয়স ১২-১৩ বছর। পারিবারিক কলহের জেরে শিশুটির বাবা-মা পৃথক হয়ে আলাদাভাবে বিয়ে করে। তারপর থেকে ওই নাতনি তার কাছেই থাকে। তিনি মাঠে কাজ করে সংসার চালান।
তিনি জানান, অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম প্রতিবেশী দাদা হয়। সেই সুবাদে সে প্রায়ই শিশুটির সঙ্গে খারাপ কথা বলে। শিশুটির দাদি জাহিদুলকে বকাঝকা করে তার নাতনির সঙ্গে কথা বলতে নিষেধ করেন।
দাদি জানায়, জুন মাসে শিশুটির শরীরের নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে শিশুটি তাকে ধর্ষনের বিষয়টি খুলে বলে। এরপর স্থানীয় ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি করলে তার অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পরে। ততদিনে শিশুটি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর গত ১৮ জুন শিশুটির দাদি বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় জাহিদুলের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। এখন তার নাতনি সন্তানসম্ভবা।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবণী রায় আসামি গ্রেফতার হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অন্তঃসত্ত্বা শিশুটির সিজারিয়ান খরচসহ চিকিৎসা সংক্রান্ত দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এখন থেকে সন্তান প্রসব পরবর্তী মেয়েটিকে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবারও উপজেলা প্রশাসন সরবরাহ করবে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী যাতে ন্যায়বিচার পায় সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান জানান, ওই মামলায় যাতে ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পান এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ
ঈশ্বরদীতে দূর্বৃত্তের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আহত
থিনেস্ট স্বাস্থ্যের